সম্প্রতি চীনে মহামারী প্রতিরোধব্যবস্থা শিথিল হওয়ায়, জনসাধারণের যাতায়াত বাড়ছে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও কেনাকাটা বাড়ছে। ফলে, দেশের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে নতুন বছরের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।
ঠিক বসন্ত উত্সবের এক সপ্তাহ আগে, বেইজিংয়ের সিতান শপিং মলে গ্রাহকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেক দোকানের ডেস্কের সামনে লম্বা লাইন। এর মধ্যে রেস্তোঁরাগুলো আছে এগিয়ে।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিতান শপিং মলে অধিকাংশ রেস্তোঁরার সামনে আসনের জন্য অপেক্ষারত মানুষ দেখা যায়। চায়ের দোকান ও কেকের দোকানের অডার ডেস্কের সামনেও লম্বা লাইন। টেবিলে খাবারের সুস্বাদু গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরের স্বাদও পাওয়া যায়।
বসন্ত উত্সবকে স্বাগত জানানোর জন্য বেইজিংয়ের অনেক শপিংমল প্রচার কার্যক্রমের আয়োজন করে। খাবার, স্বর্ণজাত পণ্য, জুতা ও পোশাকের ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট, কেনাকাটা লটারি, ১ ইউয়ানের সেকিল কুপন এবং শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বিনোদনের ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন বছরের আমেজ অনুভব করতে পারেন ক্রেতারা।
নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য চীনাদের মধ্যে স্বর্ণজাতীয় পণ্য কেনার অভ্যাস আছে। যদিও সম্প্রতি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবুও মানুষের স্বর্ণ কেনা থেমে নেই। এর মধ্যে সৌভাগ্যের জপমালা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ ছাড়া, বিনিয়োগের জন্য সোনার বারও খুব জনপ্রিয়। স্বর্ণের অলঙ্কার থেকে সোনার বারের দাম তুলনামূলকভাবে সস্তা হয় এবং বিনিয়োগের জন্য আরও উপযুক্ত।
ভোগ বাড়ানোর জন্য তথা পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ভোক্তা-ভাউচার বিতরণ করা হয়। তথ্যমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ৪০টিরও বেশি শহর গাড়ি, খাবার, বরফ-তুষার ক্রিড়া এবং সংস্কৃতি ও পর্যটনসহ অনেক খাতে ভোক্তা-ভাউচার বিতরণ করেছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য কোন কোন অঞ্চলে দর্শনীয় স্থানের ফ্রী টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘নববর্ষের জাতীয় অনলাইন কেনাকাটা উত্সব, ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উত্সবের প্রধান ভেন্যু ছিল কুয়াংতোং প্রদেশে। বিভিন্ন জায়গার শাখা ভেন্যুতেও বৈশিষ্ট্যময় আনুষঙ্গিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
মোদ্দাকথা, চীনজুড়ে বিভিন্ন শপিংমলে এখন কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সেখানে গেলে নববর্ষের স্বাদ পাওয়া যায়, দেখা যায় মহামারীপরবর্তী এক নতুন প্রাণবন্ত চীনকে। (প্রেমা/আলিম)