আকাশ ছুঁতে চাই ১০৩
2022-12-08 19:32:59

আকাশ ছুঁতে চাই ১০৩

১. এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের কথা

২. চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং

৩. গান : শিল্পী ফে ওয়াং

৪. ঐতিহ্যকে নতুন আঙ্গিকে ফিরিয়ে এনেছেন যে নারী

৫.  চীনা ভাষাকে বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন হাও খাই লি

 

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।

এসএমই মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের কথা

৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১০ তম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা ২০২২। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত শতভাগ দেশী পণ্যের এই মেলা শেষ হয়  শনিবার। মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে এসে নারী উদ্যোক্তাদের কথা  

জানাচ্ছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিবেদক রওজায়ে জাবিদা ঐশী।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং প্রচার ও প্রসারের লক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশন দশম বারের মতো আয়োজন করে এসএমই পণ্যমেলার। 

সায়েদা সুলতানা মিলি। আর্ট এন্ড ক্রাফট নিয়ে কাজ করা এই উদ্যোক্তার উদ্যোগের নাম দয়িতা। তিনি অংশ নিয়েছেন এই মেলায়। তার ব্যবসা, পথচলা, প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে।

দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা আরেক উদ্যোক্তা রুকাইয়া নাজরিন তাহরা। 

আমাদের সঙ্গে আরো কথা হয় পাটজাত পণ্য নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা ইশরাত জাহান চৌধুরীর।   যিনি নানা চড়াই উতরাই পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্ন পূরণের পথে। এরই মধ্যে নিজেকে তুলে ধরেছেন সফল নারী হিসেবে ।

এবারের মেলায় ছোট বড় ৩২৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় এসব প্রতিষ্ঠান চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্ত ও কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, সিরামিক ও হোমমেড খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। গত ১০ বছর ধরে ঘটা করেই আয়োজন করা হয়ে থাকে এই মেলার। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

এদিকে, দেশীয় পণ্যের বাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে বলে জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুর্শেদ আলম।

গত ২৪ নভেম্বর ১০ দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়ে চলে ৩  ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং

চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং। যিনি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন পাইলট হওয়ার। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে কাজ করার সুযোগ হয় ফাইটার পাইলট হিসেবে। এরপর ২০১০ সালে মহাকাশচারী কর্পসে যোগদান করেন এই নারী। ২০১২ সালের ১৬ জুন নভোযান শেনচৌ-৯ প্রথম চীনা নারী হিসেবে মহাকাশে পাড়ি জমান তিনি। এরপর চীনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন থিয়ানকুং নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে গত ৫ জুন শেনচৌ-১৪ করে মহাকাশে যাত্রা করেন এই নারী মহাকাশচারী। মিশন সফল করে রোববার পৃথিবীতে ফিরছেন লিউ। এই নারী মহাকাশচারীকে নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আফরিন মিম চীনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন থিয়ানকুং নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে গত ৫ জুন যাত্রা করেছিল শেনচৌ ১৪। ছয় মাস মহাকাশে কাটিয়ে মিশন পুরোপুরি সফল করার  পর পৃথিবীতে ফিরেছেন চীনের শেনচৌ

-১৪ মিশনের তিন নভোচারী। রোববার স্থানীয় সময় রাত আটটা ৯ মিনিটে ইনার মঙ্গোলিয়ার তংফেং কেন্দ্রে অবতরণ করে তাদের বহনকারী ক্যাপসুল। প্রায় ৪০ মিনিট পর তাদের বের করে আনেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসিমুখে বেরিয়ে এসে সহকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন চীনা নভোচারীরা। হাত নেড়ে জানান শুভেচ্ছা। এদেরই একজন সদা হাসোজ্জ্বল ৪৩ বছর বয়সী লিউ ইয়াং। যিনি চীনের প্রথম নারী নভোচারী।   

বলেন “  মহাকাশ স্টেশনে আমার অবিস্মরণীয় স্মৃতি রয়েছে। মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত”

চীনের হেনান প্রদেশে ১৯৭৮ সালের ৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন লিউ ইয়াং। ছোটবেলা থেকেই লিউ পাইলট হিসেবে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন। ১৯৯৭ সালে তিনি পাইলট হিসেবে যোগ দেন পিপলস রিপাবলিক আর্মি এয়ারফোর্সে। আর্মিতে তিনি ছিলেন ফাইটার পাইলট। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যচিত্রে জানা যায়, লিউ যখন পরিবহন বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং একাধিক পাখির আঘাতে তার বিমানের একটি ইঞ্জিন অক্ষম হওয়ার পরেও তিনি ছিলেন শান্ত। 

শান্ত স্বভাবের উদ্যমী এই নারী ২০১০ সালে মহাকাশচারী কর্পসে যোগদান করেন । ১৬ জুন, ২০১২ তারিখে চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের গোবি মরুভূমিতে অবস্থিত চিনকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা লং মার্চ রকেকটি বয়ে নিয়ে যায় চীনের নভোযান শেনচৌ-৯ কে। এই অভিযানে অংশ নেন চীনের প্রথম নারী মহাকাশচারী লিউ ইয়াং।

চলতি বছরের ৫ জুন শেনচৌ ১৪’র চিউছুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা করে থিয়ানকুং মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছান লিউ। মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানকালে ওয়েনথিয়ান ও মেংথিয়ান স্পেস ল্যাবমডিউল সংযুক্তি তদারকি করেন তিনি তার সহ মহাকাশচারীরা।

বিশ্বের কাছে পরিচিত এই নারী মহাকাশচারী প্রতিবেশীদের কাছে পরিচিত একজন বক্তা, একজন আগ্রহী পাঠক এবং  ভালো রন্ধনশিল্পী হিসাবে ।

গান : শিল্পী ফে ওয়াং

চীনের একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফে ওয়াং। ১৯৬৯ সালের ৮ আগস্ট বেইজিংয়ে তার জন্ম। তার প্রকৃত নাম সিয়া লিন। শার্লি ওয়াং নামেও তিনি পরিচিত। ১৯৮৭ সালে তিনি হংকংয়ে যান।

 

সেখানে গান পরিবেশন করে জনপ্রিয়তা পান। নব্বই দশকে তিনি পুরো চীনেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক সংগীত অঙ্গনেও পপ শিল্পী হিসেবে অনেক খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। তাকে বলা হয় এশিয়ার অন্যতম সেরা পপ শিল্পী। তিনি অনেক ভিডিও গেমেরও থিম সং গেয়েছেন।

চলুন শিল্পী ফে ওয়াংয়ের কণ্ঠে একটি গান শোনা যাক। গানটির শিরোনাম স্বপ্ন।

 

ঐতিহ্যকে নতুন আঙ্গিকে ফিরিয়ে এনেছেন যে নারী

 প্রাচীন অলংকার থেকে নকশা নিয়ে নতুন আঙ্গিকে শিল্প সৃষ্টি করে খ্যাতি পেয়েছেন চীনের নারী চৌ ইয়ুথাং। তার তৈরি হেয়ার পিন এবং অন্যান্য অলংকার এখন অনেক তরুণীর কাছে ফ্যাশন ক্রেজ। চলুন শোনা যাক এই সৃজনশীল নারীর গল্প।

হেয়ারপিন ও অন্যান্য নানা অলংকারে চুল শোভিত করতেন প্রাচীন চীনের নারীরা। সেই ঐতিহ্যকে আধুনিক ফ্যাশনে পরিণত করেছেন এক তরুণী কারুশিল্পী।

 চৌ ইয়ুথোং। গেল দুই বছরে তিনি তিনশ’র বেশি হেয়ারপিন এবং অন্যান্য হেয়ার একসেসরিজ বানিয়েছেন। এগুলোর ডিজাইন তিনি করেছেন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চীনা অলংকারের নকশায়।

লাল, নীল, গোলাপি, সোনালি বিভিন্ন রঙের পাথর, পুতি, মুক্তা ব্যবহার করেছেন তিনি। পালক, স্বর্ণ, রূপা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদির উপর নানাভাবে নকশা করে তিনি চুলের অলংকার তৈরি করেছেন।

কানসু প্রদেশের লানচোও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট চৌ ইয়ুথোং। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাকের প্রতি আকর্ষণ থেকেই চুলের অলংকার বানানো শুরু করি।’

ঐতিহ্যবাহী চীনা পোশাক পরতে ভালোবাসেন চৌ। হানফু পরে তারসঙ্গে চীনা স্টাইলে চুল বেঁধে বিভিন্ন অলংকার পরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো হয়ে দাঁড়ায় তার প্রধান অবসর বিনোদন।

প্রথম হেয়ারপিনটি তিনি বানান হালকা নীলরঙের । পাতার আকারে হেয়ার পিন বানিয়ে তার উপর পুতি বসান। তবে সে নেহাত কাঁচা হাতে বানানো ছিল্ পাতাগুলো সমান হয়নি, পুতিও ঠিকভাবে বসেনি।

এখন কিন্তু তিনি অনেক দক্ষ হয়েছেন। প্রথমে বন্ধুদের জন্য চুলের অলংকার বানানো শেুরু করেন। এরপর চেনাজানারা কিনে নিতে থাকেন।

এক বছরের মধ্যেই চৌ ইন্টারনেটে তার তৈরি সামগ্রী বিক্রি করা শুরু করেন। অনেক অর্ডারও পেতে থাকেন।

প্রথম যে পণ্যটি তিনি বিক্রি করেন সেটির কথাও স্পষ্ট মনে আছে চৌর। চীনা সংস্কৃতির  ঐতিহ্যবাহী লাল-গলা সারসের আকারে হেয়ার পিন তৈরির অর্ডার পান তিনি। চৌ চিন্তা করেনিএক্ষেত্রে জেড পাথর ব্যবহার করবেন।তিনি জেড পাথরে সারসটি তৈরি করে তার চারপাশে মেঘ ও ফুলের পাপড়ির আকারে পুতি বসান।  সেটি চীনের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ  এবং দীর্ঘজীবনের প্রতীক হয়।

চৌ বলেন ‘আমি আশা করি আরও অনেক সুন্দর ও বিশেষ ধরনের চুলের অলংকার তৈরি করবো যেগুলো চীনা সংস্কৃতির প্রতি গ্রাহকদের ভালোবাসা বাড়িয়ে দিবে।’

চৌ তার শিল্পকর্মের অনেক আইডিয়া পেয়েছেন চিরায়ত চীনা কবিতা থেকে। স্কুলে যেসব কবিতা পড়েছেন সেগুলো তাকে নতুন নতুন প্রেরণা দিয়েছে।

এইভাবে ঐতিহ্যকে ব্যবহার করে নতুন ফ্যাশন সৃষ্টি করেছেন চৌ ইয়ুথোং।

 

চীনা ভাষাকে বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন হাও খাই লি

 

চীনা ভাষাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করিয়ে দিতে দারুণ কিছু উদ্যোগ নেন এই ভাষার প্রশিক্ষকরা। তেমনই একজন নিবেদিত শিক্ষক হলেন চীনা তরুণী হাও খাই লি। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে শুধু ভাষা নয় চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাবেন শিক্ষার্থীরা। বিস্তারিত জানাবেন, হাবিবুর রহমান অভি।  

চীনা ভাষার শিক্ষিক হাও খাই লি। এই চীনা তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। কাজের সুবাদে তাকে যেতে হয়েছে কেনিয়াতে। দেশটির কেনিয়াট্টা ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষা শেখান তিনি।

ঐতিহ্যবাহী চীনা ভাষা ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতির প্রতি বেশ আগ্রহী কেনিয়ার শিক্ষার্থীরা। হাও তাঁর শিক্ষার্থীদের ‘পৃথিবী ভালবাসায় পূর্ণ হোক’ শিরোনামে একটি চীনা গান শিখিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যখন গানটি গায়, তখন মাতৃভূমির প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এরইমধ্যে হাও খাই লি’র শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অর্জন করেছে গৌরবময় স্বীকৃতি।

হাও খাই লি চীনে ফিরেছেন। কিন্তু তার মন পড়ে আছে কেনিয়ায়। সেখানকার শিক্ষার্থীদের কথা ভীষণ মনে পড়ে তার।

হাও খাই লি তার শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আর এ বন্ধুত্ব চিরসবুজ থাকবে  প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।

সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল