জানুয়ারি ৮: আজ (রোববার) থেকে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনাকে এক ধাপ নিচে নামিয়ে বি-শ্রেণীর সংক্রামক ভাইরাস হিসেবে করোনা মোকাবিলা শুরু করেছে চীন। চীনে আসা পণ্য ও ব্যক্তিদের আর কোভিড পরীক্ষা করা হবে না। চীনা নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণও পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আজ চীনে আসা-যাওয়ার বিমান টিকিট বুকিংয়ের পরিমাণ ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ ছিল।
এদিনের জন্য চীন তিন বছরের মতো প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মহামারির বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই করেছে। চীনা মহামারি প্রতিরোধ নিয়মের সমন্বয় অর্থনীতির উন্নয়ন ও দেশ-বিদেশের মানুষদের আসা-যাওয়ার জন্য সুবিধা সৃষ্টি করেছে। তা সারা বিশ্বের জন্য সুখবর। তবে, এমন সময়ে অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদগণ ও তথ্যমাধ্যমের যারা এতদিন চীনকে উন্মুক্ত করতে চেয়েছিল -তারা এখন চীনের উন্মুক্ত মহামারি প্রতিরোধ নীতির সমালোচনা করছে এবং চীনা পর্যটকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি করছে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আচরণ হল চীনের মহামারি প্রতিরোধ সফলতা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উন্মুক্ত ঈর্ষার প্রমাণ।
গেল তিন বছরে চীনের কঠোর মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাঁচটি মহামারির ঢেউকে প্রতিহত করেছে এবং নিহত বা গুরুতর রোগীর সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। চীনের চিকিত্সা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং চীনাদের স্বাস্থ্য সচেতনাও অনেক উন্নত হয়েছে। তা চীনের মহামারি প্রতিরোধ নিয়ম সমন্বয় করার ভিত্তি তৈরি করেছে।
চীন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছে; তবে, যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করেনি। বর্তমানে নীতি পরিবর্তনের সময় সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং সমস্যা মোকাবিলায় চীন আরও বেশি জ্বর বিভাগ চালুসহ নানা পদ্ধতিতে ওষুধ সরবরাহ করে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন সরকার সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করে দুর্বল প্রবীণ, গর্ভবতী নারী ও শিশুদেরকে রক্ষা করছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের যারা চীনের সমালোচা করেন-তারা নিজেদেরকে একটু জিজ্ঞেস করতে পারেন যে যুক্তরাষ্ট্র কখনও কি মনোযোগ দিয়ে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করেছে? অকার্যকর মহামারি প্রতিরোধ নিজেদের ও বিশ্বের কতটুকু ক্ষতি করেছে?
যুক্তরাষ্ট্র যা-ই করুক না কেন, চীন তার নিজের পথে চলবে। আজ চীন ও বিশ্বের জন্য নতুন একটি সূচনা এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশ চীনের নতুন নিয়মকে স্বাগত জানায়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা মহামারি প্রতিরোধে কিছুই না করে শুধু অন্যদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে থাকে। তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
শিশির/এনাম/রুবি