বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি শিশুদের আগ্রহ ও কৌতুহল বাড়ানোর উপায় ও প্রসঙ্গকথা
2023-02-13 17:11:16

আমরা জানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন মানবজাতির জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নব্যতাপ্রবর্তন আমাদের জীবন আরও সুন্দর করেছে, গতিশীল করেছে। আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে সমাজের সেরা সৃজনশীল ব্যক্তিদের হাত ধরে। এমন সেরা সৃজনশীল ব্যক্তিদের গড়ে তুলতে হয় ছোটবেলা থেকেই। কারণ, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আমাদের কৌতুহল ও আগ্রহও ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে: কিভাবে বাচ্চাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আরও বেশি আগ্রহী করে তোলা যায়? এ নিয়ে কয়েকজন চীনা বিশেষজ্ঞের মতামত আজকে তুলে ধরবো।

 

দীর্ঘকাল ধরে চীন বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ২০০১ সালে চীনের প্রাথমিক স্কুলের ‘বিজ্ঞান’ ক্লাস  সংস্কার করা হয়। ২০১৭ সালে চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ক্লাসের নতুন মানদন্ড প্রণয়ন করা হয়। ২০২২ সালে চীনের নতুন সংশোধিত ‘বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিজ্ঞান কোর্স মানদন্ডে’ বলা হয়েছে, চীনা শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞানের প্রতি আরও কৌতুহলী করে তোলা জরুরি।

 

সম্প্রতি চীনের ইউথ পত্রিকার সংবাদদাতা কয়েকজন চীনা বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেন। বেইজিং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষাদান গবেষণাগারের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লি শিং তা বলেন, ‘গবেষণার প্রয়োজনে আমি অনেক বাচ্চার সাথে কথা বলেছি। তাদের বয়স যত বেশি, জানার আগ্রহ তত কম। প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বাচ্চাদের কৌতুহল সবচেয়ে বেশি।’

 

নানচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যা এবং মহাকাশ বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান লি সিয়াং তুং বলেন, ‘প্রত্যেক বাচ্চার জ্যোতির্বিদ্যার প্রতি আগ্রহ রয়েছে। আকাশের তারা দেখে তারা অনেককিছু কল্পনা করে। সেটি অনেকটা জিনগত। তবে, দিন যত সামনে গড়ায়, তাদের স্বপ্ন ও কৌতুহলও ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।’

 

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মৌলিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্য, কুয়াংসি নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুও সিং খাই বলেন, বস্তুত যে-কোনো দেশে বয়স বাড়ার সাথে সাথে নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে বাচ্চাদের কৌতুহল দিন দিন হ্রাস পেতে থাকে। কারণ, তারা বিভিন্ন বিষয়ে ততদিনে মনোযোগ দিতে শুরু করে। তখন খানিকটা জানা বিষয়েও তারা প্রশ্ন করতে আগ্রহী হয় না। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।

 

তবে, কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে আলাদা। তারা আমাদের সুপরিচিত ব্যাপার নিয়েও নতুন প্রশ্ন খুঁজে পায়, সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে। আসলে বিজ্ঞানীরাই এমন মানুষ। বাচ্চাদের মতো ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে তাদের। কৌতুহল বিজ্ঞান গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। চীনা বাচ্চাদের কৌতুহল হ্রাসের মাত্রা অন্য দেশের বাচ্চাদের তুলনায় একটু বেশি, এটা একটা সমস্যা।

 

এ সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সম্পর্কে বেইজিং নর্মাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ গবেষণাগারের প্রধান চেং ইয়ং হ্য বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্বার্থে সেরা ব্যক্তি গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারে নিয়মিত চর্চা অতি গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চারা সাধারণত ক্লাসে জ্ঞান অর্জন করে, ক্লাসে ও বাসায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়, এবং সবশেষে পরীক্ষায় ভালো স্কোর করে লেখাপড়া শেষ করে ফেলে। এ অভ্যাসের কারণে বাচ্চাদের সৃজনশীলতা কমে যায়।

 

আসলে নব্যতাপ্রবর্তনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল অভ্যাসে পরিবর্তন। যদি একটি সমস্যার সমাধানে শুধু সুপরিচিত পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা হয়, তাহলে নতুন সমস্যা দেখা দিলেও আগের মতো একই পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা চালানো হয়। অথচ সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন পদ্ধতি খোঁজার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তা না হলে, বাচ্চাদের সৃজনশীলতা নষ্ট হবে।

 

এ সম্পর্কে বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লি শিং তা বলেন, প্রাথমিক স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মজার বিজ্ঞান কোর্স ডিজাইন করার চেষ্টা করেন তারা। গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে তিনি ইয়ুননান প্রদেশের দূরবর্তী এলাকার একটি স্কুলে যান।  স্থানীয় ২০ জনেরও বেশি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে ১০ দিনের মতো বিজ্ঞান কোর্স পড়ান। সে ক্লাসে তিনি মোবাইল ফোন দিয়ে পদার্থবিদ্যার অনেককিছু মাপার পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিখিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনে অনেক সময় অনেককিছু মাপার প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে সেটি করা সহজ ব্যাপার নয়। অথচ, আমাদের মোবাইল ফোন এখন অনেক বুদ্ধিমান। তা দিয়ে এই ধরনের অনেক মাপার কাজ করা যায়।’

 

কোর্সের শুরুটা সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। ছাত্রছাত্রীরা সহজে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন ব্যবহার বুঝতে পারে। ক্লাসের প্রত্যেক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাপের কাজ করা শেখে। তবে, দ্বিতীয় পর্যায়ে দেখা দেয় সমস্যা। কারণ, সেই সময় কোভিড মহামারী প্রতিরোধের উদ্দেশ্য ‘বিনা স্পর্শে’ জিনিসপত্র ডেলিভারি দেওয়ার উপায় খুঁজতে বলা হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তারা মোবাইলের সাহায্য সেটি করতে ব্যর্থ হয়। কেবল কয়েকজন ছাত্র এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে।

 

শিক্ষক লুও সিং খাই বলেন, বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য অপরিচিত বিষয় অনুসন্ধান করা। সুপরিচিত বিষয় চর্চা করা সহজ ব্যাপার, তবে অপরিচিত বিষয়ের সম্মুখীন হলে তা সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেকেই তখন কোনো কূল করতে পারেন না।

 

যদিও চীনের ‘বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিজ্ঞান কোর্স মানদন্ডে’ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের চেতনা ও সৃজনশীলতাকে উত্সাহ দেওয়ার অনেক বিষয় আছে, তবে বিজ্ঞান গবেষণা ও অনুশীলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হল বিজ্ঞান শিক্ষক। তাঁদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে।

 

বর্তমানে চীনের মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের অবস্থা কেমন? একটি জরিপ থেকে জানা গেছে, চীনের প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ৭০ শতাংশ বিজ্ঞান শিক্ষকের মেজর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছিল না। তাই অধ্যাপক চেং ইয়ং হ্য এবং তাঁর গবেষক দল ‘চীনের প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের অবস্থা’ নিয়ে গবেষণা করেন। চীনের ৩১টি প্রদেশের প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের ওপর চালানো জরিপের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন রচনা করা হয়।

 

সবাই জানেন প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে ছাত্রছাত্রীদের কৌতুহল সবচেয়ে বেশি থাকে এবং ওই সময়টা চরিত্র গঠনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই, প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের অবস্থা বাচ্চাদের বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাধারা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

 

জরিপ থেকে বোঝা গেছে, প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণপদ্ধতি আরও উন্নত করা প্রয়োজন। বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান কোর্সে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান,  জ্যোতির্বিদ্যা এবং সামাজিক মানববিজ্ঞান আছে। শিক্ষকদের জ্ঞান যেন এক বালতি পানির মতো, যা থেকে ছাত্রছাত্রীরা এক কাপ করে নিতে পারে। সেই জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভালো করে বিজ্ঞান কোর্স শেখানোর জন্য শিক্ষকদের আরো বেশি বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান অর্জন করতে হবে, চিন্তাভাবনা করতে হবে। শিক্ষকদের কাজ কেবল ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নয়, বরং তাদের নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী করে তোলা। অপরিচিত ব্যাপার অনুসন্ধানে শিক্ষকদের চেতনা ছাত্রছাত্রীদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই যদি শিক্ষকদের বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণের অভাব ঘটে, তাহলে তারাও সংশ্লিষ্ট কাজ ভালো করতে পারেন না।

 

২০২১ সালের শেষ দিকে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের ৩১টি প্রদেশের ৩৩১টি জেলার ৬৫৩৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ২ লাখ ছাত্রছাত্রী এবং ৮৬ হাজার জনেরও বেশি শিক্ষক ও স্কুলের প্রেসিডেন্টের ওপর জরিপ চালানো হয়। এ জরিপ থেকে জানা গেছে, প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের ক্লাসে যদি শিক্ষকদের যথাযথ পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকে, তাহলে এমন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার স্কোর তুলনামূলক বেশি হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ৪৬ পয়েন্টের ব্যবধান দেখা যায়। মাধ্যমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জীববিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞান ক্লাসে যদি শিক্ষকদের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ থাকে, তাহলে পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের স্কোরও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেশি থাকে।

 

২০২১ সালে চীনের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেজর হিসেবে বিজ্ঞান শিক্ষা চালু হয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যা ও বাস্তব চাহিদার মধ্যে অনেক ব্যবধান দেখা যায়। একজন বিজ্ঞান শিক্ষার গবেষক শিক্ষক বলেন, বর্তমানে চীনা সমাজে বিজ্ঞান শিক্ষা মেজর সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে সঠিকভাবে এ মেজর বুঝে না এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলও বিজ্ঞান কোর্সের ওপর যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় না। ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হলেও, পরে মেজর পরিবর্তন করে ফেলে।

 

এ সমস্যার সমাধানে ২০২২ সালের মে মাসে আরেকটি নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞান শিক্ষা মেজরের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া, সংশ্লিষ্ট মেজরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো এবং গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, জীববিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত নর্মাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জনকারীদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। প্রাথমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে বিভিন্ন গবেষণাগার, বিজ্ঞান জাদুঘর, বোডেনিকাল গার্ডেন ও জ্যোতির্বিদ্যা ঘাঁটি আর হাইটেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান শিক্ষক হতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পরীক্ষায় চমত্কার স্কোর করা অপরিহার্য নয়, বরং কিছু বিজ্ঞান শিক্ষার যোগ্যতা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলা ও তাদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করতে শেখানোই একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান শিক্ষক হবার জন্য যথেষ্ট।

 

এদিকে, কেবল স্কুলের মাধ্যমে উপযোগী বিজ্ঞান শিক্ষক গড়ে তোলার চেষ্টাও যথেষ্ঠ নয়, এর জন্য সমাজের বিভিন্ন মহলের যৌথ প্রয়াস দরকার। ২০২২ সালের জুন মাসে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির যৌথ উদ্যোগে চীনের বিভিন্ন প্রদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রকল্প চালু হয়। রাজধানী বেইজিংসহ ১২টি শহরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির ১৯ জন একাডেমিশিয়ান আর ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞান শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ এ প্রশিক্ষণ প্রকল্পে অংশ নেন। সংশ্লিষ্ট ক্লাস অনলাইনেও প্রচারিত হয়। এমন প্রশিক্ষণ বিজ্ঞান শিক্ষকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা ও স্বীকৃতি পায়। আশা করা যায়, বিজ্ঞান ও শিক্ষা মহলের যৌথ প্রয়াসে চীনা বাচ্চাদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ও কৌতুহল আরো বাড়বে এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবিষ্যতে উন্নত থেকে উন্নততর হবে।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)