জানুয়ারি ৮: মার্কিন রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্র মহামারির গুরুতর পাঁচটি টেউয়ের মুখে পড়েছিল। প্রতিবার দেশটির টিকিত্সা ব্যবস্থা প্রায় অচলাবস্থার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। মার্কিন সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ না করা এবং বিশৃঙ্খল ব্যবস্থার কারণে ১০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়, ১০ লাখ ৮০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং ২.৫ লাখ শিশু অনাথ হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা। বিশ্লেষকদের মতে, যার কারণ ছিল মার্কিন সরকার বাস্তব সমস্যা সমাধানে বরাবরই অমনোযোগী ছিল। কিন্তু দেশটি মহামারি নিয়ে রাজনীতি করেছে এবং একে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আজ (রোববার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, চীনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে গত তিন বছরে মহামারির কঠিন সময়ে চীন কঠোর প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সংক্রমণের পাঁচটি ঢেউয়ের আঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে এবং ভ্যাক্সিন তৈরি ও চিকিত্সাসহ নানা সম্পদের প্রস্তুতির জন্য সময় সাশ্রয় করেছে। অন্য দেশের মতো চীনের প্রতিরোধক ব্যবস্থা সুবিন্যস্ত হতে সময় লেগেছে। বিশেষ করে চীন একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ। অবসরপ্রাপ্তদের সংখ্যা এখানে অনেক বেশি। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং চিকিত্সার চাহিদাসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে, চীন সরকার কোনো সময় অপচয় না করে ইতিবাচকভাবে সে সব সমস্যা সমাধান করেছে। স্ট্যাডিয়াম ও অস্থায়ী হাস্পাতালে জ্বরের চিকিত্সা এবং অনলাইনে চিকিত্সা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন সক্ষমতা বাড়ানোসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চীন সরকার। বৃটেনের ডকুমেন্টারি প্রযোজক ম্যালকম ক্লার্ক গত তিন বছর ধরে চীনে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি চীনের প্রচেষ্টায় জনস্বাস্থ্য রক্ষার কল্যাণ-ভোগী’। আজ (রোববার) নতুন করোনা ভাইরাসের ব্যবস্থাপনাকে এ থেকে বি-শ্রেণীতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি পরিস্থিতি অনুযায়ী, চীনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। যা চীনা জনগণের জন্য কল্যাণকর হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।
(রুবি/এনাম)