চীনের শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ বছরের উন্নয়নের ইতিহাস
2022-12-05 16:14:57

উচ্চশিক্ষা এখন চীনাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত একটি ব্যাপার। যারা পড়াশোনার ভালো ও তাদের আগ্রহ আছে, তারা অবশ্যই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালায়। জ্ঞান সমাজ উন্নয়নের শক্তি ও ভিত্তি। তাই, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা চীনা যুবক-যুবতীদের আশা-আকাঙ্খায় পরিণত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ইতিহাস তুলে ধরবো। এ বিশ্ববিদ্যালয় শতাধিক বছরের ইতিহাস রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছেন। আমরা আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঐতিহ্যিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও নতুন উন্নয়নের কিছু তথ্য-উপাত্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

প্রাচীনকালে শানসি বিশ্ববিদ্যালয় চীনের শানসি প্রদেশের থাইইউয়ান শহরের ৯ নম্বর হৌচিয়া রাস্তায় অবস্থিত ছিল। সেটি ছিল চীনা ও পাশ্চাত্যের স্থাপত্যের মিলমিশে তৈরি একটি বিশেষ ভবন। বর্তমানে ভবনটি স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষাভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১০০ বছর আগে, এখানকার শিক্ষার্থীরা চীনা জাতির পুনরুত্থানে ভূমিকা রাখার জন্য পরিশ্রমের সাথে পড়াশোনা করেছেন।

১৯০২ সালে তত্কালীন শানসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা চীনের আধুনিক শিক্ষার ভিত্তিগুলোর অন্যতম। ১৯০২ সালে চীনের সামাজিক ব্যবস্থা আধা-ঔপনিবেশিক এবং আধা-সামন্ততান্ত্রিক ছিল; সংস্কার ও আত্মউন্নয়নের ব্যাপারে  তখন সমাজে মতৈক্য ছিল। সেবছর চীনের বিভিন্ন প্রদেশে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শানসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেগুলোর মধ্যে একটি। এটি প্রাচীন স্টাইলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং পাশ্চাত্য শিক্ষাকে সংযুক্ত করে গড়ে ওঠা আধুনিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। সেই বছরের ৮ মে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

অতীতকালের ইতিহাস স্মরণ করে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিং লং বলেন, প্রাচীনকালে চীনারা অদম্য চেতনায় পাশ্চাত্য আগ্রাসকদের বিরোধিতা করেছে। আবার দেশের উন্নয়নের স্বার্থে পাশ্চাত্য দেশগুলোর কাছ থেকে নতুন জ্ঞান শিখতেও পিছপা হয়নি।

প্রাচীনকালে শানসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠনের পর, চীনের ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন শিক্ষা-উপকরণ সংগ্রহ করা হয় এবং এতে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়ে। ১৯১২ সালে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘শানসি বড় স্কুল’ হয়। ১৯২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুন চিয়ান ছু নামের একজন ছাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ের খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান বিভাগে ভর্তি হন এবং স্নাতক হওয়ার পর তিনি গাধার পিঠে চড়ে শানসি প্রদেশের উথাই পাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তখন থেকে স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তিনিই হন চীনের পেট্রোলিয়াম ভূতত্ত্ব বিদ্যার প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৩১ সালে শানসি বড় স্কুলের নাম আবার পরিবর্তন করে শানসি বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়। এসব ইতিহাস গত বছরের জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে জানতে পেরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২০ সালে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতি একাডেমিতে ভর্তি হয় শিক্ষার্থী উ ইয়ু থং। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সম্পর্কে সে বললো, “যুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকবার পড়াশোনার স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। শাআনসি প্রদেশের ইছুয়ান জেলার হুসিয়াও গিরিখাত, শানসি প্রদেশের চি জেলায় হলুদ মাটির গুহায় পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নেওয়া হয়েছে।”

অতীতকালের ইতিহাস সম্পর্কে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিং লং বলেন, কঠোর পরিবেশে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কষ্ট সহ্য করে পড়াশোনা করেছে। এমন চেতনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়।

১৯৪৪ সালের জানুয়ারি মাসে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে বাঘ ও বিমানের ছবি ছিল, যা হুসিয়াও গিরিখাতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাতৃভূমির আধুনিক জীবনের জন্য প্রত্যাশার প্রতীক। যদিও পাহাড়ের গুহায় পড়াশোনার পরিবেশ অনেক খারাপ ছিল, তবে সবাই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করেছেন; অবসর সময়ে সবাই মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করেছেন। সেসব স্মৃতি বড়ই মধুর।

হুসিয়াও গিরিখাত শাআনসি প্রদেশের ইয়ান’আন শহরের কাছে অবস্থিত। তাই ইয়ান’আন শহরে লাল ফৌজের রচিত ম্যাগাজিন বা বই পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য একাডেমির ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব লেখা সংগ্রহ করা হয়। এসব রচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দেশপ্রেমিক হতে উত্সাহিত করেছে।

শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে এলে ছুমিন চত্বর দেখা যায়। সেটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রেসিডেন্ট, চীনের সুবিখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী তেং ছু মিনের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১৯৫৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব তেং ছু মিন। অসুস্থতার মধ্যেও তিনি পদত্যাগ করেননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে বাজেট সংগ্রহে কাজ করে যান। পাশাপাশি, তিনি সুবিখ্যাত পণ্ডিতদের আমন্ত্রণ জানাতেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সেরা শিক্ষক খুঁজে বেড়াতেন। শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ‘তেং ছোং চুন লিয়াং’, যার অর্থ ‘দক্ষ ও মেধাবী ব্যক্তিদের সম্মান ও প্রশিক্ষণ দেওয়া’। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার আগে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ৭০ জনেরও বেশি, যাদের মধ্যে বিদেশি শিক্ষক ১৭ জন। বিদেশিদের মধ্যে অনেকে ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, ও অস্ট্রেলিয়ার সুবিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আধুনিক চীনের শিক্ষাবিদ ছাই ইউয়ান পেই, হু শি, থাও সিং চি-সহ অনেক সুবিখ্যাত ব্যক্তি শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।

জনাব তেংয়ের প্রচেষ্টায় চীনের শতাধিক সুবিখ্যাত পণ্ডিত ও শিক্ষক শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করেছে বলা চলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিভিন্ন বিভাগের সংস্কার ও সমন্বয়কাজও চলেছে। ১৯৪৯ সালের জুন মাস থেকে ১৯৬২ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত, চিকিত্সা, যন্ত্র প্রকৌশল, টেক্সটাইল, ব্যবসা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোতে বিভিন্ন শাখা একাডেমিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষণাগার একটি পুরনো বই সংগৃহীত রয়েছে। সেটি ১৯০৬ সালে শানসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুবাদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত পদার্থবিদ্যার বই। এর ভিতরে ধ্রুপদি চীনা ভাষা ও ইংরেজি ভাষার মিশেল দেখা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, ১২০ বছর আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ক্লাস নেওয়া হতো। বর্তমানে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ান্টাম অপটিক্স, পারমাণবিক এবং আণবিক পদার্থবিদ্যাসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চপর্যায়ের সেরা ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে।

পদার্থবিদ্যায় শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেশে শীর্ষস্থানে। এর পেছনেও একটি গল্প রয়েছে। ১৯৭৮ সালে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলন আয়োজিত হয়। তখন বৈদেশিক সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতির সূচনায় চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার বসন্তকালও এসেছে। তত্কালীন শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদম্পতি পেং খুন সি এবং সিয়ে ছাং ত্য দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখার জন্য বিদেশে গিয়ে কোয়ান্টাম অপটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেন।

১৯৮৪ সালে বিদেশের শ্রেষ্ঠ জীবনযাপন ও চাকরি ছেড়ে দিয়ে অধ্যাপক পেং খুন সি এবং সিয়ে ছাং তৈ আবার শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। এ সম্পর্কে অধ্যাপক পেং বলেন, “আমরা ফিরে আসার জন্য বিদেশে গেছি। কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তি, তাই আমরা সেটা অধ্যয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখার চেষ্টা করি।”

অধ্যাপক পেংয়ের নেতৃত্বে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের প্রথম কোয়ান্টাম অপটিক্স পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি শানসি প্রদেশের প্রথম  চীনা একাডেমিশানে পরিণত হন। জনাব পেংয়ের নেতৃত্বে অনেক প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে স্নাতক হয়েছেন। তাঁর প্রভাবে স্নাতক শিক্ষার্থীরা অনেক কঠিন বিষয় বেছে নিয়ে শূন্য থেকে তাদের গবেষণার কাজ শুরু করেন।

বর্তমানে অধ্যাপক পেংয়ের বয়স ৮৬ বছর। তবে তিনি অবসর নেননি। এখনও প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটায় অফিসে পৌঁছে নিজের গবেষণাকাজ ও শিক্ষাদানের কাজের প্রস্তুতি নেন তিনি।

অধ্যাপক পেংয়ের মতো সেরা শিক্ষক শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো অনেক রয়েছেন। তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে নিরলস প্রচেষ্টা চালান। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ের বাস্তব কাজের ওপর নির্ভর করে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি বিভাগে শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন মেজর। ৪ বছর পর এসব শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘরসংশ্লিষ্ট সাধারণ জ্ঞান অর্জন করবে এবং স্নাতক হওয়ার পর জন্মস্থানের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সংরক্ষণকারীতে পরিণত হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৬০০ জনেরও বেশি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সংরক্ষণকারী এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন। এভাবে শানসি প্রদেশে এ খাতের দক্ষ ব্যক্তিদের অভাব পূরণ হবে। তারা শানসি প্রদেশের বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবেন।

২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিটির প্রকাশিত সেরা তালিকায় শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও পদার্থবিদ্যা বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি শতাধিক বছরের পরিশ্রমের ফল।

সম্প্রতি শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চীনা অপেরা’ সিলেকটিভ ক্লাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা এ ক্লাসের মাধ্যমে চীনের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির আমেজ অনুভব করতে পারেন।

পেশাগত ও বহুমুখী দক্ষ ব্যক্তি গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক ক্লাসও চালু হয়েছে। যেমন, সাহিত্য প্লাস ইতিহাস ও দর্শন, ফলিত রসায়ন প্লাস জীববিজ্ঞান, ইত্যাদি।

বর্তমানে শানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, পদার্থবিদ্যা, চীনা সাহিত্যসহ ৪২টি বিভাগ চীনের শ্রেষ্ঠ মেজরে পরিণত হয়েছে। ২০২১ সালে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের সেরা পুরস্কারও লাভ করেছে। দেশের চাহিদা ও নব্যতাপ্রবর্তন বিবেচনা করে, আরও বেশি দক্ষ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, যা চীনের আধুনিকায়নের অন্যতম ভিত্তি।

(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)