চীনের মহামারীসংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধে শিথিলতা এবং বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে নতুন চালিকাশক্তি
2023-01-16 17:07:45

‘চীন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।’ সম্প্রতি থাই-চীন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ সহযোগিতামূলক গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক উইরুন ফিচাইওংফাকদি চীনের মহামারীসংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নতুন চালিকাশক্তি দেখা যাচ্ছে।’

দেশটির রাজধানী ব্যাংককে সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, কোভিড মহামারী মানবজাতির জন্য অভিন্ন দুর্যোগ। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে, চীন সরকার মহামারীর পরিবর্তন ও কোভিড ভাইরাসের গতিবিধির ওপর নজর রেখে আসছে এবং চিকিত্সা-বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সময় সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী এসব ব্যবসথার মধ্যে সমন্বয়ও করা হয়েছে। মহামারী মোকাবিলায় চীন সরকার মানুষের জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। চীনা সরকারের এসব ব্যবস্থা বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধ ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অপরিহার্য ভুমিকা পালন করেছে।

উইরুনের মতে, মহামারী শুরুর পর চীন সরকার দ্রুততার সাথে প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে অন্যান্য দেশকে মহামারী মোকাবিলার জন্য মূল্যবান সময় দিয়েছে। তিনি বলেন, "চীনের অর্জিত এ সময় এবং প্রতিরোধের অভিজ্ঞতা নিকটবর্তী দেশসমূহ, এমনকি গোটা বিশ্বের জন্য মূল্যবান।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন অব্যাহতভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত ও সমন্বয় করেছে, যা ছিল কোভিড ভাইরাস ও মহামারীর বৈজ্ঞানিক সচেতনতাভিত্তিক।

তিনি চীনা কোভিড-টিকা গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মহামারী মোকাবিলায় চীনের কাজকেও তিনি মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, চীন অনেক উন্নয়নশীল দেশকে কোভিড টিকা দিয়েছে। থাইল্যান্ডের মহামারীর সবচেয়ে গুরুতর সময়ে চীনের টিকা দেশটির মহামারী প্রতিরোধে ইতিবাচক ভুমিকা রেখেছে। এসব টিকা ও চীনের সাহায্য না-থাকলে, থাইল্যান্ডে আরও বেশি মানুষ মহামারীতে মারা যেতেন।

উইরুন আরও বলছেন, চীন অল্প সময়ের মধ্যে মহামারী নিয়ন্ত্রণে এনে উত্পাদন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এর ফলে অন্যান্য দেশে চীনা পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয় এবং সেসব দেশকে নিজ নিজ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তুলনামূলকভাবে কম সময় নিতে হয়। বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেও এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। চীন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, এমনকি বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। চীনের তৈরী পণ্য হচ্ছে উচ্চমান ও উচ্চ কার্যকারিতার প্রতীক। চীনের নির্মাণ-শিল্প না থাকলে, বিশ্বের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হয়তো সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, মহামারী সত্তেও, ‘এক অঞ্চল এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় থাইল্যান্ডসহ নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন খাতে চীনের সহযোগিতা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। চীন-লাওস রেলপথ চীন, লাওস ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ জোরালো করেছে।

তিনি আরও বলেন, চীন মহামারী প্রতিরোধকনীতি সমন্বয় করার সঙ্গে সঙ্গে, বৈশ্বিক পর্যটন খাতে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সাথে চীনের আন্তঃযোগাযোগও বাড়ছে। এ সবই বিশ্বের জন্য সুখবর। (প্রেমা/আলিম)