"পরবর্তীতে প্রেম যখন আসে"
2022-12-02 17:16:32

ছাই চিয়ান ইয়া, তানিয়া চুয়া, একজন গায়িকা ও গীতিকার। তাঁর গানের মাধ্যমে তিনি শহুরে আধুনিক যুগের প্রেমের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেন। আজকের আসরে তার কয়েকটি গান আপনাদের শোনাবো।

তানিয়া চুয়া, ১৯৭৫ সালের ২৮শে জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দেশের বাড়ি চীনের চিয়াংসু প্রদেশ। তিনি এখন তাইওয়ানে বাস করেন। তিনি একজন পপ গায়িকা, সঙ্গীত-প্রযোজক ও গীতিকার।

একজন গীতিকার হিসাবে তানিয়া আত্মদর্শন করতে পছন্দ করেন ও শিখতে ভালবাসেন। গান লেখার ক্ষেত্রে তিনি খুব নৈমিত্তিক এবং জীবনের প্রতিটি সুখম্মৃতি গানের মাধ্যমে প্রকাশ করতে চান। তার কাছে সঙ্গীতই জীবন। তিনি তার নিজের জীবনে খুব মুক্ত, যা তার গানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তিনি যে-গানগুলো লিখেছেন সেগুলো স্পষ্ট ও তাজা। শহরের "কফি"-র মতো এসব গান হৃদয়-উষ্ণতাদায়ক, উপাদেয়।

একজন গায়িকা হিসাবে তানিয়া তাঁর সঙ্গীত-প্রতিভা সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করেছেন। ভক্তরা তাঁর গানে দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া উপলব্ধি করতে পারেন। তার গায়কী নৈমিত্তিক, শান্ত ও সংযত। তার গাওয়া সঙ্গীতের একটি স্পর্শকাতর মাত্রা রয়েছে। তার গান শুনলে আপনি একটি অনন্য ও মার্জিত আভা অনুভব করতে পারেন।

"উভচর" হল তানিয়ার একটি সঙ্গীত অ্যালবাম, যা ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের ওয়ার্নার মিউজিক প্রকাশ করে। তিনি এই অ্যালবামের জন্য ১৭তম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ম্যান্ডারিন ভাষার নারী গায়িকার পুরস্কার জিতেছেন।

২০০৩ সালে ওয়ার্নার মিউজিকে যোগ দেওয়ার পর প্রকাশিত অ্যালবাম ‘অজানা মানুষ’ তানিয়াকে মূলধারায় নিয়ে আসে। এ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি শহুরে প্রেমের মুখপাত্র হয়ে ওঠেন। পরের দুই বছরে তানিয়া জীবন, প্রেম ও শহরের জীবন নিয়ে সঙ্গীত রচনা করতে থাকেন এবং প্রায় ৩০টি গানের ডেমো সৃষ্টি করেন।

২০০৫ সালে "উভচর"-এর কাঠামোটি তানিয়ার সৃষ্টির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। তিনি নিজেই সম্পূর্ণভাবে সৃষ্টির প্রক্রিয়াতে অংশ নিয়েছিলেন এবং তার বান্ধবী ও সহকর্মী স্টেফানি সানও অতিথি হিসেবে অ্যালবামে উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্টেফানির সাথে গান "অরিজিন"-ও গেয়েছেন।

এই অ্যালবামে তানিয়ার ক্যারিশম্যাটিক কণ্ঠস্বর এখনও মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারে। অ্যালবামটিতে পপ, ফোক, রকের ছোঁয়া আছে। পুরো অ্যালবামে "শহুরে প্রেমের গান"-এর চরিত্র ধরে রাখা হয়েছে। আজ যখন সংগীতের শৈলীতে বৈচিত্র্য আনার প্রবণতা প্রবল, তখন তানিয়ার অ্যালবাম ছিল ঠিক বিপরীত।

অ্যালবামে "পরবর্তীতে প্রেম যখন আসে" এবং "বিদায়" মূলত তানিয়ার কণ্ঠে ধীরগতির প্রেমের গান। "অগ্রাধিকার"-এর মতো গানে সাধারণ শহরবাসীদের আবেগ তুলে ধরা হয়েছে এবং একটি ইতিবাচক ও আশাবাদী সুস্থ মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। "ধুলো" গানটি সামান্য ব্যতিক্রম। কিন্তু সাধারণভাবে, "উভচর" মানুষের জন্য যথেষ্ট বিস্ময় নিয়ে আসেনি। (স্বর্ণা/আলিম)