‘চীনের প্রভাব (ইমপ্রেশন অফ চায়না)- ইরানি যুব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ প্রদর্শনী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে
2023-01-17 19:21:00

‘চীনের প্রভাব (ইমপ্রেশন অফ চায়না)- ইরানি যুব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ প্রদর্শনী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয়েছে

‘আমার পেইন্টিংগুলিতে ঐতিহ্যবাহী চীন ও আধুনিক চীন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

৪ জানুয়ারি তেহরানে অনুষ্ঠিত প্রথম ‘ইমপ্রেশন অফ চায়না-ইরানী যুব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ এর পুরস্কার অনুষ্ঠান এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, ১৩ বছর বয়সী মাহশিদ কাসিমি এভাবে তার চিত্রকর্মের পরিচয় দেয়। এবার ‘ইমপ্রেশন অফ চায়না-ইরানী যুব চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ ৭ থেকে ১১ বছর বয়সী এবং ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী দুটি বয়স গ্রুপে বিভক্ত এবং সারা ইরান থেকে কিশোর-কিশোরীদের জন্য ৪২৭টি পেইন্টিং সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচনের পর, প্রতিটি গ্রুপ একটি প্রথম পুরস্কার, দুটি দ্বিতীয় পুরস্কার এবং তিনটি তৃতীয় পুরস্কার নির্বাচন করেছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত কাজসহ ৭০টি চিত্রকর্ম ৪ জানুয়ারি থেকে এক মাসের প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। প্রতিবেদক প্রদর্শনীস্থলে দেখেন যে, বেশিরভাগ পুরস্কার বিজয়ী কাজগুলি লাল লণ্ঠন, গ্রেট ওয়াল ও ড্রাগনের মতো আইকনিক চীনা সাংস্কৃতিক উপাদানে সজ্জিত এবং চীন সম্পর্কে ইরানি কিশোরদের কল্পনা ও চিন্তাভাবনায় পূর্ণ।

ইসফাহান প্রদেশের কাসিমি ১২-১৬ বয়সী গ্রুপে প্রথম পুরস্কার জয় করে। সে জানায় ঐতিহ্যবাহী চীনকে চিত্রিত করার সময়, সে ড্রাগন, পাখা ও প্রাচীন ভবনগুলির মতো ইমেজ ব্যবহার করেছিলে এবং প্রধান রঙটি ছিল লাল, যার মধ্যে চীনা জনগণের চন্দ্র নববর্ষ উদযাপনের দৃশ্য রয়েছে; আধুনিক চীন অংশে, সে চীনের উচ্চ ভবন ও নগর উন্নয়ন চিত্রিত করার পাশাপাশি কৃষকদের উদযাপনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যা দারিদ্র্যবিমোচনে চীনের সাফল্য দেখায়।

 

কাসিমি জানায়, ‘আমি চীন সম্পর্কে খুব আগ্রহী। আমি সাধারণত চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্রের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে চীন সম্পর্কে শিখি এবং এভাবেই আমি চিত্রকর্মে ছবি পাই।’

৭ থেকে ১১ বছর বয়সী গ্রুপের প্রথম পুরস্কার বিজয়ী মেহরনাজ তোলুইয়ের চিত্রকর্ম ‘সিল্ক রোড’,  প্রাচীন পারস্য ও চীনা বাণিজ্য দৃশ্যকে চিত্রিত করেছে। ধারণাটি তার বাবা মাহমুদ থেকে লাভ করেছিল। ‘প্রাচীন সিল্ক রোড চীন ও ইরানকে সংযুক্ত করেছিল।’ মাহমুদ বলেন, ‘এখন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই পথের মাধ্যমে দুই দেশের সংস্কৃতিকে আবার সংযুক্ত করা উচিত।’

 

ইরানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ছাং হুয়া অনুষ্ঠানে বলেন,  এই প্রতিযোগিতার চিত্রকর্মগুলোর বিষয়বস্তু অনেক সমৃদ্ধ, চীনের প্রতি ইরানি কিশোর-কিশোরীদের আকুল আগ্রহ এবং চীন ও ইরানের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বজায় রাখা দরকার। আশা করা যায়, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দুই দেশের যুবকদের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করতে পারব, যাতে চীন ও ইরানের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এগিয়ে যায় এবং চীন ও ইরানের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারি নতুন অর্থ, নতুন গতি এবং নতুন প্রাণশক্তি দেখা যায়।

ইরানের জাতীয় কিশোর-কিশোরী বুদ্ধিজীবী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হামিদ আলামাতি বলেন, চীন একটি সংস্কৃতি, সভ্যতা ও শিল্পের দেশ এবং ইরানের সাহিত্যকর্মে প্রচুর চীনা গল্প ও চীনা উপাদান রয়েছে। ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে, বুদ্ধিজীবী শিক্ষাকেন্দ্র ইরানে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। যাতে দুই দেশের যুবকদের মধ্যে বিনিময়ে আরও গভীর হয়, যুবকদের মধ্যে ক্রমাগত পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, বন্ধুত্বের দূতদের আরেকটি ব্যাচ গড়ে তোলা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ে নতুন শক্তি যুক্ত হয়।

 

ইরানি কর্মকর্তা, এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং তাদের পরিবার, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়, ইরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৮০জন এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষায় প্রথম বর্ষের ছাত্র মানি জারেহ প্রদর্শনীতে আসেন। তিনি বলেন, প্রদর্শনী দেখে তিনি অনেক ‘অনুপ্রাণিত’। তিনি জানান, ‘আমি বুঝেছি যে এত বেশি ইরানি মানুষ চীনা সংস্কৃতিকে ভালোবাসে, যা আমাকে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিখতে এবং চীনকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য কঠোর পরিশ্রুত করতে অনুপ্রাণিত করে।’

 

শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা বিভাগের প্রধান ফরহাদ জওয়ানবখত হায়রাবাদী বলেন, চিত্রকর্ম থেকে ইরানি ও চীনা সংস্কৃতির পারস্পরিক প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এই চিত্রকর্ম প্রমাণ করে যে, ‘দুই দেশের সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতে একসাথে কাজ করার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে’।

 

নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘থাং কবিতার প্রতিধ্বনি’ বসন্ত উৎসব কনসার্ট

৭ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লিংকন সেন্টারে ‘থাং কবিতার প্রতিধ্বনি’ বসন্ত উৎসব কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন, ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রেশ, নিউইয়র্কে চীনা কনসাল জেনারেল হুয়াং পিং, জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, জাতিসংঘের ৪০টি দেশের স্থায়ী দূত এবং নিউ ইয়র্কের সর্বস্তরের মানুষসহ প্রায় ৭শ জন এই পরিবেশনা দেখেছেন।

সেই সন্ধ্যায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অন্যান্য দেশের তরুণ গায়করা ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রা এবং কন্ডাক্টর লিয়াও গুওমিনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে যৌথভাবে ‘静夜思থটস ইন এ কোয়েট নাইট’ এবং ‘将进酒ড্রিংকিং ইউ এ টোস্ট’ এর মতো বিখ্যাত থাং রাজবংশের কবিতার উপর ভিত্তি করে রচনা করার সঙ্গীতকর্ম পার্ফম করেছেন।’

 

অনুষ্ঠানের আগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঝাং জুন বলেন যে চীনের থাং রাজবংশের কবিতায় মানুষের ভাগ্য এবং জীবনের মূল্য সম্পর্কে চীনা জনগণের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এগুলির মধ্যে থাকা আধ্যাত্মিক শক্তি সময় ও স্থান অতিক্রম করতে পারে, দেশকে অতিক্রম করতে পারে এবং আধ্যাত্মিক অনুরণন জাগাতে পারে। ‘থাং কবিতার প্রতিধ্বনি’ কনসার্টটি থাং কবিতার মাস্টারপিসকে একটি নতুন উপায়ে ব্যাখ্যা করে, যা ধ্রুপদী এবং আধুনিক শিল্পের সংঘর্ষ এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার মধ্যে মিথস্ক্রিয়া।

 

ঝাং জুন বলেন, ‘আমি আশা করি বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে আদান-প্রদান এবং বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে বিনিময় ও পারস্পরিক শিক্ষার প্রচারের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই সব দেশের সংহতি ও সহযোগিতা আরও গভীর করতে পাবর। সব দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব, সব দেশের মানুষের হৃদয়কে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করে এবং পৃথিবীকে সুন্দর করে তুলব এবং আগামীকালকে রোদে ভরপুর করব।’

 

ক্রেশ তার বক্তৃতায় বলেন: ‘এই অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মধ্যে সেতু নির্মাণের তাত্পর্যকে প্রতিফলিত করে। বর্তমান বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার জন্য এই সংলাপ এবং সহযোগিতার চেতনা ঠিক যা প্রয়োজন। আসুন আমরা চীনের থাং রাজবংশের কবি ঝাং জিউলিংয়ের কবিতাটি মনে রাখি, ‘相知无远近,万里尚为邻’--একে অপরের সঙ্গে পরিচিতি দূরত্বের সঙ্গে জড়িত নয়। এমনকি তারা হাজার হাজার মাইল দূরে থাকলেও তাদের সুরেলা প্রতিবেশী বলা যেতে পারে। আমাদের উচিত পারস্পরিক বোঝাপড়ার নীতিকে সমুন্নত রাখা এবং সব দেশের মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য সঠিক পথে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া।’

 

ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ম্যাথিয়াস টারনোপোলিস্কি বলেন, ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে, আমরা দূরত্ব উপেক্ষা করতে পারি এবং হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা সত্ত্বেও আমরা এখনও প্রতিবেশী।’

‘থাং কবিতার প্রতিধ্বনি’ বসন্ত উৎসব কনসার্টটি ২০২৩ সালে চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘শুভ বসন্ত উত্সব’ কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান প্রকল্প। চীন সুচৌ সংস্কৃতি ও শিল্প কেন্দ্র, ফিলাডেলফিয়া অর্কেস্ট্রার উদ্যোগে, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন, জাতিসংঘে চীনা স্থায়ী মিশন এবং নিউইয়র্কে চীনা কনস্যুলেট জেনারেলের সহায়তায় যৌথভাবে আয়োজন করেছে।

 

কোরিয়ার চাচা সেওংমু হিও ও চীনের মধ্যে ত্রিশ বছরের গল্প

৫২ বছর বয়সী কোরিয়ান সেওংমু হিও হেইলংজিয়াংয়ের হারবিনে কোরিয়া ট্রেড সেন্টারের কিউরেটর এবং কোরিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন কর্পোরেশনের হারবিন প্রতিনিধি অফিসের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনে কাজ করেন এবং বসবাস করেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিনিময় প্রত্যক্ষ করেছেন এবং চীনের শক্তিশালী উন্নয়ন অনুভব করেছেন।

সেওংমু হিও-এর অফিসে, কোরিয়ান বিশেষত্বের সব ধরনের পণ্য রয়েছে। হেইলংজিয়াংয়ের সুংহুয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই কোরিয়ান বাণিজ্য প্যাভিলিয়েনের প্রধান কাজ হল চীনা ও কোরিয়ান কোম্পানিগুলিকে একে অপরকে বুঝতে সাহায্য করা এবং কোম্পানিগুলির মধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতা সহজতর করে। সেওংমু হিও বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল কোরিয়ান পণ্য, প্রযুক্তি ও পরিষেবা বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা। বর্তমানে, ২৪টি দেশে আমাদের মোট ১২৭টি বিদেশি বাণিজ্য হল রয়েছে এবং শুধুমাত্র চীনে আমাদের ২১টি বাণিজ্য হল রয়েছে। যা প্রমাণ করে যে, কোরিয়া সরকার চীনের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে।’

 

সেওংমু হিও এই কোরিয়ান সংস্থায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা হোক বা পারিবারিক জীবন, চীনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেওংমু হিওয়ের বাবা দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চীনাভাষা অধ্যাপক। তার বাবার প্রভাবে তিনি ছোটবেলা থেকেই চীন সম্পর্কে কৌতূহলী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে, সেওংমু হিও চীনা ভাষা তার মেজর হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর, তিনি কোরিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন কর্পোরেশনে যোগদান করেন এবং তখন থেকে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত থাকেন। তিনি সাবলীল চীনাভাষা বলতে পারেন এবং তিনি বেইজিং, সেনইয়াং ও দালিয়েনসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। ২০২১ সাল থেকে তার কোম্পানি তাকে হারবিনে কাজ করার জন্য পাঠায়।

সেওংমু হিও বলেন, ‘গত ৩ বছরে, আমার কাজের একটি ক্ষেত্র হল হেইলংজিয়াং প্রদেশের ভোক্তাদের কাছে কোরিয়ান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।’ দ্বিতীয় কাজ হল হেইলংজিয়াং প্রদেশের উৎপাদন উদ্যোগগুলিতে কোরিয়ান পণ্য এবং প্রযুক্তিগুলি প্রবর্তন করা, প্রধানত হেইলংজিয়াং প্রদেশের কৌশলগত শিল্পগুলির উদ্যোগ। যেমন বায়োফার্মাসিউটিক্যালস ক্ষেত্র। সেইসঙ্গে কৃষি ও পশুপালনের ক্ষেত্র।’

বিগত ২০ বছর ধরে চীনে কাজ করা এবং বসবাস করার সময় সেওংমু হিও চীনের দ্রুত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছেন এবং চীনের উন্নয়ন সাফল্য সরাসরি তার কাজে প্রতিফলিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিশ বছর আগে, চীনে দক্ষিণ কোরিয়ার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বা অন্যান্য পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বেশ ভাল ছিল। কিন্তু বিশ বছর পরে এটি ভিন্ন। আমি মনে করি দুটি কারণ রয়েছে: একটি হল- অনেক শক্তিশালী বিদেশি কোম্পানি মূলত চীনা বাজারে প্রবেশ করেছে। দ্বিতীয় ও আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, চীনা কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলক শক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। অনেক শিল্প ক্ষেত্রে, চীনা কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই বিদেশি বাজারে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

 

তিনি মনে করেন, চীনের মেধা সম্পত্তি সুরক্ষা পরিবেশ আরও ভাল হচ্ছে এবং বিদেশি কোম্পানিগুলির জন্য মেধা সম্পত্তির অধিকার যুক্তিসঙ্গতভাবে সুরক্ষা করা যেতে পারে।

 

কোভিড মহামারী প্রাদুর্ভাবের পর থেকে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বিভিন্ন অসুবিধা কাটিয়ে উঠেছে এবং দ্রুত বৃদ্ধির প্রবণতা পুনরায় শুরু হয়েছে। সেওংমু হিও বিশ্বাস করেন যে, চীনের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নীতির ক্রমাগত অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে চীনের অর্থনীতি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য সুবিধা’।

 

সেওংমু হিও হারবিনে অনেক চীনা বন্ধু আছে। প্রতি সপ্তাহে তিনি তার ক্যালিগ্রাফি শিক্ষকের সঙ্গে চীনা ক্যালিগ্রাফি অনুশীলন করেন এবং মাঝে মাঝে তার চীনা বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটেন এবং ব্যাডমিন্টন খেলেন। হারবিনের রাস্তায় জমজমাট জীবন এবং পরিবেশ পুনরুদ্ধার হতে দেখে তিনি সত্যিই খুশি হয়েছিলেন। তিনি ইতিমধ্যে অনেক চীনা কোম্পানির সঙ্গে মুখোমুখি বিনিময়ের ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নীতি শিথিল করার সাথে সাথে, আশা করি, এই বছর থেকে, আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলি চীনা কোম্পানির সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে। আরেকটি ব্যাপার হলো, আরসিইপি কার্যকর হওয়ার পর থেকে, দেশগুলির মধ্যে শুল্ক হ্রাস এবং অনেক লজিস্টিক সুবিধা চীনা এবং কোরিয়ান কোম্পানিগুলির মধ্যে বাণিজ্যের জন্য আরও সুযোগ প্রদান করেছে।’

 

 

জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই