থাইল্যান্ড চীনা পর্যটকদের আন্তরিক স্বাগত জানায়: থাই উপ প্রধানমন্ত্রী
2023-02-04 17:22:33

ফেব্রুয়ারি ৪: সম্প্রতি থাইল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চর্ণবীরকুল চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাত্কারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং নানা খাতের সহযোগিতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

চলতি বছর চীনের মহামারি প্রতিরোধ নীতি পরিবর্তন হওয়ার পর চীনা পর্যটকরা আবারও থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করা শুরু করেছেন। থাইল্যান্ডের উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরে গিয়ে চীনা পর্যটকের স্বাগতও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, থাই মানুষ মনে করে- চীন ও থাইল্যান্ডের মানুষ যেন একই পরিবারের মতো আপন। চীনা পর্যটকদের আগমন ভালো একটি ব্যাপার। থাই সরকার নিশ্চয় জনগণের পক্ষ থেকে সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অভ্যর্থনা জানায়। আমরা সবাই একই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছি। তাই পর্যটকদের নাগরিকত্ব অনুযায়ী ভিন্ন ব্যবস্থা নেবে না তাঁর দেশ। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও চিকিত্সা গবেষণা অনুযায়ী, সবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় একই। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বর্তমানে দেশে যথেষ্ঠ চিকিত্সক ও ওষুধ আছে। যা বিদেশি পর্যটকের সেবা দিতে পারবে।

উপ প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানানোর খবর চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নিউজের ভিউ ৪৯ কোটি পার্সন টাইমস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, থাই সরকার তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর কাজ দিয়েছেন। যা চীনা বন্ধুদের প্রতি থাই সরকারের গুরুতারোপের প্রতিফলন।

চীনা পর্যটকদের থাইল্যান্ড ভ্রমণে দেশটি অনেক লাভবান হয়। যা থাইল্যান্ডকে মহামারির প্রভাব থেকে বের হয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক।

উপ প্রধানমন্ত্রী অনুতিন আরো বলেন, এপেকের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দিতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং থাইল্যান্ড সফর করেছিলেন। তিনি একজন দূরদর্শী নেতা। চীনা জনগণ এমন নেতার জন্য গর্বিত। প্রেসিডেন্ট সি থাইল্যান্ডকে অনেক সাহায্য দিয়েছেন। আশা করি দু’দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে।

২০২১ সালে চীনে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রথমবারের মত ব্যাংককে পৌঁছার পর উপ প্রধানমন্ত্রী অনুতিন সবার আগে চীনা টিকা নেন। অনুতিন বলেন, চীনের টিকা অনেক নিরাপদ। এ টিকা মৈত্রীর প্রতিফলন। মহামারি প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ সময় চীনের টিকা অনেক উপকার করেছে। এর আগেও চীন সরকার থাইল্যান্ডকে অনেক সাহায্য দিয়েছে; এভাবে থাইল্যান্ডও চীনের মত অন্যকে সাহায্য করতে পেরেছে।

সাক্ষাত্কারে চীনের উত্থাপিত বিশ্ব উন্নয়ন ও নিরাপত্তা উদ্যোগ সম্পর্কে অনুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের উত্থাপিত সব উদ্যোগকে থাইল্যান্ড সমর্থন করে। তাঁর দেশ বিশ্বাস করে যে, সব অগ্রগতি ও উন্নয়ন বিশ্ব-শান্তির ভিত্তিতে সম্ভব। থাইল্যান্ড নীতি প্রনয়ণকারী দেশ না হলেও অন্য দেশকে সমর্থন করতে পারে। বিশেষ করে বড় দেশের উত্থাপিত মানবজাতির উন্নয়ন সম্পর্কিত উদ্যোগগুলোতে থাই সমর্থন রয়েছে।

শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া