জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত চীনা নাগরিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা: সিএমজি সম্পাদকীয়
2023-01-18 18:52:11

জানুয়ারি ১৮: মহামারী প্রতিরোধব্যবস্থা নতুন পর্যায়ে প্রবেশের কারণে, অন্যান্য দেশের সাথে চীনের বিনিময় আরও সুবিধাজনক হয়েছে। আন্তর্জাতিক সমাজও চীনের নতুন ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে, গুটিকতক দেশ বিজ্ঞান ও বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে, চীনা পর্যটকদের জন্য বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। চীনও, বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে, পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর লক্ষ্য নিজের নাগরিকদের বৈধ স্বার্থ রক্ষা করা এবং অন্য দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক বিনিময় ও সহযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

 

এই অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাম আছে। ৫ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পর্যটকদের সেদেশ প্রবেশের ক্ষেত্রে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ আরোপ করে। জাপান বিধিনিষেধ আরোপ করে ৮ জানুয়ারি। আর দক্ষিণ কোরিয়া তো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চীনা নাগরিকদের ভ্রমণভিসা দেওয়াই স্থগিত করে দেয়।

 

জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া চীনের প্রতিবেশী। দুটি দেশের সাথে চীনের আর্থিক খাতে যোগাযোগ অনেক ঘনিষ্ঠ। দেশ দুটির চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক বিনিময় পুনরুদ্ধারের সুযোগকে স্বাগত না- জানানোর কোনো কারণ নেই। তবে, এই দুই দেশ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্রদেশ। আর তাই, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপটে, এই দুই দেশ  যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই চীনা পর্যটকদের বিরুদ্ধে একই ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

গেল তিন বছর চীন মহামারী প্রতিরোধব্যবস্থার মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে, যা বিশ্বের মহামারী প্রতিরোধে বড় অবদান। দেশ-বিদেশের সব মানুষের জন্য চীনের মহামারী প্রতিরোধসংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ একই ছিল; কোনো বৈষম্য ছিল না।  

 

এখন চীনের অধিকাংশ জায়গায় মহামারীর ঢেউ প্রায় শেষ পর্যায়ে, সর্বত্র জীবন স্বাভাবিক হয়ে আসছে। চীনে এখন কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়াচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বছরের মে মাসে তা আগেই আবিস্কার করা হয়। তাই চীনা পর্যটকদের  প্রতি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ নেই।

 

গেল তিন বছরে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহামারী মোকাবিলা করেছে। নতুন পরিস্থিতিতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত বৈজ্ঞানিক মনোভাব নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া।

(শুয়েই/আলিম/আকাশ)