আল্পসের তুষার পর্বতমালায় উড়ন্ত সিংহ
2023-01-31 14:01:30

বিভিন্ন দেশে চমত্কার বসন্ত উৎসব কার্যক্রম অনুষ্ঠিত


গত কিছুদিন ধরে, বিদেশে অবস্থানরত চীনা কর্মীরা, প্রবাসী চীনা এবং বিভিন্ন দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলি চীনা চন্দ্র নববর্ষ বা খরগোশ বর্ষের বসন্ত উত্সব উদযাপনের জন্য বিভিন্ন বর্ণিল কার্যক্রম আয়োজন করেছে। ঐতিহ্যবাহী উৎসব মানুষকে উষ্ণতা, আনন্দ উপহার দিয়েছে।

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ট্রেবিঞ্জে ‘শুভ চীনা নববর্ষ’ পারফরম্যান্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় চীনের রাষ্ট্রদূত জি পিং, ট্রেবিঞ্জে সিটির মেয়র কোরিক, স্থানীয় লোকজন এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় তিন শতাধিক প্রবাসী চীনা উপস্থিত ছিলেন। প্রফুল্ল ‘বসন্ত উত্সব ওভারচার’ দিয়ে পারফরম্যান্সের সূচনা হয়। দুই দেশের শিক্ষার্থীরা একসাথে ‘লাভ মাই চায়না’ গানটি গান। ঘটনাস্থলেই ইউ অপেরা এবং ক্যালিগ্রাফি পারফরম্যান্সও পরিবেশিত হয়, দর্শকদের ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির চেতনা অনুভব করতে পারেন।

 

বসন্ত উত্সব চলাকালীন, ইকুয়েডরের সিমিও ওয়েইহুয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্যাম্পাসে লাল লণ্ঠন ঝুলানো হয়। শ্রেণীকক্ষে বসন্ত উত্সবের কাপলেটগুলি পোস্ট করা হয় এবং জানালায় লাল রঙের গ্রিল লাগানো হয়। পুরো ক্যাম্পাসটি একটি উত্সবের পরিবেশে ভরে ওঠে। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য স্কুলটি একটি বৃহৎ আকারের কার্যকলাপেরও আয়োজন করে। শিক্ষার্থীরা বাবা-মা এবং অতিথিদের কাছে চীন ও ইকুয়েডরের সংস্কৃতিকে একীভূত করে একটি গান ও নৃত্য অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে এবং চা শিল্প, মাটির মূর্তি তৈরি, চীনা কাগজ কাটা এবং পেইন্টিং-এর মতো দক্ষতা প্রদর্শন করে।

 

শুভ খরগোশ, অষ্টভুজাকার প্যাভিলিয়ন এবং হাজার হাজার লাল লণ্ঠন দিয়ে কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার কেন্দ্রে ৯৩টি পার্ক সজ্জিত করা হয়। কলম্বিয়া-চীন ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে ‘চীনা নববর্ষের’ মন্দির মেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ আসে। মন্দির মেলার বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ ও রঙিন। লোকেরা ড্রাগন নাচ, সিংহ নাচ এবং মার্শাল আর্ট উপভোগ করে, চীনা কাগজ কাটার অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং চপস্টিক ব্যবহার করে।

 

কিরিবাটিতে চীনা দূতাবাস সম্প্রতি বসন্ত উৎসবের সংবর্ধনার আয়োজন করে। কিরিবাটির প্রেসিডেন্ট, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার এবং কিরিবাটির অন্যান্য কর্মকর্তা, কিরিবাটির কূটনৈতিক মিশন, কিরিবাটিতে বিদেশি চীনা এবং চীনের সাহায্যপ্রাপ্ত কিরিবাটি প্রকল্পের জন্য বিশেষজ্ঞ দল এবং মেডিকেল টিম, চীনা অর্থায়নকৃত উদ্যোগসহ প্রায় তিনশ’ মানুষ মানুষ খরগোশ বর্ষ উদযাপন করার জন্য একত্রিত হয়।

 

ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মান ওভারসিজ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৩ সালের বসন্ত উত্সব গালা আয়োজন করে। ফ্রাঙ্কফুর্ট সিটি কাউন্সিলর মাইক জোসেফ গালায় যোগ দেন। তিনি এক বক্তৃতায় বলেন, ফ্রাঙ্কফুর্ট সিটি সরকার একটি আন্তর্জাতিক শহরে ফ্রাঙ্কফুর্টের আরও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য চীনা সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানান এবং জার্মানিতে প্রবাসী চীনাদের নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

 

খরগোশ চীনা চন্দ্র নববর্ষ এবং চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫৯তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য, ফ্রান্সে চীনা দূতাবাস প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতরে ‘চীন-ফরাসি খাদ্য সংস্কৃতি রাত’ আয়োজন করে। ফরাসি সাংবিধানিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ফ্যাবিয়াস বলেন যে, খাদ্য সংস্কৃতি চীন ও ফ্রান্সের দুটি মহান সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি চীনা জনগণকে চীনা নববর্ষের শুভেচ্ছা পাঠান এবং ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে চিরকালীন বন্ধুত্ব কামনা করেন।

ফ্রান্সে চীনা দূতাবাস প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দফতর ‘চীন-ফরাসি গ্যাস্ট্রোনমি নাইট’ আয়োজন করে। এই আয়োজনে খাবার পরিবেশন করা হয়।


নিউইয়র্কে চীনা লোকসংস্কৃতি উৎসব খরগোশ বর্ষের বসন্ত উৎসবের আমেজ যোগ করেছে

নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের চাইনিজ কমিউনিটিতে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল চীনা লোকসংস্কৃতি উৎসব। তা এই বছর আবার শুরু হয়েছে। কয়েক ডজন লোকজ স্টল এবং তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নিউইয়র্কে বিদেশি চীনাদের জন্য হারিয়ে যাওয়া প্রাণবন্ত পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে এবং খরগোশের বর্ষের বসন্ত উৎসবের আমেজ উপহার দিয়েছে।

 

বসন্ত উৎসবের কাপলেট লেখার পাশাপাশি, লোকসংস্কৃতি উৎসবটি ঐতিহ্যবাহী চীনা হস্তশিল্প যেমন কাগজ কাটা, অরিগামি, ময়দার মূর্তি মাখানো, চীনা গিঁট বাঁধা, চীনা চিত্র আঁকা, চিনি তৈরির মতো ঐতিহ্যবাহী চীনা হস্তশিল্প উপহার দিয়েছে। থিয়েটার পারফরম্যান্সের মধ্যে রয়েছে তাই চি, পিকিং অপেরা, উশু, পাশাপাশি নাচ এবং চীনা লোক গান। বেশ কিছু ক্যালিগ্রাফার স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল কাপলেট এবং আশীর্বাদের অক্ষর লিখেছিলেন বিনা মূল্যে লোকেদের জন্য। তারা ইভেন্ট চলাকালীন ব্যস্ত ছিল এবং বসন্ত উৎসবের শত শত কাপলেট কপি পাঠিয়েছেন।

 

শিক্ষক সং, যিনি স্থানীয় চীনা স্কুলে হস্তশিল্প শেখান, তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন, কীভাবে চীনা গিঁট বাঁধতে হয়। লোকসংস্কৃতি উৎসবের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া অনেক লোক তাদের বুকের উপর লাল কাগজে ত্রি-মাত্রিক ‘বসন্ত’ অক্ষর পরিধান করে। এই ‘চীনা লাল’ মানুষকে নতুন বছরের একটি শক্তিশালী অনুভূতি দেয়। কাগজ-কাটা শিল্পীরা খরগোশের বর্ষের বসন্ত উৎসবের জন্য বিশেষভাবে নকশা তৈরি করে, খরগোশের ছবির সঙ্গে ‘বসন্ত’ শব্দটি একত্রিত করে। চিনির পেইন্টিং বুথে লোকেরা যে প্যাটার্ন পছন্দ করেন, তারা সেটাই লাভ করেন। শুধুমাত্র চিনির পেইন্টিং তৈরির প্রক্রিয়া নয়, বরং মিষ্টির স্বাদও নিতে পারেন তারা।

 

ময়দার মূর্তি মাখানোর শিল্পীরা রঙিন আঠালো চালের ময়দা প্রাণবন্ত এবং রঙিন ময়দার মানুষ বা প্রাণীদের মাখান। এই অভিনব আকারগুলি অনেক শিশুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রযোজনা শিল্পীর মতে, যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের পরও এসব কাজ অটুট রয়েছে।

গোটা লোকশিল্প উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ছিল থিয়েটার পারফরম্যান্সে। অভিনেতাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৯০ দশকের বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। কিছু লোক নিউ ইয়র্ক স্টেট থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এসেছেন। অনুষ্ঠানটি খুব চমত্কার ছিল। দুই অভিনেত্রী তাদের হাতে ফিতা নিয়ে ‘রেইনবো ডান্স’ পরিবেশন করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একজন গায়ক ‘নো ওয়ান স্লিপস টুনাইট’ এবং ‘ড্রিংকিং গান’ গেয়েছেন...

নিউইয়র্ক ফেডারেশন অফ চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান চেন মেই সাংবাদিকদের বলেন, চীনা লোক সংস্কৃতি উৎসব ষষ্ঠবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেদিন প্রায় ৪০টি বুথ স্থাপন করা হয় এবং তা দুই হাজারেও বেশি মানুষ এতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল। মহামারীর আগে মানুষের সংখ্যা কম ছিল না, যা অপ্রত্যাশিত। চেন মেই বলেন, এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো- ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতি- যেমন লোকপ্রথা এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের কথা জানাতে সবাইকে একত্রিত করা।


আল্পসের তুষার পর্বতমালায় উড়ন্ত সিংহ



স্লোভেনিয়ান আল্পসের ক্রভাভেকের স্কি রিসর্টটি পরিষ্কার আকাশের নীচে অবস্থিত। একটি কালো ‘বড় সিংহ’ এবং একটি লাল ‘ছোট সিংহ’ স্নোবোর্ডে পাহাড়ের ধারে ছুটে আসছে। তারা অনেক স্কিয়ারের মধ্যে শাটল করত, কখনও দ্রুত এবং কখনও ধীরগতিতে, কখনও বা বাম এবং ডানে এবং কখনও বাতাসে লাফ দিয়ে উচ্চ-কঠিন স্কিইং আন্দোলন করে; যা অনেক স্কিয়ারকে আকৃষ্ট করেছিল। ‘সিংহের মাথা’ খুলে ফেলার পরে, লোকেরা বুঝতে পারে যে- এটি একটি সিংহ নাচের দল, যা দু’জন চীনা মানুষের কাজ। অবিলম্বে, সবাই চারপাশে জড়ো হয় এবং জিজ্ঞাসা করে যে তারা ‘সিংহের মাথা’ দিয়ে ছবি তুলতে পারে কিনা।

 

স্লোভেনিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং শুনকিং স্লোভেনিয়া চীনা চেম্বার অফ কমার্সের লায়ন ড্যান্স দলের পারফরম্যান্সের জন্য তার আন্তরিক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘স্নো মাউন্টেন ফ্লাইং লায়ন’ পারফরমেন্সটি অভিনব, যা স্লোভেনীয় স্কিইংয়ের ঐতিহ্যবাহী খেলার সঙ্গে চীনা সিংহ নাচের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি মিশ্রণ ঘটিয়েছে।

 

শীতকালীন ক্রীড়া খাতে চীন ও স্লোভেনিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলার সময় ওয়াং শুনকিং বলেন, স্লোভেনিয়া শীতকালীন ক্রীড়া খাতের একটি শক্তিশালী দেশ। চীন ও স্লোভাকিয়ার সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। চীনের জাতীয় স্কি জাম্পিং টিম-সহ অনেক দল স্লোভেনিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের জন্য জাতীয় স্কি জাম্পিং সেন্টারও দুই পক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছিল। ‘আমি আশা করি, ভবিষ্যতে শীতকালীন ক্রীড়ায় দুই দেশের আরও সহযোগিতা হবে; যা দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দুই জনগণের বন্ধুত্ব বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

 

বসন্ত উত্সব উদযাপনের জন্য, সিংহ নাচের দলও ‘আশীর্বাদ’ ব্যাগ ভর্তি বিস্কুট তৈরি করে এবং উপস্থিত শিশুদের মধ্যে বিতরণ করে। সিনহুয়া বার্তা সংস্থার একজন প্রতিবেদক ‘আশীর্বাদ’ ব্যাগের বিস্কুট খুললেন এবং একটি নোট প্রকাশ করলেন - ‘আপনি শিখরে যাওয়ার পথে আছেন’। প্রতিটি বিস্কুটে আলাদাভাবে ভালো প্রত্যাশার কথা লেখা রয়েছে।

চাইনিজ চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন যে, সিংহ নাচ একটি ঐতিহ্যবাহী চীনা খেলা, অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার তুষার ক্রীড়া বিশ্বমানের।

স্লোভেনিয়ান চাইনিজ চেম্বার অফ কমার্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। জানা গেছে, ২০১৯ সালে, চেম্বার অফ কমার্স, স্লোভেনিয়ায় চীনা দূতাবাস এবং কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ‘স্নো মাউন্টেন ফ্লাইং ড্রাগন’ ইভেন্টের আয়োজন করেছিল।


অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ‘চায়না টুডে’ শিল্প সপ্তাহ শুরু হয়েছে


‘চায়না টুডে’ শিল্প সপ্তাহ জানুয়ারির শেষে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অ্যাডিলেডে শুরু হয়েছে। শিল্প সপ্তাহটি চায়না ফেডারেশন অফ লিটারারি অ্যান্ড আর্ট সার্কেল, অস্ট্রেলিয়ায় চীনা দূতাবাস, অ্যাডিলেডের চীনা কনস্যুলেট জেনারেল এবং অ্যাডিলেড ফেস্টিভাল সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।

শিল্প সপ্তাহের কার্যক্রমের দুটি অংশ রয়েছে: ‘উত্তরাধিকারের রাস্তা’ চীনা অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উত্তরাধিকারীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী এবং চীনের হেইলংচিয়াং প্রদেশের চমৎকার শিল্পকর্মের ‘কালো মাটির শৈলী’ প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে জিংদেজেনের প্রতিনিধিত্বকারী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারীদের সিরামিক শিল্পকর্মের ৫০টি টুকরো (সেট) এবং হেইলংজিয়াং প্রদেশের অসামান্য শিল্পীদের তৈরি ঐতিহ্যবাহী চীনা পেইন্টিং, তৈলচিত্র, প্রিন্ট ও জলরঙের মতো ৩৯টি শিল্পকর্ম নির্বাচন করা হয়।

 

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর ফ্রান্সিস অ্যাডামসন তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, একজন প্রাক্তন কূটনীতিক এবং বর্তমান গভর্নর হিসাবে, তিনি কূটনীতিতে এবং আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনে কাজ করছেন এবং চীনা শিল্পের প্রতি তার দৃঢ় আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

অ্যাডিলেড ফেস্টিভ্যাল সেন্টারের সিইও ডগলাস গাউথিয়ার বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা- দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে সহায়ক। প্রদর্শনীর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার জনগণ চীনা শিল্পীদের চমৎকার কাজ দেখতে পাবে।

 

অস্ট্রেলিয়ায় চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা সং ইয়ানছুন বলেন, সংস্কৃতির যোগাযোগের ভূমিকা রয়েছে। চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং চীনা নববর্ষের সময় ‘চায়না টুডে’ শিল্প সপ্তাহ চালু করা হয়, যার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, অনেক অস্ট্রেলিয়ান মানুষ চীনা ঐতিহ্য এবং আধুনিক শিল্পকর্মের প্রশংসা করবেন।

অ্যাডিলেডের চীনা কনসাল জেনারেল হ্য লানজিং তার বক্তৃতায় বলেন, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

 

জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই