ফেব্রুয়ারি ০২, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে উন্নয়নের সূচেকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলেছে চীন। বিশেষ করে দেশটি নজর দিয়েছে সেতু নির্মাণে। বিশাল আকৃতির সেতুগুলো শুধু যোগাযোগই সহজ করে নি, বরং এর নান্দনিক বৈশিষ্ট্য বরাবরই আকৃষ্ট করে থাকে বিশ্ব পর্যটকদের। এ কারণে বেশ কষ্টসাধ্য ও চ্যালেঞ্জিং হলেও সেতুর গুরত্ব বিবেচনায় বড় বাজেট বরাদ্দ করে থাকে চীন সরকার। এমনই একটি লিংডিংইয়াং সেতু।
বিশাল আকৃতির এই সেতুর উপর হাঁটতে পারাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এর জন্য যেমন সাহসিকতার প্রয়োজন পড়ে তেমনি থাকতে হয় দক্ষতা।
কথাগুলো বলছিলেন ত্রিশ বছর বয়সী একজন প্রকৌশলী ছেন বিংইয়াও। যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন শেনচেন-চুংশান ক্রস-সি লিঙ্ক সেতুতে। লিংডিংইয়াং সেতুর নকশার পর থেকে সমুদ্রে সাত বছর কাটানোর পর তিনি বলেন, এই ধরনের একটি মেগা প্রকল্পের ইতিহাসের অংশ হতে পেরে তিনি সত্যিই গর্বিত।
লিংডিংইয়াং সেতু, যার মোট দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৮২৬ মিটার, এটি ২৪ কিলোমিটার শেনচেন-চুংশান ক্রস-সি লিঙ্কের মূল প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যা কুয়াংডং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে এরিয়ার মূল প্রকল্প কেন্দ্র।
এই সেতুর দুটি পাইলনের উচ্চতা ২৭০ মিটার, যা ৯০ তলা ভবনের সমান। সেতুটির প্রধান স্প্যানটি দেড় হাজার মিটারেরও বেশি দীর্ঘ। সব মিলিয়ে এটি এখন বিশ্বের বৃহত্তম-স্প্যান অফশোর স্টিল বক্স গার্ডার সাসপেনশন সেতুতে পরিণত হয়েছে।
দক্ষিণ চীনের শেনচেন-চুংশান সংযোগের অন্যতম প্রধান প্রকল্প লিংডিংইয়াং সেতুটি দেশের জন্য এতটাই গুরত্বপূর্ণ যে বসন্ত উৎসবের ছুটিতেও নির্মাণকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
বর্তমানে, লিংডিংইয়াং চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন ৪ হাজার জাহাজ চলাচল করে।
শেনচেন-চুংশান ক্রস-সি লিঙ্ক হলো একটি সুপার সমুদ্র-ক্রসিং প্রকল্প যা সেতু, দ্বীপ, টানেল এবং পানির নিচের চ্যানেলগুলিকে একীভূত করেছে। এবং আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সাল নাগাদ এটি যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
অভি/সাজিদ