ডিসেম্বর ৮: ‘জীববৈচিত্র্য কনভেশন’ স্বাক্ষরকারী দেশসমূহের পঞ্চদশ সম্মেলন (কপ-১৫)-এর দ্বিতীয় পর্বের সম্মেলন আগামী ৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত হবে। চীন কপ-১৫-এর সভাপতিরাষ্ট্র হিসেবে সম্মেলনে নেতৃত্ব দেবে।
সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কাজ কেমন চলছে? সম্মেলন থেকে প্রত্যাশাইবা কী? সম্মেলন সফল করতে চীন কী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে? সম্প্রতি কপ-১৫ দ্বিতীয় পর্বের সম্মেলনের প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয় চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে।
চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক ছুই শু হুং প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে কপ-১৫ প্রথম পর্যায়ের সম্মেলন চীনের ইয়ুন নান প্রদেশের রাজধানী খুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ১৫০টিরও বেশি স্বাক্ষরকারী দেশের ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৫ সহস্রাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। চীন আয়োজক দেশ হিসেবে সম্মেলনে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়। সম্মেলনটি বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শক্তিশালী রাজনৈতিক উদ্দীপনা যুগিয়েছে।
তিনি বলেন, কপ-১৫ দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনেও চীন নেতৃত্ব দেবে। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘প্রাকৃতিক সভ্যতা: যৌথভাবে পৃথিবীর অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলা’-ই থাকছে এবং লোগো-ও পরিবর্তিত হচ্ছে না।
চীনা সরকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ইয়ুন নান প্রদেশের সরকার, ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চীনা প্রতিনিধিদলকে সম্মেলনে অংশ নিতে মন্ট্রিলে পাঠাবে। বর্তমানে সম্মেলনের বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষ।
চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের মহাপরিচালক চৌ কুও মেই বলেন, কপ-১৫ দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রত্যাশিত লক্ষ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য কাঠামো’ অর্জন করা। তিনি বলেন, এই কাঠামো ‘প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন’-এর সম্ভাবনার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এর লক্ষ্য ‘২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্যকে পুনরুদ্ধারের পথে স্থাপন করা’।
তিনি বলেন, চার দফা বৈঠকের পর, এই ‘কাঠামো’ নিয়ে আলোচনা অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই কাঠামোসংশ্লিষ্ট আলোচনার পথ মসৃণ ছিল না। কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে পক্ষগুলোর মধ্যে এখনও মতভেদ রয়ে গেছে। এই কাঠামো গৃহীত হওয়া ও কার্যকর হওয়া চূড়ান্তভাবে এর বাস্তবায়নকৌশলের ওপর নির্ভর করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি মূলত সম্পদ সংগ্রহ ও আর্থিক সহায়তার বিষয়। আর এটিই ‘কাঠামো’ আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন বিষয়।
তিনি বলেন, সভাপতিরাষ্ট্র হিসেবে, চীন বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার পক্ষে অগ্রণী ও সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালনে কোনো কার্পণ্য করেনি। কপ-১৫-এর প্রথম পর্যায়ের সম্মেলন থেকে, চীন প্রায় ৪০টি কনভেনশন ব্যুরো সভা আয়োজন করেছে, সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ সভার প্রস্তুতি ও আলোচনা প্রক্রিয়ার জন্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা ও নির্দেশিকা প্রদান করেছে। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)