দেহঘড়ি পর্ব-৯৮
2022-12-02 21:29:59

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।

 

#ভালো_থাকার_আছে_উপায়

গোড়ালি ফাটা নিয়ে চিন্তা, আর না আর না

শীতকাল আসি আসি করছে। এমন সময় গোড়ালি ফাটা শুরু হয়। আর শীতে এটা প্রকট হয়। কিছু সাধারণ কারণ আছে যেগুলোর জন্য মূলত গোড়ালি ফাটে। এগুলো হলো বাড়তি ওজন, দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, উপযুক্ত সাইজের জুতা না পরা, ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক এবং সঠিক যত্নের অভাব। মুখের যত্ন যতটা গুরুত্বপূর্ণ পায়ের যত্ন তার চেয়ে খুব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। চলুন জেনে নিই গোড়ালি ফাটা সমস্যার ঘরোয়া সমাধান কী আছে:

টি ট্রি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ও অলিভ অয়েল: টি ট্রির অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান গোড়ালিকে খুব ভালোভাবে পরিস্কার করে। আর অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে শুষ্কতা দূর করে। এই দু’টির সংমিশ্রণ গোড়ালি ফাটা সারানোর জন্য উৎকৃষ্ট। পরিমাণমতো অলিভ অয়েলের সাথে ২/৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ভালো করে মিশিয়ে পায়ে মালিশ করুন। আর এটি করার আগে গরম পানিতে অবশ্যই পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে খুব দ্রুত সুফল পাবেন।

আপেল সিডার ভিনেগার ও লেমন জেস্ট: লেবুর খোসা কিন্তু ফেলনা না। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। অন্যদিকে ভিনেগার পা ফাটা কমায় লক্ষণীয়ভাবে। এ দু’টি উপকরণ একত্রে স্কিনে পুষ্টি যোগায়। তাই গোড়ালি ফাটা সেরে যায় খুব তাড়াতাড়ি। পানি ও লেমন জেস্ট মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পানি হালকা ঠাণ্ডা হয়ে আসলে তাতে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। ব্যস, পায়ের গোড়ালিতে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে ত্বক হবে কোমল ও সুন্দর।

ভ্যাসলিন আর লেবুর রস: গোড়ালি ফাটা সারাতে ভ্যাসলিনের জুড়ি নেই। আর লেবুর রস ভিটামিন সি-যুক্ত। তাই এগুলো নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। প্রথমে কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের মতো। এবার ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। তারপর ১ চা চামচ ভ্যাসলিনের সাথে ৩-৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পায়ে লাগিয়ে উলের মোজা পরে নিন। কয়েক ঘন্টা পর হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত এটা করুন।

হলুদ ও যষ্টিমধু: যষ্টিমধু অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। এতে আছে গ্লাইসিরিজিন, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান হিসাবে কাজ করে। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে। সেই সাথে ত্বকের চুলকানি ও অস্বস্তিবোধ কমায়। আর অ্যান্টি-সেপটিক গুণাগুণ থাকায় ফাটা গোড়ালির ক্ষত সারিয়ে তোলে। সামান্য হলুদের গুঁড়া ও পরিমাণমতো যষ্টিমধুর গুড়ো পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর পায়ের তলায় কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা জেল ও গ্লিসারিন: অ্যালোভেরা জেল যে কতটা উপকারী সেটা বলে শেষ করা যাবে না। পা ফাটা কমাতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে। পায়ের জন্য এটি যেন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। অন্যদিকে গ্লিসারিনও ত্বককে কোমল রাখে। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। পা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আগে। মুছে নিয়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। অথবা রাতে শোয়ার আগে পা মুছে একটু ঘন করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে সুতোর মোজা পরে নিন। সকালে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।

চালের গুড়ো, মধু ও ভিনেগার: ত্বকের যত্নে মধু দারুণ উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে প্রাকৃতিকভাবেই। চালের গুড়ো ও ভিনেগার ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। ৩ টেবিল চামচ চালের গুড়ো, ১ চামচ মধু এবং ২-৩ ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। ১০ মিনিট হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে ওই পেস্ট দিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং ধুয়ে ফেলুন। পা মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কলার প্যাক: চুল ও ত্বকের যত্নে পাকা কলার ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে, যা ত্বকে পুষ্টি যোগানোর ক্ষেত্রে অতুলনীয়। আর এটি ত্বককে হাইড্রেট ও কোমল করে তোলে। পাকা কলা ভালোভাবে ম্যাশ করে সম্পূর্ণ পায়ে লাগিয়ে হালকা করে ঘষুন। চাইলে দুধ যোগ করা যায়। এটি লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিক ক্লিন- রহমানজার হিসাবে কাজ করে। - রহমান/অভি

 

#কী_খাবো_কী_খাব_না

পুষ্টিগুণে ভরপুর সাবুদানা

নানাবিধ পুষ্টিগুণের আধার সাগু বা সাবুদানা। শুধু পুষ্টিগুণের জন্য নয়, স্বাদের কারণেও এটা বেশ জনপ্রিয়। এটি সহজেই হজম হয়, শরীরে দ্রুত শক্তি যোগায়, পেশী সংকোচনে সহায়তা করে এবং পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। ফ্যাট খুব কম থাকায় হার্টের রোগীদের জন্য ভালো একটি খাবার এটি। প্রতি ১০০ গ্রাম সাবুদানায় থাকে ৩৫৪ কিলোক্যালোরি, ফ্যাট ৫০ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮৭ গ্রাম, আঁশ ১ গ্রাম, প্রোটিন ৪২০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম, কোলেস্টেরোল শূন্য গ্রাম এবং পটামিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের আগে বা পরে যদি সাবুর মতো কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায়, তাহলে শরীর চাঙ্গা থাকে। ব্যায়ামের পরে শরীরের ক্লান্তি দূর করতেও সাবুর মতো খাবার খুব দরকারি।

চলুন জেনে নিই সাবুদানার নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে:

হজমশক্তি বাড়ায়: সাবুদানা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় কারণ সাবুদানাতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে জলীয় দ্রবণের তন্তু বা আঁশ। এই তন্তু থাকার কারণে সাবুদানা মানুষের পৌষ্টিক নালীকে পরিষ্কার রাখে, পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের মতো সমস্যাগুলোকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

তৎক্ষণিক শক্তি আনে: সাবুদানা সরল শর্করায় পরিপূর্ণ। এজন্য খাওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয় এবং শরীরের কোষে কোষে গিয়ে তৎক্ষণাৎ শক্তি প্রদান করে। এইকারণে অসুস্থ রোগীদের দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার জন্যে এবং তৎক্ষণাৎ শক্তি জোগানোর জন্যে অনেকসময় সাবু খাওয়ানো হয়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: সাবুদানাতে প্রচুর পরিমানে ট্যানিন ও ফ্লেভানয়েড নামে দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে দেহের বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফ্রি রেডিক্যালগুলো আমাদের শরীরের কোষ নষ্ট করে ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। সাবুতে থাকা এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো ফ্রি রেডিক্যালগুলো নষ্ট করে ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধি থেকে রক্ষা করে ।

রক্তচাপ কমায়: শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাসিয়াম একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সাবুদানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম। তাই নিয়মিত সাবুদানা খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর হয়।

হার্ট ভালো রাখে: সাবুদানায় কোন স্যাচুরেটেট ফ্যাট থাকেনা। ফলে এটি হার্টের জন্য খুব উপকারি।

হাড় মজবুত রাখে: সাবুদানাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এজন্য শিশু বা বয়স্কদের নিয়মিত সাবুদানা খাওয়ালে যেমন হাড় মজবুত হয় তেমনি হাড়ের ঘনত্বও বাড়ে । এইকারণে সাবুদানা খেলে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়জনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

চুল রক্ষা করে: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে সাহায্য করে সাবুদানা। সাবুতে থাকা বিশেষ প্রোটিন অকালে চুল ঝরে পড়া রোধ করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, খুশকির হাত থেকে রক্ষা করে, এমনকি চুলের বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: সাবুতে যে স্টার্চ পাওয়া যায়, তা রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমায়। ফলে এটা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী।

ওজন বাড়ায়: সাবুদানাতে বেশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। এতে ক্যালোরিও খুব বেশি পরিমাণে থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্যে এটি একটি উত্তম খাবার হিসাবে পরিচিত। যারা ওজন বাড়াতে চান, তারা নিয়মিত সাবুদানা খেতে পারেন। - রহমান/অভি

 

## ‘উপসর্গে_উপলব্ধি’

এসব উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন ডিমেনশা হতে যাচ্ছে আপনার

ডিমেনশা বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ বার্ধক্যের একটি রোগ। এটি এক ভয়ঙ্কর রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হলে চলাফেরায়, কথা বলায় সমস্যা হয়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ ডিমেনশায় আক্রান্ত। এই রোগে স্মৃতিশক্তি ও ভাষাগত দক্ষতা কমে এব মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজগুলো করতেও মানুষের সমস্যা হয়।

 যুক্তরাষ্ট্রের ‘আলৎঝাইমার’স অ্যাসোসিয়েশন’র মতে, ডিমেনশা কোনও একক রোগ নয়। ডিমেনশা বলতে মূলত মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার সমষ্টিকে বোঝায়। ‘আলৎঝাইমার’স রোগ ও ডিমেনশার অন্তর্ভুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন হেল্থ অ্যান্ড সেইন্ট মেরি’স হসপিটালের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পরিচালক ডা. কারি উইনচেল বলেন, “ডিমেনশা’ একজন মানুষের মস্তিষ্কের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা মানুষভেদে ভিন্ন। রোগে আক্রান্ত হলে যে বিষয়গুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে সাধারণ হলো ‘অ্যামিলোয়েড প্লাকস’, ‘নিউরোফিব্রিলারি ট্যাঙ্গলস, দূরারোগ্য প্রদাহ, মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যাওয়া, এবং নিউরন মরে যাওয়া।

আজ আমরা আলোচনা করবো ডিমেনশার উপসর্গ নিয়ে। এসব উপসর্গ যদি কারও মধ্যে প্রকাশ পেতে থাকে তবে ধরে নিতে হবে তিনি স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশাতে আক্রান্ত হতে চলেছেন।

ভুলে যাওয়া

ডা. কারি উইনচেল জানান, ডিমেনশা রোগীদের নিউরন ধ্বংস হয়ে যায়, যে কারণে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত তথ্য সঠিক সময়ে কাজে লাগানো যায় না। এর ফলে পূর্ব পরিচিত স্থান, ব্যক্তি, ঘটনা ইত্যাদি মনে করতে সমস্যা হয়।

কথা বলায় সমস্যা

কথার খেই হারিয়ে ফেলা কিংবা মনের কথা ব্যক্ত করার শব্দ খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদি ডিমেনশা রোগের অন্যতম লক্ষণ। মস্তিষ্কের ‘হিপোক্যাম্পাস’ আর ‘এন্টোরহিনাল’ অংশে এই তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু নিউরন নষ্ট হয়ে যাওয়া কারণে তথ্য প্রবাহ ব্যহত হয়। ফলে শব্দ মনে পড়ে না।

সাধারণ কাজ করতে সময় লাগা

দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ যে কাজগুলো একসময় অনায়াসে করা যেত, ডিমেনশাতে আক্রান্ত হলে সেই কাজ করতে অনেক সময় লোগে। কারণ ওই কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিউরন পেশিতে যে সংকেত পাঠাত তা এখন আর আগের মতো করে পাঠাতে পারে না।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা

ডিমেনশা যদি কারও ‘সেরেব্রাল করটেক্সে’ আক্রমণ করে তবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে। যে কোনও কাজ করার আগে একটু ভাবা প্রতিটি মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডিমেনশা মস্তিষ্কের ওই বিশেষ অংশে আক্রমণ করলে মানুষ কোনো কাজ করার আগে ভেবে করব, নাকি না ভেবে করব - সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাই ভুলে যায়, হুট করে কিছু ঘটিয়ে বসে।

মানুষেকে পাত্তা না দেওয়া

ডা. উইনচেল বলেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ তার নিজের কোনও কথায় সামনের মানুষটা কী মনে করলো তার ধার ধারে না। ফলে আশপাশের মানুষ বিশেষ করে পরিবার বা কাছের লোকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশে থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা নিয়ে।

 

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।