আকাশ ছুঁতে চাই ১০৬
2022-12-29 17:45:44

আকাশ ছুঁতে চাই ১০৬

১. নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা

২. বাংলাদেশ ও চীনের নারী: ফিরে দেখা ২০২২

৩. গান: শীতকালীন উৎসব

৪. মাশরুম চাষে সাবলম্বী মনপুরা দ্বীপের জান্নাত

 

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন।

নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা

শেষ হয়ে এলো ২০২২ সাল।  নতুন বছরে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে পথ চলবে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন এবং আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠান। সম্প্রতি আয়োজিত হয়েছিল সিএমজি বেতার দিবস। এ দিনের উদযাপনে আমাদের অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অনেক বিশিষ্টজন। চলুন শুনে আসি তাদের কয়েকজনের কথা। জানাচ্ছেন রওজায়ে জাবিদা ঐশী।

২৪ ডিসেম্বর ছিলো সিএমজি বেতার দিবস। চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজির বাংলা বিভাগের ঢাকা স্টেশনের দুই বছরপূর্তি ছিলো সেদিন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশের রেডিওসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যমের কর্মীরা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যুরোর সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম ও নির্মিত রেডিও অনুষ্ঠানগুলোর পরিচিতি তুলে ধরা হয়।

এসময় চীন আন্তর্জাতিক বেতারের নারী বিষয়ক অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাইয়ের প্রশংসা করে নারীর পথচলাকে সামনে এগিয়ে নিতে আরো ভালো কাজের প্রত্যাশার কথা জানান নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব।  

   

                                             

দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার। নারীদের সমস্যা সম্ভাবনা সফলতা তুলে ধরার মাধ্যমে আরো তাদের অগ্রসর করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। 

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে আরো কৌশলী হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী গুণিজনরা। 

বাংলাদেশ ও চীনের নারী: ফিরে দেখা ২০২২

আর ক’দিন পরে বিদায় নিচ্ছে ২০২২ সাল। বছরটি কেমন ছিল বাংলাদেশী ও চীনা নারীদের জন্য? চলুন শুনে আসি একটি প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশের নারীর জন্য বছরটি ছিল একাধারে সাফল্য ও সম্ভাবনাময়। পাশাপাশি নারীর অগ্রযাত্রার পথে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও ছিল।  বিদায়ী বছরে বাংলাদেশের নারীদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের ঘটনা ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়।

সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে  সাফ নারী  চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করে দেশকে গৌরব এনে দেন নারী ফুটবলাররা। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই ঐতিহাসিক বিজয়ে আনন্দে ভাসে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশেষভাবে সম্মানিত করেন নারী ফুটবল দলকে।

এ বছর নারী উদ্যোক্তারা মহামারী কাটিয়ে নতুন প্রেরণায় নিজেদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মেলায় অংশ নেন নারী উদ্যোক্তারা।

বছরের শুরুর দিকে বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। তিনবছরের জন্য তার এই নিয়োগ বাংলাদেশের নারীদের জন্য গৌরবের।

বিদায়ী বছরটি চীনের নারীদের জন্য ছিল আনন্দের ও সাফল্যের।  এই বছরে অনুষ্ঠিত সিপিসি ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে সারা চীন থেকে আসা প্রতিনিধিদের মধ্যে নারী প্রতিনিধির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৭ সালের ১৯তম সিপিসি জাতীয় কংগ্রেসের তুলনায় নারী প্রতিনিধির সংখ্যা ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। ৬১৯ জন নারী প্রতিনিধি যোগ দেন এবারের কংগ্রেসে যা মোটের ২৭ শতাংশ।

মহাকাশে নারীর অভিযানও ছিল সাফল্যের এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। চীনের নারী নভোচারী ওয়াং ইয়াপিং এবং চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং মহাকাশ মিশনে সাফল্যের রেকর্ড গড়েন। চীনের মহাকাশ স্টেশন থিয়ানকুং এর নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে কাজে অংশ নেন ওয়াং ইয়াপিং এবং লিউ ইয়াং। মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার রেকর্ডও গড়েন ওয়াং ইয়াপিং।  চীনের স্পেস স্টেশনে প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং মিডিয়ায় অনেক জনপ্রিয়তাও পান।

ক্রীড়াক্ষেত্রে এ বছর চীনের নারীরা দেশের জন্য অনেক গৌরব বয়ে আনেন। এশিয়ান কাপ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় চীনা দল। ২০২২ সালে চীনের সেরা দশ অ্যাথলিটের একটি তালিকা প্রকাশিত হয় সম্প্রতি। এই তালিকায় সাতটি স্থানই চলে যায় নারীদের দখলে।

এখানে প্রথম স্থানে আছেন কু আইলিং। এই নারী ফ্রিস্টাইল স্কিয়িং ক্রীড়াবিদ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে নারীদের বিগ এয়ার এবং হাফ পাইপ ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জয় করেন। স্লপস্টাইলে তিনি রৌপ্য জয় করেন। তিনি প্রথম ফ্রি স্টাইল স্কিয়ার যিনি একই উইন্টার অলিম্পিকে তিন ইভেন্টে তিনটি পদক পান। কু আইলিং এ বছর প্রবল জনপ্রিয়তাও পান।  

আছেন শু মংথাও। এই নারী ক্রীড়াবিদ মেয়েদের ফ্রিস্টাইল স্কিয়িংয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণজয় করেন।

আছেন সুই ওয়েনচিয়াং এবং হান ছোং। এই জুটি বেইজিং অলিম্পিকে ফিগার স্কেটিংয়ে শিরোপা জয় করেন।

আছেন ইয়াং হোংছিয়ং। এই নারী ক্রীড়াবিদ বেইজিং প্যারালিম্পিকে স্প্রিন্ট, মিডল এবং লং ডিসটেন্সে স্কিয়িংয়ে স্বর্ণ জয় করেন। তিনি বেইজিং উইন্টার প্যারালিম্পিকে পতাকাও বহন করেন।

আছেন নারী টেনিস তারকা চাং ছিনওয়েন। তিনি ২০২২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ইউএস ওপেনে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে খ্যাতি পেয়েছেন।

চাং ওয়েইলি । এই নারী মার্শাল আর্টিস্ট চীনের প্রথম ইউএফসি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জয়  করেছেন। সাবেক চ্যাম্পিয়ন কার্লা এস্পার্জাকে হারিয়ে আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ -ইউএফসি চ্যাম্পিয়ন হন চীনের মিক্সড মার্শাল আর্টস বা এমএমএ ফাইটার এই তারকা অ্যাথলিট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ফাইনালে জয়লাভের মাধ্যমে পুনরায় ইউএফসির সম্রাজ্ঞী হিসেবে নিজের নাম লেখান চাং ওয়েইলি। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ইউএফসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এই চীনা তরুণী।

আছেন চেন ইউশি ও ছুয়ান হোংছান। এই দুই নারী ক্রীড়াবিদ ডাইভিংয়ে সেরা খেতাব জয় করেন।

এ বছর আরও আলোচিত হন ক্রীড়াবিদ লি নিনাসহ অনেকে।

এবছর বিজ্ঞানী নারীরাও আলোচিত হন। "বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক কর্মশক্তির ভবিষ্যত পুনর্নির্মাণ " এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে "শি ফোরাম" নামে একটি বিশেষ আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড লরিয়েটস অ্যাসোসিয়েশন WLF। চীনের সাংহাইয়ে এই বছরের নারী-কেন্দ্রিক এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমাবেশ হিসেবে পরিচিত এটি।

চীনে গত দশবছরে নারীর অধিকার অর্জন ও জেন্ডার সমতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ বছর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও সংস্কারে জোর ভূমিকা পালন করছে। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পাশাপাশি লক্ষ্য পূরণে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম হয়ে উঠেছে।   

২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র ১৮ তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে নারী অধিকার ইস্যুটি এতোই গুরুত্ব পায় যে, চীনের সামাজিক ও  অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে নারীরা। ১৮ তম সিপিসি জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে  নারীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় শতাধিক বিধান সম্বলিত আইনি ব্যবস্থা গঠন করেছে দেশটির সরকার।  চলতি বছর, নারীর অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় যে আইনটি করা হয়েছে তা সমাজে বড় পরিবর্তনের সূচনা করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

লিঙ্গ সমতার মৌলিক জাতীয় নীতি মেনে চলা, এবং নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বৈধ অধিকার রক্ষায় কাজ করছে চীন সরকার। শুধু তাই নয়, চীন জ্ঞান বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনকে জোরালোভাবে সমর্থন করায় এর প্রসারে বিভিন্ন নীতিমালাও গ্রহণ করা হয়েছে।  প্রযুক্তিগত গবেষণায় অংশগ্রহণ, মহাবিশ্বের অন্বেষণ থেকে শুরু করে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অবদান, খেলাধুলার শীর্ষ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি সফলভাবে কাজ করছেন চীনা নারীরা। এভাবেই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আধুনিক চীনে ক্রমাগত বিশাল অবদান রাখছেন নারীরা।

পরিসংখ্যান বলছে, গত দশ বছরে, চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষায় জেন্ডার ব্যবধান কার্যকরভাবে দূর করা হয়েছে এবং উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অনুপাত ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।  কর্মশক্তিতে নারী কর্মচারীর অনুপাত ৪০ শতাংশেরও বেশি।

২০১০ সালে নারীদের গড় আয়ু ছিল ৭৭ দশমিক ৩৭ বছর। যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৮৮ বছর। গেল বছর মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬ শতাংশ কমেছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মা ও শিশু স্বাস্থ্যে সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা ভিত্তিক তালিকায় বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে চীন জায়গা করে নিয়েছে।  

 

শীতকালীন উৎসবের গান

চীনে এখন চলছে শীতকালীন অয়ন উৎসব বা উইন্টার সলিসটিস।  এর চীনা নাম তুং চি । ডিসেম্বরের ২২ থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত সময়কে বলা হয় তুং চি তিয়ান।

ঐতিহ্যবাহী চীনা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরকে ২৪টি সৌরপর্বে ভাগ করা হয়। ২২তম সৌর পর্ব হলো তুং চি। এই সময় চীনারা বিশেষ কিছু রীতি রেওয়াজ পালন করেন। থাং(৬১৮-৯০৭), সুং (৯৬০-১২৭৯) , এবং ছিং(১৬৪৪- ১৯১১ খ্রি.) রাজবংশের সময় শীতকালীন এই উৎসবে স্বর্গ ও পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা হতো।

এই সময়ে ঘরে নানা রকম খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হয় যার মধ্যে রয়েছে ডাম্পলিং, ওনথন, নানা রকম স্যুপ, নয় স্তরবিশিষ্ট কেক ইত্যাদি। এগুলো মূলত তৈরি করেন নারীরা। চলুন শুনে আসি তুংচি তিয়ান বিষয়ে একটি গান।

 

মাশরুম চাষে সাবলম্বী মনপুরা দ্বীপের জান্নাত

সর্বপ্রথম ভোলার মনপুরা দ্বীপে‘মাশরুম’ চাষে সফল ও স্বাবলম্বী গৃহবধূ জান্নাত। গ্রামীণ কুসংস্কার আর প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মনপুরা উপজেলার  হাজিরহাট ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম চরফোইজদ্দিনের গৃহবধূ  জান্নাত বেগম।  তিনি শুধু সফল স্ত্রী বা মা নন, কঠোর পরিশ্রমী ও তীব্র ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত টেকনাফের একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। মাশরুম চাষ ও উৎপাদনে বিশাল সাফল্যের সূচনা করেছেন এই নারী উদ্যোক্তা ।  বিস্তারিত জানাচ্ছেন হোসনে মোবারক সৌরভ

মাশরুমচাষী জান্নাত বেগম । দ্বীপ উপজেলা মনপুরা জুড়ে এ যেন নতুন পরিচয় তার।

বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে প্রায় ৮০ কি. মি. দূরত্বে বঙ্গোপসাগরের বুকে নয়নাভিরাম দ্বীপ মনপুরা। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই উপজেলার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস কৃষি ও নদীতে মৎস্য শিকার । এসবের কোনকিছুই টানেনি স্বামীহারা জান্নাত বেগমকে।

অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে সন্তান লালন পালনের বোঝা এসে পরে জান্নাত বেগমের কাঁধে। একদিকে সংসারের খরচ ,অন্যদিকে সন্তানদের পড়ালেখা করানোর চাপ। নিজেকে কিছু একটা করতেই হবে এমন আত্মপ্রত্যয় নিয়ে ছুটে যান স্থানীয় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখান থেকে ধারণা পান মাশরুম চাষের। এরপর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলেন ছোট্ট মাশরুম খামার। 

অল্প পুঁজি আর সঠিক সিদ্ধান্ত ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি জান্নাত বেগমকে নিয়ে এসেছে এতোদূর।  যেখান থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

ছোট এই খামারে দিন দিন বাড়ছে মাশরুম উৎপাদন। প্রথমদিকে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মাশরুম উৎপাদন হলেও এখন বেড়েছে কয়েকগুন।যা পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করছেন স্থানীয় বাজারে।

শুরুর দিকে মাশরুম চাষের বিভিন্ন উপকরণ সাভারের মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট থেকে কিনলেও এখন নিজেই তৈরি করছেন এই নারী উদ্যোক্তা। এতে করে কমেছে উৎপাদন খরচ ,বেড়েছে আয়।

ছোট্ট এই খামার একদিন অনেক বড় হবে। খামার থেকে উৎপাদিত মাশরুম এই দ্বীপ ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাবে এমনটাই স্বপ্ন দেখেন এই নারী উদ্যোক্তা।

জান্নাতের মতো নারীউদ্যোক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে  স্থানীয় কৃষি অফিস সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের।

ঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারলে এর বাজার আরও প্রসার হবে বলে আশাবাদী এই কৃষি কর্মকর্তা।

মনপুরা দ্বীপে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই মাশরুম।  আর মাশরুম চাষে সফল নারীর তালিকায় যুক্ত হয়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামের এই জান্নাত বেগম।

সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

সবাইকে আসন্ন নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে  আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল