ফেব্রুয়ারি ১: নতুন বছর চীনের বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন বিভাগ যৌথভাবে মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সমন্বয় এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন জোরদার করার চেষ্টা করেছে।
৯ থেকে ১২ জানুয়ারি ফুচিয়ান প্রদেশের শানথৌ’র খেলনা বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো হংকংয়ে খেলনা মেলায় অংশ নিয়ে বিশ্বে ৩০ হাজারেরও বেশি পণ্য প্রদর্শন করেছে এবং ছয় বিলিয়ন ইউয়ানের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২০২২ সালে অনেক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল, তবে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৪০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। নতুন বছর বিভিন্ন স্থানের প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে বিদেশে গিয়ে বিনিয়োগ সংগ্রহ করেছে।
গত ডিসেম্বরে আয়োজিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টি’র কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক কাজকর্ম সম্মেলনে ভোগ পুনরুদ্ধার ও সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। গত মাস থেকে বিভিন্ন স্থান ভোগের ক্ষমতা বাড়ানো, ভোগের অবস্থা উন্নত করা এবং ভোগ পরিস্থিতি উদ্ভাবন করার চেষ্টা করে। ভোগের ক্ষমতা অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে হবে।
হাইনান প্রদেশে বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রচারমূলক ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়। বসন্ত উত্সব মেলা ও আউটলাইং আইল্যান্ডস ডিউটি ফ্রি শপ অসংখ্য পর্যটককে আকর্ষণ করে। ১ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি শপের ভোগের পরিমাণ ছিল ৫.১৯ বিলিয়ন ইউয়ান।
থিয়ানচিন ২০২৩ সালকে ভোগ বর্ষ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী ভোগ বাড়ানোর অনুষ্ঠান হবে। শাংহাই সবুজ বুদ্ধিমান সবুজ স্মার্ট বাড়ির যন্ত্রপাতির জন্য ভর্তুকি দেবে এবং নতুন শক্তির যানবাহন প্রতিস্থাপনের ভর্তুকি কার্যকর করবে। শানসি প্রদেশ সক্রিয়ভাবে খেলাধুলা, স্বাস্থ্যসেবা, শিশুদের যত্ন এবং গৃহস্থালির মতো নতুন ভোগ উন্নত করবে। হেইলোংচিয়াং প্রদেশ ব্যাপকভাবে পর্যটন শিল্প উন্নত করবে।
বসন্ত উত্সবের সময় চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটক ৩০৮ মিলিয়ন পার্সনটাইম ছিল এবং আয় ছিল ৩৭৫.৮৪৩ বিলিয়ন ইউয়ান। যা গত বছরের বসন্ত উত্সবের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। দেশব্যাপী ৭০০ মিলিয়নেরও বেশি এক্সপ্রেস পার্সেল গৃহীত হয়েছে। তা ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। দেশব্যাপী ভোগ-সংক্রান্ত শিল্পের আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২.২ শতাংশ বেশি হয়েছে।
বসন্ত উত্সব ছুটির পর চীনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নির্মাণ জোরদার করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বেইজিং শহরের ২০২৩ সালের প্রথম দফা গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো একযোগে চালু করা হয়। এতে ৫০টি পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বিনিয়োগের পরিমাণ মোট ৪৮.৬ বিলিয়ন ইউয়ান।
বর্তমানে চীনের অনেক জায়গায় বসন্তকালীন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শস্য উত্পাদনের পরিকল্পনা করা এবং কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ ও পরিবহনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসন্তের প্রাণশক্তি চীনের অর্থনীতির শক্তিশালী জীবনীশক্তিকে প্রমাণ করে।
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কাং ই বলেন, মহামারী প্রতিরোধের কাজ নতুন পর্যায়ে উন্নত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধাজনক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়েছে। চীনে উত্পাদন ও জীবনের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্তঃসত্ত্বা চালিকাশক্তি সঞ্চিত ও শক্তিশালী হবে। ২০২৩ সালে চীনা অর্থনীতি অবশ্যই সামগ্রিকভাবে উন্নত হবে।
(ছাই/তৌহিদ)