জানিয়ান বাদ্যযন্ত্রে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের সঙ্গীত বাজে
2023-01-30 16:26:45

জানুয়ারি ৩০: ছয় তারের বাদ্যযন্ত্র- জানিয়ান ছিন। এটি লিউশিয়ানছিন নামেও পরিচিত, ঐতিহ্যবাহী তিব্বতি গান ও নৃত্য ‘দুই শিয়েতে’ সর্বাধিক ব্যবহৃত যন্ত্র এটি। তিব্বতি ভাষায় জানিয়ান শব্দের অর্থ ‘সুরেলা শব্দ’। তিব্বতে, জানিয়ান যন্ত্রটি জনসাধারণের খুব প্রিয়।

তিব্বতের শিগাতসের লাজি জেলায় জানিয়ান যন্ত্র উত্পাদনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ২০১৪ সালে, ‘জানিয়ান যন্ত্র উত্পাদন দক্ষতা’ জাতীয় বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধির তালিকার চতুর্থ দফা নির্বাচিত হয়। ৪৭ বছর বয়সী সোলাংছিওংলা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তিনি ১৪ বছর বয়সে তার বাবার কাছ থেকে এর ব্যবহার শিখেন এবং ছয় বছর পরে একজন শিক্ষক হন। ২০১০ সালে তিনি ও তার বন্ধুরা জানিয়ান যন্ত্র তৈরির জন্য ‘জাতীয় হস্তশিল্প কৃষক পেশাদার সমবায়’ প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্যবসা শুরু করার প্রথম দিকে, সুওলাংছিওংলা তহবিলের ঘাটতি এবং দুর্বল বিক্রয় চ্যানেলের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। ২০১১ সালে লাজি জেলা সরকার তাকে সরঞ্জাম এবং মূল কাঁচামাল ক্রয়ে সাহায্য করার জন্য ৭১ হাজার ইউয়ান দেয়; যা তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটায়। পরে, সোলাংছিওংলা জানিয়ান যন্ত্রের উত্পাদন প্রক্রিয়া উন্নত করেন। এতে যন্ত্র তৈরির সময় ১০ দিন থেকে কমে ৩ দিন হয়। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং ভাল খ্যাতির জন্য বিক্রির পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং সমবায়ের আয়ও বেড়ে যায়।

সরকার এখন বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে সমবায়ে কয়েক ডজন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং জানিয়ান যন্ত্র সারা তিব্বতে বিক্রি হয়। সমবায়ের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ এক মিলিয়ন ইউয়ান হয়েছে। ‘বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ লালন গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

(ইয়াং/তৌহিদ/ছাই)