এ বছরের শীতকালে চীনের বিভিন্ন খাতে পৃথক পৃথকভাবে কাজ ও উত্পাদনকাজ পুনরুদ্ধার হচ্ছে। বেইজিংয়ের বিভিন্ন জায়গা ক্রমেই প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে।
প্রতিবছর নববর্ষের জন্য সুন্দর করে সাজানো হয় রাস্তাঘাট। শিশুদের হাসি ও চিত্কার, তরুণ-তরুণীদের হাসিঠাট্টা, এমনকি ছোট এক তুষারকণা হতে পারে শীতকালে একটি সবচেয়ে প্রাণবন্ত বিষয়।
আজকে আমি আপনাদেরকে নিয়ে বেইজিংয়ের নানান স্থানে গিয়ে এ সুন্দর দৃশ্য দেখবো।
হাইতিয়ান জেলায় অবস্থিত উখাসং বাণিজ্যিক এলাকায় একটি কৃত্রিম বরফ ও তুষার পার্ক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের স্বর্গে পরিণত হয়েছে। তাঁরা তুষারবল দিয়ে খেলেন, স্নোবল নিয়ে ছোড়াছুড়ি খেলেন। এমন আরও অনেক খেলায় তারা মেতে ওঠেন। এ শীতকালীন মজা।
চলতি বছর এখনও বেইজিংয়ে প্রথম তুষার পড়েনি, সবাই অপেক্ষায় রয়েছে। বাইসাইকেল চালানো, স্কি করা, তুষার খেলা, অথবা প্রিয়জনের জন্য নববর্ষের উপহার কেনা শীতের মজা। সহজে আনন্দ পাওয়া যায়।
মানুষ খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। ফল ও সবজির বাজার শহরের সবচেয়ে প্রানবন্ত জায়গা। বাজারগুলো নববর্ষকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি স্টলে লাল লণ্ঠন, লাল মরিচ এবং ‘ফু’ তথা 'সুখী' লেখা কাগজ ঝুলানো হয়েছে। বাজারগুলোয় উত্সবের আমেজ। তাজা সবজি, ফল, মাংস ও সীফুড আছে বাজারে। অনেক বাসিন্দা বাজারে বিভিন্ন খাদ্য কিনতে আসেন প্রতিদিন।
উত্তর চীনে শীতকালে বেশি রঙ দেখা যায় না, তবে নববর্ষের জন্য ফুলের বাজারে রঙিন ফুল কেনাবেচা চলে। উত্সবের জন্য বাসিন্দারা অবশ্যই ফুল কেনেন। তাঁরা বিভিন্ন সুন্দর রঙিন ফুল দিয়ে বাড়ি সাজান।
অনেক মেয়ে নববর্ষের জন্য নাইল বিউটি তৈরী করেন। লাল রঙ হলো চীনা মানুষের নববর্ষের প্রতীক। বিভিন্ন শপিংমলে অতিথিরা নতুন পোষাক কেনেন।
নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন নতুন চলচ্চিত্র প্রকাশিত হবে। চীনা মানুষ এখন আবারও মিনেমা হলে গিয়ে চলচ্চিত্র দেখতে পারছেন।
মিষ্টি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন মজার খাবার। বিভিন্ন দোকানে দুধ চা পাওয়া যায়। শীতে চীনারা এই চা পছন্দ করে। চায়ের মিষ্টি গন্ধ মানুষকে আকর্ষণ করে। ঠান্ডা শীতে হাতে এক কাপ দূধ চা হলে বেশ হয়।
মহামারীর বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। রেস্তোরাঁয় এখন বসে খাওয়া যায়। বিভিন্ন সুপরিচিত স্বাদ যেন আবার ফিরে এসেছে। এ সব আমাদের সুপরিচিত জীবন। সমৃদ্ধ, তবে সহজ। এটি হলো আমাদের সুপরিচিত বেইজিং, যা মহামারীর ধাক্কা সামলে নিয়ে পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে। চীনা মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে আগের মতো সুন্দর আর সমৃদ্ধ। (ছাই/আলিম)