চীন ও সৌদি আরব পরস্পরের কৌশলগত অংশীদার ও আন্তরিক বন্ধু: সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-12-10 20:29:23

ডিসেম্বর ১০: চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে  "গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি" স্বাক্ষরিত হয়েছে। উভয় পক্ষ চীন-সৌদি আরব উচ্চ-স্তরের যৌথ কমিটির স্তর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করতে সম্মত হয়েছে। চীন সৌদি আরবকে চীনা নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে এবং সৌদি আরব আরো চীনা কোম্পানিকে নিজের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

    স্থানীয় সময় ৮ ডিসেম্বর চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং রিয়াদের রাজকীয় প্রাসাদে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে আলোচনা করেন। উভয় পক্ষ বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সৌদি আরবের "রিয়াদ নিউজ"-এর প্রধান সম্পাদক হানিফ রিদওয়াফা বলেছেন, "এই সফর অবশ্যই সৌদি আরব ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করবে এবং দু’পক্ষের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত উন্মুক্ত করবে।"

 

‘চীনের স্বার্থ ও সৌদির স্বার্থ।’ সৌদি বাদশাহ সালমানের বক্তব্য অনেক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সফরকালে চীন ও সৌদি আরব একে অপরের প্রতি দৃঢ় রাজনৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, চীন দৃঢ়ভাবে সৌদি আরবকে তার জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে সমর্থন করে। ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন সালমান তিনটি "দৃঢ়সমর্থন" এবং একটি "দৃঢ়বিরোধিতার" কথা বলেছেন এবং এর মাধ্যমে চীনের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

চীন ও সৌদি আরব নিজেদের বন্ধুত্বকে আরও গভীর করতে চাইলে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারী থাকলেও, চীন এবং সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সালের তুলনায় ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার স্থিতিস্থাপকতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সাথে সাক্ষাতের সময় প্রেসিডেন্ট সি সৌদি আরবের "ভিশন২০৩০" ও "সবুজ মধ্যপ্রাচ্য" এবং কয়েকটি বড় উন্নয়ন উদ্যোগের প্রতি চীনের সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, উভয়পক্ষের "বেল্টঅ্যান্ডরোড" উদ্যোগ এবং "ভিশন২০৩০" যৌথভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত।

মানুষে মানুষে বন্ধুত্বের মধ্যেই দুই দেশের বন্ধুত্ব নিহিত। ভাষা একটি দেশকে বোঝার চাবিকাঠি। বর্তমানে, সৌদি আরবের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষার কোর্স চালু হয়েছে এবং ৮টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে চীনা ভাষার কোর্স চালু হয়েছে।

বিশ্বাস করা যায় যে, চীন-সৌদি আরব সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব উভয় পক্ষের জনগণের জন্য আরও ভাল আশা নিয়ে আসবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং বিশ্ব উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখবে।(ইয়াং/আলিম/ছাই)