“সিল্ক রোড”
2023-01-07 20:20:02


ছিছিন, ১৯৬০ সালের ১২ জানুয়ারি, চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইজুং শহরে জন্মগ্রহণকরেন। তিনি শিসিন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন এবং তার পৈতৃক বাড়ি হলহেইলুংচিয়াং প্রদেশের মুতানচিয়াং শহরের তুংনিং জেলায়। তিনি 

একজন তাইওয়ানেরপুরুষগায়ক, সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা, এবং সুবিখ্যাত গায়িকা ছিইয়ু-র ছোট ভাই।আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের শোনাবো ছিছিনের "সিল্করোড" অ্যালবামেরকয়েকটি গান।

১৯৮১ সালে, তিনি তার প্রথম অ্যালবাম "তার সাথে দেখা হল" প্রকাশ করেন। ১৯৮৫সালে, তিনি তার প্রথম নিজের তৈরী অ্যালবাম "উলফের অ্যালবাম" প্রকাশ করেন।১৯৮৬ সালে, তিনি "ফ্যাংছাওপিলিয়ানথিয়ান" নামক একটি প্রেমের চলচ্চিত্রে অভিনয়করেন। ১৯৮৭ সালে অ্যালবাম "উইন্টার রেইন" প্রকাশিত হয়। এ অ্যালবামের "সম্ভবতশীতকালে" গানটির জন্য ১১তম হংকং টপ টেন চায়নিজ গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডজিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, "ওল্ফ ফার্স্ট" অ্যালবামটি নানহাইঅডিও ভিজ্যুয়াল কোম্পানি থেকে বের হয়, যা হংকং ও তাইওয়ান থেকে মূল ভূখণ্ডেআনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে আসা প্রথম অ্যালবাম ছিল। 

    ১৯৮৯ সালে, তিনি এশিয়ান পপ কনসার্ট গানের পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৯৯১ সালে তাকে প্রথমবারের মতো মূল ভূখণ্ডে কনসাট র্ট্যুর আয়োজনের আমন্ত্রণ পান। ১৯৯২সালে তিনি তাইওয়ানে সেরা রেকর্ড প্রযোজকের পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৯৫ সালেপ্রকাশিত "দ্য পাস্ট ফলোস দ্য উইন্ড" গানটি চ্যানেল-ভি চীনা শীর্ষ ২০ তালিকায় বছরেরসেরা গান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৯৭ সালে তিনি তার অ্যালবাম "সিল্করোড"-এর জন্যঅষ্টম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ম্যান্ডারিন পুরুষ গায়কের পুরস্কারজিতে নেন। ১৯৯৮ সালে তিব্বতে প্রথম পপসঙ্গীত লাইভ কনসার্ট করেন তিনি। 

    "সিল্করোড" হল ১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ছিছিনের প্রকাশিত একটি মিউজিকঅ্যালবাম। এতে মোট ১২টি গান রয়েছে। ১৯৯৭ সালে অ্যালবামের গান "চোখের অশ্রুনিয়ে রাত কাটাতে চাই না" চতুর্থ চীনা মিউজিক চার্টে চীনা সেরা ২০ গানের একটি হিসেবে পুরস্কার" জিতে নেয়।

    ছিছিন বলেন, “দ্য সিল্করোড" একটি রাস্তা নয়, একটি স্বপ্ন। প্রাচীন চীনে, মধ্যসমভূমি থেকে পশ্চিম অঞ্চল পর্যন্ত একটি স্বপ্ন, সেই জায়গাটির কোন শেষ নেই, প্রেমেরমতোই। "সিল্করোড"-এ ছিছিন একজন দার্শনিকের মতো মানুষের কাছে সঙ্গীতের মাধ্যমেবাস্তব জীবন সম্পর্কে কথা বলেছেন। এই অ্যালবামটি ৭টি গোল্ডেন মেলোডিঅ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল, এবং এর বিক্রি ১২ লাখ কপি ছাড়িয়ে যায়। এটিছিছিনের ভক্তদের জন্য একটি ক্লাসিক সংগ্রহ।

    "সিল্করোড"-এ ছিছিন একজন দার্শনিকের মতো মানুষকে তার বাস্তব জীবন এবংবাস্তব আবেগ সঙ্গীতের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন। অ্যালবামে অনেকগুলি ভালক্লাসিক গান রয়েছে। "চোখের অশ্রু নিয়ে রাত কাটাতে চাই না" এবং পপ গুণাবলীসম্পন্ন"সিল্করোড" ছাড়াও, ছেনশিয়াও চিয়ানের লেখা ও সুরে "ফিরে আসো"-কে একটি ক্লাসিকগান বলা যেতে পারে। এ গানে বলা হয়েছে: "মানুষের বিশাল সাগরে হারিয়ে গেল তোমারহৃদয়/কারো অস্তিত্ব নেই কারো জন্য/ আমার মানুষ আজও জীবনের অস্থিরতায় আছে/তোমার হৃদয় ফিরিয়ে নিয়ে আসো"।

    গীতিকার শিয়োংথিয়ানফিং ছিছিনের "সিল্করোড" দিয়ে তার গান রচনার জীবন শুরুকরেছিলেন এবং দ্রুত তাইওয়ানের সংগীতজগতে একজন গায়ক-গীতিকার হয়ে ওঠেন! এছাড়াও, "মনে পড়া" এবং "ভিড়ো"-এর মতো গানগুলোও উল্লেখযোগ্য। "মনে পড়া" গানটি বিদেশের মাটিতে একাকীত্বের অনুভূতি এবং প্রেমিককে হারিয়ে যাওয়ার বিব্রত ভাব প্রকাশ করতে ড্রামের শব্দ ব্যবহার করে। "ভিড়ো"-তে হারমোনিকা ব্যবহার করে একটিতাজা করুণ আবেগপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যা খুবই সুন্দর।

    অ্যালবামে "ক্লিফ" একটি গুরুত্বপূর্ণ গান। এককে বলা যায় ছিছিন এবং অভিনেত্রীওয়াংজুশিয়ানের প্রেমের যাত্রার বর্ণনা: "পৃথিবীটি খুব শীতল/ স্বপ্নটি খুব উত্সর্গীকৃত / আমি দীর্ঘকাল ধরে সেই উত্সর্গে অভ্যস্ত হয়েছি যা ফিরিয়ে আনা যায় না।" যেন দশবছরেরও বেশি সময় ধরে ছিছিনের তিক্ত প্রেম সম্পর্কের বণর্না! "ভালোবাসা কোথায় পড়েতাতে আমার কিছু যায় আসে না/আমি শুধু এই জীবনটা একসাথে কাটাতে চাই/আকাশনির্জন আর সাগর শুকিয়ে গেছে/ আমার হৃদয়ে একটুকরো মাটি আছে/এমনকি অশ্রুওএই সুখকে সিঞ্চন করতে পারে/ আমি চাই না যত্ন যেখানে প্রেম সমাহিত হয়/ আমি শেষপর্যন্ত তোমার সাথে থাকতে চাই/ চাঁদ মরে যাচ্ছে এবং আলো নিভে গেছে/ রাতের কালোঅন্ধকার / এই জীবন কেবল পরিষ্কার কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি"—এই ধরনেরভালবাসা যা থেকে বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই এবং তা সকলকে গভীরভাবেসংক্রামিত করে।

    এই গানটি শুনে আমরা ইতিমধ্যেই ছিছিনের অভ্যন্তরীণ স্বীকারোক্তি অনুভব করতেপারি। ছিছিন মনে হচ্ছে তার প্রেমিকাকে বলছেন যে, সময়ের সাথে সাথে সত্যিকারেরঅনুভূতি বদলাবে না। নিশ্চিতভাবেই, "দ্যক্লিফ"-এর এমটিভিতে ওয়াংজুশিয়ান নায়কেরভূমিকায় রয়েছেন। তার লম্বা চুলগুলো সারাক্ষণ উড়তে থাকে, ছিছিনের কণ্ঠের সাথেসবসময়। তাকে ক্লিফের শেষ প্রান্তে দৌড়াতে দেখে অনেক দূরে তাকায়, এই সময়ে সে কিসত্যিকারের ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছে?

(ইয়াং/আলিম)