ফেব্রুয়ারি ১৩: সিরিয়ায় পাঠানো চীনা রেড ক্রস সোসাইটি’র উদ্ধারকারী দলের প্রধান কুও ইয়াং সিএমজি’র সাংবাদিককে জানান, এ পর্যন্ত সব ধরনের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে চলছে। সিরিয়াকে সহায়তায় চীনা রেড ক্রস সোসাইটি’র প্রথম দফা মানবিক সামগ্রী দেশটির সময় গত শুক্রবার সকাল ১০টায় সিরিয়ায় পৌঁছে গেছে।
তিনি জানান, প্রথম দফায় পৌঁছানো এসব সামগ্রীতে ওষুধ, ব্যান্ডেজ-সহ নানা চিকিত্সা সামগ্রী রয়েছে। পরবর্তীতে আরো বেশি সামগ্রী ও চিকিত্সা সরঞ্জাম সিরিয়ায় পৌঁছানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন,“সিরিয়ায় পাঠানো চীনা রেড ক্রস সোসাইটি’র উদ্ধারকারী দলে মোট ৫জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে পেশাদারী উদ্ধারকারী বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক উদ্ধার সহযোগিতা খাতের বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সক রয়েছে। দলটির সঙ্গে প্রথম দফার সামগ্রীতে নানা ঔষধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম রয়েছে। যা পাঁচ হাজার মানুষের চিকিত্সা সেবা দিতে পারবে। উদ্ধারকারী দল বর্তমানে দামেস্কে অবস্থান করছে। আমরা পৌঁছানোর পর, সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। প্রথম দফার সামগ্রীগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। সামগ্রীগুলো দ্রুত ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য আমরা সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করব। সব ধরনের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে চলছে। সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য সাহায্যকারী সংস্থাগুলো আমাদেরকে অনেক সমর্থন দিয়েছে এবং আমাদের কাজের উচ্চ মূল্যায়ন করেছে।”
উদ্ধারকারী দলের চিকিত্সকদের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি জানান,‘আমাদের প্রথম দফা সামগ্রীতে ঔষধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম রয়েছে। আমরা সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদেরকে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেছি এবং এসব ঔষধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি আরো জানান, ‘২০১৮ সালে আমরা সিরিয়ান রেড ক্রিসেন্টকে অনেক মোবাইল মেডিকেল ইউনিট দিয়েছিলাম। এসব মোবাইল মেডিকেল ইউনিট ভূমিকম্প-কবলিত অঞ্চলে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের চিকিত্সকরা এসব মোবাইল মেডিকেল ইউনিটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। পাশাপাশি, কীভাবে এসব মোবাইল মেডিকেল ইউনিট ব্যবহার করতে হয়, সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবেন চিকিত্সকরা। চিকিত্সা খাতে স্থানীয় চাহিদার কথা আমরা চীনে জানাব; সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী কাজকর্ম করব।’
উল্লেখ্য যে, সোমবার ভোরে সিরিয়ায় চীনা রেড ক্রস সোসাইটির দ্বিতীয় দফা মানবিক সামগ্রী বেইজিং থেকে রওয়না হয়েছে। এবারের সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, গরম পোশাকসহ জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী এবং ঔষধসহ নানা উপকরণ। যা ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করতে পারবে।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান আরো জানান, উদ্ধারকারী দল এখন সব পক্ষের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো সামগ্রীগুলো সমন্বয়ের কাজ করছে। যাতে এসব সামগ্রী দ্রুত ভূমিকম্প প্রভাবিত অঞ্চলে পৌঁছানো যায়।
(আকাশ/তৌহিদ)