ডিসেম্বর ১৮: গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর চীনের বার্ষিক কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কর্মসম্মেলন বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামি বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে—তার ওপর নজর রাখছে সারা বিশ্ব। তাই কর্মসম্মেলনে বলা হয়েছে, “আগামি বছর চীনের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হবে। গুণগত মানের উন্নয়নের পাশাপাশি পরিমাণের উপযোগী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের জন্য ভালো সূচনা ও পদক্ষেপ সৃষ্টি করা হবে।” এসব কথায় আগামি বছর চীনের অর্থনীতি কোন পথে পরিচালিত হবে-তার দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, বিশ্বের জন্য শুভ বার্তাও রয়েছে। গতকাল (শনিবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, কর্মসম্মেলনের সংবাদে মোট ৩১ বার “স্থিতিশীলতা” শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে চীনের প্রতি বিশ্বের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি জরিপ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু কারণে ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শিথিল হয়েছে। ২০২৩ সালে তা আরও সংঙ্কুচিত হবে। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার গত জুন মাসের পূর্বাভাষ তথা ৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৯ শতাংশে নেমে আসবে। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব তাত্পর্যপূর্ণ।
কর্মসম্মেলনে বলা হয়েছে, চীনের অর্থনীতিতে রয়েছে শক্ত বলিষ্ঠতা, সম্ভাবনা এবং প্রাণচাঞ্চল্য। বিভিন্ন নীতি বাস্তবায়নের সাফল্যও দৃশ্যমান হচ্ছে। আগামি বছর চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জর করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামি বছর অর্থনৈতিক কার্যক্রমে করোনা প্রতিরোধ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সমন্বয় করা হবে। ফলে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি দ্রুততর হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত চালিকাশক্তি যোগাবে চীন।
(রুবি/এনাম/শিশির)