থাও জে
2023-01-04 17:27:01

থাও জে বা ডেভিড থাও ১৯৬৯ সালের ১১ জুলাই চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনা ভাষার পপসঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি মার্কিন লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইউসিএলএ থেকে স্নাতক হন।

 

ছোটবেলায় তিনি তাইওয়ান প্রদেশের তাইপেইতে ছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস শুরু করেন।  ইউসিএলএ-তে লেখাপড়ার সময় তিনি সহপাঠীদের সঙ্গে “ইনস্ট্যান্ট পিকচার” নামক একটি সঙ্গীতদল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি লস এঞ্জেলেসের একটি সিডির দোকানে সঙ্গীত প্রযোজক ওয়াং জিপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওয়াং জিপিংয়ের আমন্ত্রণে থাও জে তাইওয়ানে ফিরে গিয়ে সঙ্গীত রচনায় অংশ নিতে শুরু করেন। একই বছর তিনি “ভালোবাসা সহজ নয়”সহ প্রেমের গান সৃষ্টি করেন। 

 

১৯৯৭ সালে থাও জে নতুন রেকর্ড কোম্পানিতে যোগ দেন। একই বছর তিনি প্রথম একক অ্যালবাম “ডেভিড থাও” প্রকাশ করেন। তিনি অ্যালবামের প্রযোজক ছিলেন। অ্যালবামটিতে তিনি আর অ্যান্ড বি এবং তাইওয়ানের স্থানীয় লোকগান সংযুক্ত করে “বিমানবন্দরের সাড়ে দশটা”, “সৈকত” ও “ভালোবাসা, খুব সহজ”সহ ৮টি গান সৃষ্টি করেন। এছাড়া, তিনি একটি হকিয়েন গান পুনর্গঠন করে সেটা দিয়ে তাইওয়ান পপসঙ্গীত মহলে আকর্ষণ অর্জন করেন। 

১৯৯৯ সালে ডেভিড থাও তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম “আই’ম ওকে”প্রকাশ করেন। অ্যালবামে তিনি আর অ্যান্ড বি ছাড়া অন্যান্য সঙ্গীত উপাদান যোগ দেন। অ্যালবামের শিরোনাম গানে জাতীয় সঙ্গীত, রক ও ই-সঙ্গীতসহ বিভিন্ন উপাদান ব্যবহৃত হয়। অ্যালবাম প্রকাশিত হবার পর বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫ লক্ষাধিক। 

 

২০০১ সালের জুলাই মাসে থাও জে সৃষ্ট গান “আমি বিশ্বাস করি”  ডিজনি অ্যানিমেটেড ফিল্ম “আটলান্টিস: দ্য লস্ট এম্পায়ার”-এর চীনা সংস্করণ থিমসং বাছাই করা হয়। ২০০২ সালে তিনি নতুন অ্যালবাম “কালো ট্যানজারিন” প্রকাশ করেন। তিনি অ্যালবামের সকল গানের রচনা ও অর্কেস্ট্রেশন করার পাশাপাশি অ্যালবামের প্রযোজক ছিলেন। অ্যালবামটি জ্যাজ, কান্ট্রি-রক, ব্লুজ ও আর অ্যাণ্ড বিসহ বিভিন্ন সঙ্গীত স্টাইল সংযুক্ত করে। 

“ফরগের্টমিনট” ডেভিড থাও জে’র ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি গান। গানটি তাঁর “হ্যালো গুডবাই” অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। মধ্যযুগীয় কিংবদন্তীতে একজন বীরব্রতী রাজকুমারীকে ভালোবেসেছেন। রাজকুমারীকে খুশী করার জন্য তিনি দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করেছিলেন এবং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন শুধু রাজকন্যাকে "ফরগের্টমিনট" ফুল দেয়ার জন্য। কিন্তু নদীর তীরে ফুলটি তোলার সময় নদীতে পড়ে ডুবে গিয়েছিলেন। সুতরাং "ফরগের্টমিনট" ফুলের কিংবদন্তী আজ পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। ডেভিড গল্পকে উপাদান হিসেবে “ফরগের্টমিনট” গানটি সৃষ্টি করেন। খুব রোমান্টিক কিন্তু দুঃখের গল্প, তাইনা? 

 

আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদেরকে  ডেভিড থাও জে’র অন্য আরেকটি গান শোনাব। গানের নাম “ঠিকমতো বিদায় নিও”। 

   

(প্রেমা/এনাম)