জানুয়ারি ২৪: গত ১৮ জানুয়ারি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং হেইলংচিয়া, ফুচিয়ান, সিনচিয়াং, হ্যনান, বেইজিং ও সিছুয়ানের তৃণমূল পর্যায়ের ক্যাডার ও নাগরিকদের সঙ্গে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসবের সময় আমার তৃণমূল ক্যাডারের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল ছিলাম। আগে আমি বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করতাম। এ বছর ভিডিও সংযোগের পদ্ধতিতে আমি আরো বেশি অঞ্চলের কমরেডদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। যদিও আমরা মুখোমুখি হইনি, তবুও আমি বিভিন্ন অঞ্চলের বসন্ত উৎসবের স্বাদ পেয়েছি, সবার সুখ ও আনন্দ আমি অনুভব করতে পেরেছি। চীনের বিভিন্ন জাতির মানুষের মন সংযুক্ত হয়েছে।
ছুসি ও বসন্ত উৎসব হলো চীনা জাতির ঐতিহ্যবাহী উৎসব ও পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনের দিন। সি চিন পিং বলেন, আমার সবচেয়ে বড় আশা হলো সবাই একসঙ্গে আনন্দময় বসন্ত উৎসব কাটাবে। বিভিন্ন পর্যায়ের চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র কমিটি ও সরকারকে উৎসবের সময় বিদ্যুত্, প্রাকৃতিক গ্যাস ও তাপ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান করতে হবে। বিশেষ করে নতুন পর্যায়ের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। সব চীনা জনগণের আনন্দময়, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বসন্ত উৎসব কাটানো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, গেল বছর সহজ ছিল না। আমরা একসঙ্গে বিভিন্ন কঠিনতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। আমরা বিভিন্ন নতুন সাফল্য অর্জন করেছি। সবাই অবদান রেখেছেন। নতুন বছর আমরা অবশ্যই আরো বেশি সাফল্য লাভ করবো।
২০২২ সালের ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং শানসি প্রদেশের লিনফেন ও জিচং পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জনগণকে সুখী জীবন উপহার দেওয়া হলো শতাব্দীব্যাপী সিপিসি’র নিরন্তর সাধনা। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও দায়িত্ব ভুলে যাওয়া যাবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে।
২০২১ সালের ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি কুইচৌ প্রদেশের বিচিয়ে ও কুইইয়াংয়ে পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেন, চীনা জাতি একটি বড় পরিবার। চীনে ৫৬টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে, ঠিক যেন ৫৬টি ফুল। সার্বিক স্বচ্ছল সমাজ ও সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন গড়ে তোলায় কোনো জাতি পিছিয়ে থাকবে না।
২০২০ সালের ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সি চিন পিং ইউন-নান প্রদেশের থেংচং ও খুনমিং পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র উন্নত করতে হবে। সচেতনভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে নতুন উন্নয়নের ধারণা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের সিপিসি ও চীনের ইতিহাস শিখতে হবে এবং সিপিসি’র প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও দায়িত্ব বোঝাতে হবে।
২০১৯ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি তিনি বেইজিং শহর পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, একটি শহরের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতি হলো শহুরে জীবনের অংশ। পুরানো শহর রূপান্তর করার পাশাপাশি আমাদের ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে হবে। জনগণের বসবাসের পরিবেশ উন্নয়নের পাশাপাশি ইতিহাস ও সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে।
২০১৮ সালের ১০ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সিছুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান ই জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নার, আবা তিব্বতি ও ছিয়াং জাতির স্বায়ত্তশাসিত বান্নার ও ছেংতু শহরে পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, সমাজতন্ত্রের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন জাতির জনগণকে সুখী ও সুন্দর জীবন দেওয়া। চীনের অর্থনীতি দ্রুত প্রবৃদ্ধি থেকে উচ্চ মানে উন্নয়নের পর্যায়ে উঠেছে। আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলো চীনের উন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য। নাগরিকদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, সামাজিক নিশ্চয়তা ও সমাজের স্থিতিশীলতা বাড়াতে হবে।
২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি হ্যপেই প্রদেশের চাং চিয়া খৌ শহর পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দারিদ্র্যবিমোচন, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বাস্তবায়ন হলো সমাজতন্ত্রের অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা ও সিপিসি’র দৃঢ় প্রচেষ্টার লক্ষ্য। গ্রামের মৌলিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা জোরদার করতে হবে। কৃষকদের নেতৃত্বে সার্বিকভাবে দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন করতে হবে।
(ছাই/তৌহিদ)