আপন আলোয় এ পর্বে অতিথি চাঁদপুরের প্রতিভাময়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য
নবম উছান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল
পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের থংসিয়াং শহরে গেল শুক্রবার শুরু হয়েছে নবম উছান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল।
উত্তর চেচিয়াং-এ উছান নামের জায়গাটি একটি প্রাচীন জলের শহর হিসেবে পরিচিত। যেখানে বহু যুগ ধরে সুসংরক্ষিত ভবন এবং পাথরের সেতু রয়েছে। এ উৎসব উছান শহরকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করে তুলেছে।
আয়োজকরা জানান, ১০ দিনের এই ইভেন্টে নাটক, সাহিত্য এবং শিল্পকলার বিষয়সহ বিশেষভাবে বাছাইকৃত নাটকের ৬৩টি পরিবেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রঙিন পোশাক পরিহিত নাটকের জমকালো শো-সহ করা হয়েছে নানা আয়োজন। এবারের অনুষ্ঠানে প্রথবারের মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উৎসবটিকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রধান প্রধান আয়োজনের মধ্যে রয়েছে থিয়েটার পারফরম্যান্স, থিয়েটার মার্কেট, আউটডোর কার্নিভাল, উদীয়মান নাট্য শিল্পীদের প্রতিযোগিতা।
এ উৎসব জলের এই শহরটিকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বর্তমানে এটি পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
সড়কে সড়কে পারফর্ম্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন নানা আয়োজন দর্শনার্থীদের জন্য শহরে লুকানো রত্ন খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি গভীর অভিজ্ঞতা দেয় বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
উৎসবটি নাটকপ্রেমীদের জন্য উছানকে একটি তীর্থস্থানে রূপান্তরিত করেছে। কাজে সৃজনশীলতা ও মনের উষ্ণতা বাড়াতে এই ধরণের উৎসব খুব সহায়ক বলে মনে করেন আয়োজকরা।
প্রাচুর্যকে এ বছরের গালার থিম করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনব্যাপী এ উৎসব ডিসেম্বরের ৫ তারিখ শেষ হবে।
অন্তরঙ্গ আলাপন
চাঁদপুরের প্রতিভাময়ী নবীন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
আপন আলোয় ৯৭তম পর্বে অতিথি নবীন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের ৪০তম সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে ‘অনন্য মান’ অর্জন করে জাহিদুর রহিম স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেছেন সিমন্তি। চাঁদপুর থেকে তিনিই প্রথম এ কৃতিত্ব দেখান।
এর আগে সিমন্তি ২০১৫ ও ২০১৭ সালে সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কিশোর বিভাগে প্রথম মানে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসংগীতে প্রথম স্থান লাভ করেন তিনি। এ ছাড়াও সিমন্তি ২০১৭ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসংগীতে শ্রেষ্ঠ বিজয়ীর স্বীকৃতি লাভ করেন।
সিমন্তির সংগীতে হাতেখড়ি বাবা বিমল চন্দ্র দে’র কাছে। পরবর্তীতে স্বপন সেনগুপ্ত, বাবুল চক্রবর্তী, শংকর আচার্যী, সৈকত সাহার কাছে তালিম নেন।
প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করেন চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সঙ্গীত নিকেতনে। চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেছেন সিমন্তি।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিমন্তি বলেছেন, চাঁদপুরে সুন্দর গানের পরিবেশে তিনি বড় হয়েছেন। সেখানে অনেক গুণী গুরুজন রয়েছেন এবং সংগীত শিক্ষায় সবসময় তাদের সহযোগিতা পান। সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় অনন্য মান লাভের জন্য তিনি বাবা-মা-দাদা ও গুরুদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
গান গেয়ে সবার ভালোবাসা পেয়েছেন-এটা তার সবচেয়ে বড় পুরস্কার বলে মনে করেন সিমন্তি। সংগীতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহ রয়েছে বলেও জানান প্রতিভাময়ী এ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।
--------------------------------
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম
প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী।
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া।