চীনের শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাচ্চাদের খেলাধুলা
2023-02-06 15:30:32

 

চীনের খরগোশ বর্ষের বসন্ত উত্সব কাল শেষ হয়েছে। বসন্ত উত্সব টানা ১৬ দিন চলে। এটি চীনাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উত্সব। সাধারণত চীনারা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পায়। তবে যারা ব্যবসা করেন বা কৃষিকাজ করেন, তাদের অনেকে ১৬ দিনের ছুটিও কাটান। এ উত্সব তাদের জন্য সারা বছরের মধ্যে বিশ্রামের সময়। যারা শহরে থাকেন, বিশেষ করে যেসব পরিবারের বাচ্চা আছে, তাদের জন্য লম্বা ছুটিতে বাচ্চাদের নিয়ে খেলাধুলা করা সুপরিচিত ব্যাপার। বাচ্চাদের সারাদিন ধরে খেলাধুলা করার মানসিক ও শারীরিক শক্তি থাকে। তাই তারা বিভিন্ন খেলাধুলা বা মজার কাজ করতে আগ্রহী। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের খেলাধুলা নিয়ে কিছু গল্প শেয়ার করবো।

 

চলতি বছরের শুরুতে চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের ক্রীড়া ব্যুরোর উদ্যোগে ‘ক্রীড়া উত্সব’ চালু হয়। তাতে ‘সুপার সাপ্তাহিক ছুটি’-সহ বিভিন্ন তত্পরতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেটি পিতামাতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ার সাথে সাথে ক্রীড়া শিল্পের উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনাও সৃষ্টি করে।

 

ছাংশা শহরের শহরবাসী পেং ই পিংয়ের ছেলের ১১ বছর বয়স। প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে সে বাবার সাথে বিভিন্ন খেলাধুলা বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চায়। গাছে ওঠা, প্যাডেল বোর্ড, প্যারাগ্লাইডিংসহ বিভিন্ন তত্পরতার মাধ্যমে শরীরচর্চার সাথে সাথে মজাদার সাপ্তাহিক ছুটিও কাটায় তারা।

 

‘সুপার সপ্তাহ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে তাদের বিনোদনের পদ্ধতি এতো বেশি ছিল না। মূলত গাড়ি চালিয়ে শহরের উপকন্ঠ এলাকার দর্শনীয় স্থানে যাওয়া বা পাহাড়ে আরোহণ করা ছিল তাদের বিনোদনের উপায়। তবে, চলতি বছর থেকে তাদের সামনে খেলাধুলার সুযোগ গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

 

এ সম্পর্কে ছেলে পেংয়ের বাবা বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমরা বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেই। প্যাডেল বোর্ড খেলতে ছাংশা শহরের কাছে সিয়াংচিয়াং নদীতে গেছি এবং হাইনান প্রদেশের সানইয়া শহরের সমুদ্রে গেছি। গাছে ওঠার জন্য আমরা হেংশান পাহাড়ে এবং চাংচিয়াচে পাহাড়াঞ্চলের পর্যটন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে গেছি।’ পেশাদার কোচ সঙ্গে থাকার কারণে বিভিন্ন খেলাধুলা কম সময়ের মধ্যে শেখা যায়। তাই গ্রীষ্মকালে প্যাডেল বোর্ডসহ বিভিন্ন খেলা করা যায় এবং শীতকালে গাছে ওঠা আর ফ্রিসবি খেলা যায়। এভাবে বাচ্চারা ভিন্ন খেলাধুলার আমেজ অনুভব করতে পারে এবং খেলাধুলা সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা অর্জন করতে পারে।

 

শিক্ষা শিল্পে কর্মরত ম্যাডাম লিও হ্য বলেন, ‘আমার স্বামী একটি ফুটবল দল প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিবার তাদের খেলা থাকলে আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। তবে ছেলে কেবল দর্শকের ভূমিকায় থাকে। আমি নিয়মিত জিমে শরীরচর্চা করি। কিন্তু আমার বাচ্চা আমার সাথে শরীরচর্চা করতে পারে না।’ আসলে পিতামাতা খেলাধুলা পছন্দ করলেও, বাচ্চাদের সাথে সাধারণত খেলাধুলা করতে পারেন না। ‘সুপার সপ্তাহ’ অনুষ্ঠান চালু হবার পর পরিবারের সবাই একসাথে খেলাধুলা করার সুযোগ পায়।

 

 ‘সুপার সপ্তাহ’ তত্পরতার আয়োজক হুনানের একটি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কোম্পানি। এর একজন পরিচালক কুও হাও ছেন বলেন, এ পর্যন্ত তারা কয়েক ডজন প্রকল্প আবিষ্কার করেছেন। এখন হুনান প্রদেশের ৫০০০টিরও বেশি পরিবার নিয়মিতভাবে তাদের তত্পরতায় অংশ নেয়। প্রতিবছরের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আরো বেশি পরিবার তত্পরতায় নিবন্ধন করে।

 

গত ৩ বছরের মধ্যে কোভিড মহামারীর কারণে বিভিন্ন শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ক্রীড়া শিল্পের অবস্থাও একই। স্থানীয় ক্রীড়া শিল্পের রূপান্তরে ‘সুপার সপ্তাহ’ তত্পরতা চালু করা হয়।

 

ছাংশা শহরের ক্রীড়া ব্যুরোর ক্রীড়া শিল্প বিভাগের পরিচালক ইন চিয়ান চুন বলেন, ‘ক্রীড়া উত্সব’ অনেক কোম্পানি, খেলাধুলার ক্লাব ও স্টেডিয়ামকে আকর্ষণ করেছে। বিভিন্ন ধরনের বিশেষ খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজনে ক্রীড়া সরঞ্জাম বাজারের ভোক্তাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ‘সুপার সপ্তাহ’ তত্পরতা ক্রেতাদের জন্য আরো সফল ও আকর্ষণীয় ক্রীড়া ইভেন্ট।

 

বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এ উদ্যোগের মাধ্যমে আরো বেশি পর্যটক পেয়েছে। এ পর্যন্ত চীনের ৩০টিরও বেশি দর্শনীয় স্থান ‘সুপার সপ্তাহ’ উদ্যোগের সাথে সহযোগিতা করেছে এবং আরো নতুন দর্শনীয় স্থানও এ উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহী। ‘ক্রীড়া প্লাস পর্যটন’ দর্শনীয় স্থানের জন্য আরও পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।  এ সম্পর্কে ছাংশা শহরের ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান সিয়ে ই মিং বলেন, ‘সুপার সপ্তাহ’ উদ্যোগের মাধ্যমে আরো বেশি মানুষ খেলাধুলায় আগ্রহী হবেন এবং গ্রামাঞ্চলের পুনরুত্থানে অবদান রাখবেন। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিবেশ বিবেচনা করে, ভিন্ন ধরনের খেলাধুলার প্রকল্প ডিজাইন করা যায়, এভাবে দর্শনীয় স্থানেও বহুমুখী ক্রীড়ায় অংশ নেওয়া যায়।

 

সিয়ে আরো বলেন, ‘ক্রীড়া প্লাস পর্যটন’ এবং হুনান প্রদেশের সমৃদ্ধ সংখ্যালঘু জাতির রীতিনীতি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রকল্পে আরো মজার অভিজ্ঞতা যুক্ত করেছে। বাবা-মারা অবশ্যই আশা করেন, তাদের বাচ্চাদের শক্তিশালী শরীর ও চমত্কার চরিত্র হবে। প্রত্যেক পরিবার খেলাধুলার মাধ্যমে পারিবারিক সুসম্পর্ক স্থাপন করতেও আগ্রহী। এমন প্রেক্ষাপটে, চীনে শরীরচর্চা সবার আগ্রহের ব্যাপারে পরিণত হবে।

 

ছাংশা শহরের একজন পিতা পেং ই মিং বলেন, ‘সুপার সপ্তাহ’ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার পর তাঁর ছেলের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। আগে তার ছেলে পিতামাতার তত্ত্বাবধানে কাজ করতো। তবে এখন অনেক কাজ স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করতে পারে। এটি বেশ ভালো পরিবর্তন।

 

ছেলেকে নিয়ে প্যারাগ্লাইডিংসহ বিভিন্ন চমত্কার ও মজার খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার কারণে জনাব পেং তাঁর ছেলের মনে এখন বীরের মতো। বাবা ও ছেলের সম্পর্কও আগের চেয়ে আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

 

জনাব হ্য জি বিং হাইকিং ক্লাবের একজন কর্মী। গত কয়েক বছরে তাদের ক্লাবে অনেক অপেশাদার হাইকার যোগ দেয়। তাদের মধ্যে অনেকের বয়স ১২ বছরের কম। আছেন ৬০ বছর বয়সী প্রবীণও।

 

আশা করা যায় আগামী বছরে ‘সুপার সপ্তাহ’ উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী পরিবারের সংখ্যা ১০ হাজার ছাঁড়িয়ে যাবে।

 

কুয়াংচৌ শহরের কাছের গ্রামাঞ্চলে ছিশিং প্রাথমিক স্কুলের দড়ি লাফ চর্চা

সম্প্রতি চীনের চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘সোনার মুরগী’ বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘হালকা তারার আলো’ নামের একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিশেষ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করেছে। এ চলচ্চিত্র কুয়াংচৌ শহরের হুয়াতুং জেলার ছিশিং প্রাথমিক স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই সুয়ান জি ও তাঁর ছাত্রছাত্রীদের দড়ি লাফ  চর্চার ভিত্তিতে নির্মিত।

 

১২ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর শিক্ষক লাই সুয়ান জি কুয়াংচৌ শহরের কাছে হুয়াতুং জেলার ছিশিং প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন এ স্কুলে মাত্র একটি শিক্ষাভবন আর মাটির খেলাধুলার মাঠ ছিল। স্কুলে মোট ৬টি ক্লাস আর ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। বাচ্চাদের মধ্যে অনেকে পিতামাতার সাথে থাকে না। বাবা-মা কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই তারা হুয়াতুং জেলায় এসে পড়াশোনা করে।

 

এ স্কুলে আসার আগে কখনো তিনি ভাবতে পারেননি যে, কুয়াংচৌর মতো এতো বড় শহরের কাছে একটি গ্রামীণ ছোট স্কুল রয়েছে। স্কুলের দুর্বল অবকাঠামো শিক্ষক লাইয়ের জন্য দুঃখের ব্যাপার। একজন ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে তিনি স্কুলের বাচ্চাদের শরীরচর্চার জন্য উপযোগী খেলাধুলা খুঁজতে থাকেন।  স্কুলের খেলার মাঠ অনেক ছোট। সংশ্লিষ্ট বাজেটও খুবই কম। এ অবস্থায় কী করা যায়? এটা ছিল তাঁর জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।

 

২০১২ সালে হুয়াতুং জেলার শিক্ষা ব্যুরোর উদ্যোগে দড়ি লাফ চর্চা শুরু হয়। যদিও শিক্ষক লাই ক্রীড়া শিক্ষক হিসেবে স্কুলে নিয়োগ পান, তবে দড়ি লাফ তাঁর জন্য সহজ ব্যাপার নয়, তিনি তিন বার ট্রাই করে অবশেষে সফল হন। তাই ছাত্রছাত্রীদের ভালো করে দড়ি লাফ শেখানোর জন্য তিনি প্রতিদিন পেশাদারদের করা ভিডিও দেখতে শুরু করেন এবং দড়ি লাফের জন্য টিপস খুঁজতে থাকেন।

 

তবে, ছাত্রছাত্রীদের পিতামাতারা মনে করেন, দড়ি লাফ শেখা বা না শেখা বড় ব্যাপার নয়, তাই স্কুলের দড়ি লাফ খেলোয়াড় দল গঠনকাজ শিক্ষক লাইয়ের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে ওঠে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দড়ি লাফ শেখানোর জন্য তিনি তাদের পিতামাতাদের সাথে অনেকবার আলোচনা করেন।

 

দড়ি লাফের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে তিনি নিজেই বিশেষ দড়ি আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। ধাতব তার দিয়ে তৈরি দড়ির গতি সাধারণ দড়ির চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ ভঙ্গিতে কম সময়ের মধ্যে বহুবার লাফ দেওয়া যায়। এভাবে ছিশিং প্রাথমিক স্কুলের অনেক বাচ্চা ভালো করে দড়ি লাফের পদ্ধতি শিখতে পারে।

 

২০১৩ সালে তারা স্থানীয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের দড়ি লাফ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। স্থানীয় প্রতিযোগিতার ৮০ শতাংশ স্বর্ণপদক লাভ করে তারা। পরে জাতীয় দড়ি লাফ প্রতিযোগিতায় তাদের সোনার পদকের সংখ্যাও ছিল সবচেয়ে বেশি। তখন থেকে ছিশিং প্রাথমিক স্কুলের দড়ি লাফ চীনে সুবিখ্যাত হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে দুবাইয়ে আয়োজিত বিশ্ব শিক্ষার্থী দড়ি লাফ প্রতিযোগিতায় ছিশিং প্রাথমিক স্কুল প্রায় সবকটি স্বর্ণপদক লাভ করে এবং ছাত্র ছেন সিয়াও লিন ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ২২০ বার লাফ দিয়ে রেকর্ড গড়েন।

 

এ সম্পর্কে শিক্ষক লাই বলেন, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শূন্য থেকে দড়ি লাফ শিখতে শুরু করে। তবে গত কয়েক বছরের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের এই স্কুলের ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করে। তারা প্রায় দশ বার দড়ি লাফে বিশ্ব রেকর্ডও ভেঙ্গে দিয়েছে। তাদের সাফল্যের পেছনে কোনো রহস্য নেই। কেবল পরিশ্রমও চর্চার ফল এটি।  তারা দড়ি লাফের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক জায়গা সফর করতে গেছে এবং নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি তাদের চরিত্রও অনেক উন্নত হয়েছে; তারা আগের চেয়ে বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।“  

 

ছিশিং স্কুলের একটি মেয়ের নাম চাং মাও স্যুয়ে। সে খুবই কম কথা বলে। তবে প্রথমবারের মতো দড়ি লাফ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১০টি স্বর্ণপদক জয় করে। সেই সময় মেয়ে চাং আনন্দের সাথে শিক্ষক লাইকে বলে, ‘আমি খুব খুশি! বড় হলে আমিও একজন ক্রীড়া শিক্ষক হতে চাই!’

 

বর্তমানে ছিশিং স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩০০ জনেরও বেশি এবং স্কুলের শাখাও তিনটি। শিক্ষক লাই আগের মতো দড়ি লাফের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আশা করেন, দড়ি লাফ প্রতিযোগিতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখা যাবে। পাশাপাশি, দড়ি লাফ সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি আরো বেশি গ্রামের স্কুলে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে। এভাবে দূরবর্তী এলাকার বাচ্চারা যেমন আনন্দ পাবে, তেমনি তাদের শরীরচর্চার অভাবও দূর হবে।

 

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)