সলোমনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ৩০ বছর পর আবার খোলার উদ্দেশ্য- সিএমজি সম্পাদকীয়
2023-02-04 15:37:16

ফেব্রুয়ারি ৪: বিগত ৩০ বছর ধরে বন্ধ থাকা সলোমনে মার্কিন দূতাবাস আবারও চালু হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, প্যাসিফিক অঞ্চলে আরো বেশি কূটনীতিক পাঠানো হবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রকল্প ও সম্পদের সঙ্গে স্থানীয় চাহিদা যুক্ত করা হবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যি এই সুযোগে প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলো সাহায্য করে, তা নিঃসন্দেহে একটি ভালো ব্যাপার হবে। তবে, অনেক পশ্চিমা তথ্য মাধ্যমের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের আসল উদ্দেশ্য হল ‘চীনকে প্রতিরোধ করা’, ‘এশিয়া ও প্যাসিফিক কৌশল’ দ্রুততর করা। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বুঝতে হবে। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে দূতাবাস স্থাপন করে। তার প্রধান কারণ ছিল, প্যাসিফিক অঞ্চলে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব কমানো। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই দূতাবাস ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।

২০২২ সালে পরিস্থিতির হঠাত্ পরিবর্তন ঘটে। গত বছরের এপ্রিল মাসে চীন ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নিরাপত্তা সহযোগিতা-কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর হয়, যাতে স্থানীয় সামাজিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা বাড়ানো যায়। তবে, এই স্বাভাবিক সহযোগিতাকে বাঁকা চোখে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাদেরকে উপেক্ষা করে আসছে।

একদিকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চীন ও সলোমনের নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে মিথ্যাচার করে। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের ইন্দো-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী কর্মকর্তা সলোমনে গিয়ে দু’পক্ষের সহযোগিতায় বাধা দিতে চেয়েছিল। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সফরে পাঠায়। ওয়াশিংটন প্রথম যুক্তরাষ্ট্র-প্যাসিফিক দ্বীপ দেশের শীর্ষসম্মেলন আয়োজন করেছে। বিশ্লেষকরা বলেন, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্যাসিফিক অঞ্চলে যে ঘন ঘন কূটনৈতিক তত্পরতা চালিয়েছে, তাতে দেশটির উদ্বেগ বোঝা যায়। স্থানীয় লোকজনও জানতে চায়, যুক্তরাষ্ট্র আসলে কখন সলোমনের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিল?

আন্তরিকতা হল বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতার ভিত্তি। আশা করা যায়, মার্কিন দূতাবাস আবারও খোলার পর প্যাসিফিক দেশগুলোর প্রতি সম্মান জানাবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)