উ মুওছৌ
2023-02-13 11:17:43

উ মুওছৌ বা মোমো উ ১৯৯২ সালের ১৮ এপ্রিল চীনের হেলোংচিয়াং প্রদেশের ছিছিহার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের গায়িকা, চলচ্চিত্র ও টিভি অভিনেত্রী। তিনি শেনইয়াং কনজারভেটরি অব মিউজিক থেকে স্নাতক হন।

২০১২ সালে তিনি চেচিয়াং টিভির গানের প্রতিযোগিতা “দা ভয়েস অফ চায়না”-তে অংশ নিয়ে সারা দেশে রানার আপ হন। তখন থেকেই শোবিজে তার পদার্পণ। ২০১৩ সালে তিনি ১৭তম চায়না মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে “সেরা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পুরস্কার” জিতেন। ২০১৪ সালে তিনি ১৪তম সঙ্গীত উৎসবে “সংগঠন কমিটির সভাপতির পুরস্কার” ও “সেরা নতুন শিল্পী” পুরস্কার জিতেন। একই বছর তিনি প্রথম একক অ্যালবাম “সর্বত্র বিদ্যমান” প্রকাশ করেন। 

 

২০১৫ সালে মোমো একটি প্রেমের চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম “৯০” প্রকাশ করেন। অ্যালবামটি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়তা পায়। অ্যালবামের প্রধান দু’টি সঙ্গীত স্টাইল হলো বৈদুতিক বাজনা এবং কালো সঙ্গীত। অবশ্যই অন্যান্য স্টাইলের শিল্প-কর্মও রয়েছে। এর মধ্যে “অজেয়” গানটির ড্রাম অ্যান্ড ব্যাস কখনও চীনে জনপ্রিয় ছিল না। এ রকম শক্তিশালী বৈদুতিক বাজনার ব্যবহার ছিল খুব সাহসী প্রচেষ্টা। 

২০১৩ সালে মোমো উ নববর্ষের কমেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটা তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র। একই বছরের মার্চে তিনি তাঁর প্রথম একক গান “ভালোবাসা আর ভালোবাসা” প্রকাশ করেন। এটি অন্য একটি কমেডি চলচ্চিত্রের প্রচারমূলক গান। একই বছর তিনি একে একে “সেরা জনপ্রিয় গায়ক পুরস্কার” এবং ‘আধুনিক ফ্যাশন সেলিব্রেটি’ পুরস্কার জিতেন। এরপর তিনি অন্য একটি একক গান “এই মুহূর্তে” প্রকাশ করেন।

 

২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর মোমো উ তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম “অনন্তের কাছাকাছি” প্রকাশ করেন। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি “Happily Ever After” নামক একক গান প্রকাশ করেন। গানটি আসলে হংকং ডিজনিল্যান্ডের দশম বার্ষিক থিমসং। মোমো চাং ওয়েই’র সঙ্গে গানটি গেয়েছেন। 

 

মোমো’র বাবা ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ। বাবার প্রভাবে ছোটবেলা থেকেই তিনি সঙ্গীত পছন্দ করতে শুরু করেন। তিনি সবসময় বাবার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সঙ্গিত পরিবেশন করতেন। যখন তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী, তখন তাঁর বাবা-মা তাঁকে শেনইয়াং শহরের আর্ট স্কুলে পাঠান। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি “ভালোবাসাকে বাসায় নিয়ে আসা” শীর্ষক গান সৃষ্টি করেন। গানটির লিরিক্স ও সঙ্গীত রচনা করা ছাড়া তিনি নিজেই গানটি গেয়েছেন। 

   

(প্রেমা/আলিম)