জানুয়ারি ২৯:বসন্ত উত্সবের ছুটির সময় চীনের মোট ৩০.৮ কোটি মানুষ অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ করেছেন এবং এ সময় দেশীয় পর্যটন খাতে আয় হয়েছে ৩৭৫.৮৪৩ বিলিয়ন আরএমবি। এ দুটি সংখ্যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ২৩.১ ও ৩০ শতাংশ বেশি।
বসন্ত উত্সব ছুটিতে চীনা চলচ্চিত্রের বক্স অফিসের আয় হয় ৬৭৫.৮ কোটি আরএমবি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৮৯ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া, বসন্ত উত্সবের ছুটিতে চীনে প্রবেশ করা এবং চীনের বাইরে যাওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের তুলনায় ১২০.৫ শতাংশ বেড়েছে।
চান্দ্রপঞ্জিকার খরগোশ নববর্ষের ছুটিসংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, চীনের অর্থনীতিতে ভালো সূচনা হয়েছে। চলতি বছরের বসন্ত উত্সব ছিল চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন সময়ে প্রবেশের পর প্রথম বসন্ত উত্সব। এ সময় চীনাদের ভোগ বেড়েছে, ব্যয় বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত চীনের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসম্মেলনে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৩ সালে ভোগ পুনরুদ্ধার ও সম্প্রসারণের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বসন্ত উত্সবের সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কুপন ও ডিসকাউন্ট দিয়ে ভোগ বড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চলতি বছরের বসন্ত উত্সবে আমদানিকৃত প্রসাধনী, মদ এবং তাজা জলজ পণ্যসহ বিদেশী পণ্য চীনে জনপ্রিয় হয়েছে এবং এতে বড় বাজার হিসেবে চীনের আকর্ষণশক্তির প্রতিফলন ঘটেছে। এতে চীনে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
এবার তুলনামূলকভাবে বেশি চীনা বিদেশে নববর্ষ উদযাপন করেছেন। কোনো কোনো বিদেশী গণমাধ্যম জানায় যে, লাখ লাখ চীনা পর্যটকের প্রত্যাশিত আগমন বিশ্বজুড়ে হোটেল, পর্যটন এবং ব্যবসা খাতে চাঙ্গাভাব নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিবেশ এখনও জটিল। চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ভিত্তি এখনও শক্ত নয়। সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এখনও অনেক প্রচেষ্টার প্রয়োজন। যাই হোক, চীনা জনগণ ২০২৩ সালে টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। (লিলি/আলিম/রুবি)