ফেব্রুয়ারি ১: গতকাল (মঙ্গলবার) জাপান সফররত ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, নেটওয়ার্ক ও অস্ত্র প্রতিযোগিতাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে দু’পক্ষ একমত হয়েছে। পাশাপাশি, সামরিক শক্তি ও তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সমালোচনা করতেও তাঁরা ভোলেননি। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে স্টোলটেনবার্গ চীনের সমালোচনা করেছেন; তিনি বলেছেন, চীন পশ্চিমা দেশগুলোর মুল্যবোধ, স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় জন্ম ন্যাটোর। যুক্তরাষ্ট্র কথিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের চেতনায় চীনকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এ ব্যাপারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সতর্ক থাকতে হবে।
ন্যাটো জন্ম থেকে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট। জোটের জন্মের দিন থেকেই এটি যুক্তরাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। স্থায়ুযুদ্ধ শেষের পর, ন্যাটো তার লক্ষ্য ও দির্কনির্দেশনা হারায়। যার কারণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকখোঁ ‘ন্যাটো মরে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্ত গত বছরের শুরুতে ইউক্রেন সংঘর্ষ শুরুর পর, যুক্তরাষ্ট্র এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে, ন্যাটোকে আবারও চাঙ্গা করা অপচেষ্টা চালাতে থাকে। আর এর উদ্দেশ্য, চীনের অগ্রগিত রোধ করা এবং মার্কিন আধিপত্য রক্ষা করা। তবে, মনে রাখতে হবে যে, আজকের ন্যাটো আর আগের ন্যাটো এক নয়। সংস্থাটি যেখানে-সেখানে চীনকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অপপ্রচার চালালেও, সেটা যে স্রেফ রাজনৈতিক গালগপ্পো, তা বিশ্বাবাসী জানে।
বস্তুত, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বড় দেশগুলোর লড়াইয়ের ক্ষেত্র নয়। ন্যাটোকে এ অঞ্চলে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে বা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর ষড়যন্ত্রে জিততে দেবে না এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অধিবাসীরা।
(রুবি/আলিম/শিশির)