আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ১০২
2022-12-01 17:23:41

১. মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন হুয়া ইয়ুছেন

২. চীনা-কিউবান নারীশিল্পীর একক প্রদর্শনী চলছে  সাংহাইতে

৩. বিশ্বকাপে নারী রেফারি

৪. গান: শিল্পী ছান মিং

৫ ইতিহাসকে তুলে ধরছেন যে তরুণী

৬. পোর্সেলিনের অনন্য শিল্পী

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্টানে সবাইকে স্বাগতজানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে আজ আমরা কথা বলবো এমন একজন নারীকে নিয়ে যিনি তার পেশায় যেমন অবদান রাখছেন তেমনি কোভিড ১৯ মহামারির সময়ে ভলেনটিয়ার হিসেবেও সমাজের সেবা করেছেন। চলুন শোনা যাক তার কথা।

মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন হুয়া ইয়ুছেন

হুয়া ইয়ুছেন। একজন মিউজিক টিচার। মধ্যচীনের হুপ্যেই প্রদেশের উহান শহরের কাংহুয়া এলিমেন্টারি স্কুলের সংগীত শিক্ষক তিনি। কিন্তু অন্য দশজন গতানুগতিক শিক্ষকের ভিড়ে তিনি একেবারেই অন্যরকম।

 

                                           

শিশুদের তিনি যত্নের সঙ্গে গান শেখান, গল্প বলেন, এবং নানা রকম আনন্দময় পদ্ধতিতে তাদের মধ্যে জানার আগ্রহকে জাগিয়ে তোলেন।

উহানে যখন কোভিড মহামারী দেখা দেয় তখন সাহসের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকের কাজে এগিয়ে আসেন হুয়া ইয়ুছেন। তিনি মেডিকেল কর্মীদের পরিবহনে করে আনা নেয়া করতেন। টোল স্টেশনে গাড়ি চালকদের টেম্পারেচর পরীক্ষা করতেন এবং হাসপাতালের ব্রডকাস্টার হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে চীনা গান ‘আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা’ পরিবেশন করেন। এটা তিনি করেন রোগীদের মনোবলকে চাঙা করতে।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একজন কর্মী হুয়া ইয়ুছেন। তিনি বলেন, ‘পার্টিতে যোগ দেয়ার পর আমি অনুভব করি যে আমাকে ভালো কিছু কাজ করতে হবে।’

তিনি শুধু কোভিড মোকাবেলার যুদ্ধেই সৈনিক নন, শিশুদের মধ্যে তিনি সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে সহকর্মীদের প্রশংসাও পেয়েছেন।

স্কুলের অভিভাবকরাও তার কাজে খুব খুশি। অনেকেই বলেছেন তার সন্তান ছিল লাজুক প্রকৃতির। কিন্তু হুয়া ইয়ুছেন তাদের সংগীত ও নাচে আরও প্রেরণা দিয়ে প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করছেন। শিশুরাও তাকে অনেক পছন্দ করে। তার শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রাদেশিক পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে।

কোভিড প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হুয়া দিনে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টাও শ্রম দিয়েছেন। তার বাবা মা মেয়ের জন্য চিন্তিত হলেও তার এই সাহস ও সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডকে সমর্থন করেন। তার শিক্ষার্থীরা তাকে আইডল বলে মনে করে। এভাবেই অসখ্য মানুষের প্রেরণা হয়ে উঠেছেন হুয়া ইয়ুছেন।

 

 

 চীনা-কিউবান শিল্পীর একক প্রদর্শনী চলছে  সাংহাইতে

 

সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চীন ও কিউবার মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ট যোগাযোগ এবং বন্ধুত্ব।  চীনা ও কিউবান বাবা মায়ের সন্তান ফ্লোরা ফং। তিনি একজন প্রখ্যাত শিল্পী। ফ্লোরা ফংয়ের মাসব্যাপী একক চিত্র প্রদর্শনী চলছে বেইজিংয়ে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রওজায়ে জাবিদা ঐশী

মাস্কড ট্রপিক্যাল লেডি শিরোনামে কিউবান নারীশিল্পী ফ্লোরা ফং-এর মাসব্যাপী একক প্রদর্শনী চলছে সাংহাই এক্সস্পেস-এ।  গত সপ্তাহে এর উদ্বোধন হয়।

ফং একজন বিখ্যাত কিউবান চিত্রশিল্পী এবং চীনা বংশোদ্ভূত ভাস্কর। তিনি ১৯৪৯  সালে কিউবার কামাগুতে একজন চীনা বাবা এবং কিউবান মায়ের সংসারে জন্মগ্রহণ করেন। কয়েক বছর ধরে, তার কাজগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি এবং ফ্রান্স সহ অসংখ্য দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। ফং চীন ও কিউবার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়েও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।

চীনে কিউবার প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস ও  সাংহাইতে কিউবার কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথভাবে আয়োজিত এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ জোরদার করা।

এই বছর কিউবায় চীনাদের প্রথম গোষ্ঠীর আগমনের ১৭৫ তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই থেকে, কিউবান বিদেশী চীনারা চীন ও কিউবার মধ্যে বন্ধুত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। এ বছর চীন ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬২তম বার্ষিকীও উদযাপিত হচ্ছে।

কিউবা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যাটিন আমেরিকান অংশীদার।

 

বিশ্বকাপে নারী রেফারি

বিশ্বকাপের উন্মাদনা এখন বিভিন্ন দেশে। এই বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কয়েকজন নারী রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন। চলুন শোনা যাক এই অগ্রণী নারীদের কথা। বলছেন তানজিদ বসুনিয়া।

 

ফ্রান্সের স্টেফানি ফ্র্যাপার্ট মঙ্গলবার ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে পুরুষদের বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেন।  তিনি মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের মধ্যে খেলায় চতুর্থ কর্মকর্তা হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন।

 

ফ্র্যাপার্ট, জাপানের ইয়ামাশিতা ইয়োশিমি এবং রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের জন্য রেফারি হিসেবে নির্বাচিত প্রথম নারী। তারা কাতারের টুর্নামেন্টের মোট ৩৬ জন রেফারির মধ্যে আছেন।

বিশ্বকাপে ৬৯ জন সহকারী রেফারির মধ্যে রয়েছেন ব্রাজিলের নিউজা ব্যাক, মেক্সিকোর কারেন ডিয়াজ মেডিনা এবং আমেরিকান ক্যাথরিন নেসবিট।

ফ্র্যাপার্ট ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পুরুষদের খেলায় কাজ করেছেন। তিনি  ২০১৯ নারী বিশ্বকাপের ফাইনালও পরিচালনা করেছেন এবং এই বছরের পুরুষদের ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন।

গান: শিল্পী ছান মিং

ছান মিং চীনের একজন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী। নব্বই দশকে তিনি জনপ্রিয়তা পান।

ছান মিং এর অনেক বিখ্যাত অ্যালবাম রয়েছে। ‘হ্যাপি হোমটাউন’, ‘আমি তোমাকে খুঁজি’, ‘একাকীত্ব আমাকে সুন্দর করেছে’ ইত্যাদি অ্যালবাম বেশ জনপ্রিয় হয়।

ছান মিং ছোটবেলায় বাবাকে হারান। বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবার অনেক সংকট অতিক্রম করে। ছান মিং তার বৃদ্ধ মায়ের সেবায় অনেক আত্মত্যাগ করেন। এই বিষয়গুলো ছান মিংকে শ্রোতা দর্শকদের কাছে আরও প্রিয় করে তোলে। তিনি শেনচেন ও কুয়াংচোওতে অনেক বছর কাজ করেছেন।

বলা হয়ে থাকে উত্তর চীনে রয়েছেন বিখ্যাত শিল্পী না ইং আর দক্ষিণ চীনের আছেন ছান মিং।

সুপ্রিয় শ্রোতা চলুন, ছান মিংয়ের কণ্ঠে একটি গান শুনি।

 

ইতিহাসকে তুলে ধরছেন যে তরুণী

হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা খুব একটা সহজ কাজ নয়।  কারণ এজন্য ইতিহাস সম্পর্কে থাকতে হয় গভীর জ্ঞান আর বিশ্লেষণধর্মী মনন। বর্ণনাশৈলীতে যুক্ত করতে হয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন সভ্যতাকে সাবলীল করে তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন একদল চীনা তরুণ তরুণী। এবারএমনই একজন  উদ্যমী তরুণীর গল্প শোনাবো  আপনাদের। বলবেন হাবিবুর রহমান অভি

বিশ্বের ১০টি সুন্দর শহরের একটি চীনের হাংচৌ শহর। এর সৌন্দর্যের স্বাদ নিতে হাজারো মানুষ ভ্রমণ করেন সেখানে। হানচৌতেই অবস্থিত লিয়াংচু ধ্বংসাবশেষ যা চীনের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়।

২৯ বছর বয়সী এই তরুণী কাজ করেন লিয়াংচু জাদুঘরে। তার অন্যতম দায়িত্ব হলো এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের চীনের প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়া। শি চৌ ইং একরকম গল্পের ভঙ্গিতে সভ্যতা নিয়ে কথা বলেন, তাই পর্যটকরা খুব সহজেই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে যান।

লিয়াংচুর সংস্কৃতি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা এবং হরপ্পা সভ্য

তার সমসাময়িক। এতে ১ লাখেরও বেশি সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে সূক্ষ্ম হলো ইউছংওয়াং। এছাড়াও রয়েছে চমৎকার জেড শিল্প, উন্নত ধান চাষ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্প যা হাজার বছরের চীনা সভ্যতার নিদর্শন বহন করছে।

 

চীনের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যেও হাংচৌ অন্যতম। প্রায় ১ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষের বসবাস এই শহরে। এবং প্রতিবছর ২০ কোটি পর্যটক হাংচৌতে ভ্রমণ করেন। গেল ৬ বছরে ৬০ হাজারেরও বেশি পর্যটককে চীনের ইতিহার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন শি চৌ ইং। আর মজার ব্যাপার হলো চীনের অধিকাংশ জাদুঘরে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারেন পর্যটকরা।

চীনে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে জাদুঘর শিল্প। আর এই শিল্পকে বিশ্ববাসীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন শি চৌ ইংয়ের মতো উদ্যোমী চীনা নাগরিক।

 

পোর্সেলিনের অনন্য শিল্পী

 

পোর্সেলিন শিল্প চীনের ঐতিহ্যবাহী এক অনন্য শিল্প। পোর্সেলিনের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীর উপর নকশা করেন সুদক্ষ শির্পীরা। এজন্য প্রয়োজন হয় শিল্পবোধ, দক্ষতা ও দীর্ঘ চর্চচার। হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের এই শিল্পের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। এই ঐতিহ্যকে বহন করে নিয়ে চলেছেন একজন নারী। তার নাম হুয়াং সিয়াওলিং। এই শিল্পী তার সংস্কৃতির ধারা বাঁচিয়ে রেখে খ্যাতি ও সম্মান পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে। চলুন শোনা যাক তার কথা। বলছেন আফরিন মিম

 

হুয়াং সিয়াওলিন। পোর্সেলিনের উপর নিপুণ হাতে তিনি সৃষ্টি করছেন অনন্য সব শিল্প। কয়েক দশক ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই শিল্পের চর্চা করছেন তিনি।

হুনান প্রদেশের লিলিং শহরে ১৯৬৮ সালে জন্ম হুয়াংয়ের। লিলিং হলো চীনের তিনটি পোর্সেলিন রাজধানীর অন্যতম। এখানকার পোর্সেলিন শিল্পের খ্যাতি রয়েছে দেশে বিদেশে।

হুয়াং শৈশব থেকেই এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হন। কারণ তার বাবা ছিলেন একটি পোর্সেলিন কারখানার কর্মী। তিনি বাবার কারখানার শিল্পীদের দিকে অপলক তাকিয়ে তাদের কাজ দেখতেন।

পোর্সেলিন শিল্পে লিলিং শহরের রয়েছে দুহাজার বছরেরও বেশি ঐতিহ্য। বিশেষ করে পাঁচরঙা আন্ডার গ্লেজড পোর্সেলিন সামগ্রী তৈরি হয় এখানে। এটি তৈরি হয় ৭২টি ধাপ অতিক্রম করে।

হুয়াংয়ের শিল্পগুরু হলেন তং ওয়ানখ্য। তং ওয়ানখ্য বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ হয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। তিনি কাউকেই চিনতেন না। কিন্তু যখন তার হাতে পোর্সেলিনের একটি সামগ্রী তুলে দেয়া হয় তখন তিনি এটির নাম বলতে পারেন। ওই অবস্থাতেও হাতে তুলি নিয়ে কিছু আঁকতে পারেন। ঘটনাটি হুয়াংকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। তিনি এই শিল্পচর্চায় জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন।

২০০০ সালে হুয়াং একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানে লিলিং পোর্সেলিন বিষয়ে পাঠ, গবেষণা, নকশা তৈরি হবে। এখান থেকে লিলিং পোর্সেলিন বিক্রিও হবে। তিনি এখানে শিক্ষানবীশদের নিয়োগ দেওয়াও শুরু করেন।

হুয়াং এই সুপ্রাচীন শিল্পধারাকে আধুনিক জীবনের উপযোগী করে তোলার সমন্বয়মূলক কাজ করেন সাফল্যের সঙ্গে। তিনি টিসেট, ফুলদানি, পানপাত্র, এমনকি আসবাবপত্রও তৈরি করেন নকশাকাটা পোর্সেলিন দিয়ে। এতে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার কাজ জনপ্রিয়তা পায়। 

লিলিং পোর্সেলিন শিল্প আধুনিকভাবে বিকশিত হতে থাকে। চার হাজারের বেশি ধরন রয়েছে এর। বিশ্রে ১৫০টি দেশ ও অঞ্চলে এই সামগ্রী রপ্তানি হয়। শিল্প-পোর্সেলিন সাধারণ হাতে তৈরি হয়। তবে কারখানাতেও এগুলো তৈরি করা সম্ভব। হুয়াং ৭০টি স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন লাইনের মাধ্যমে এই শিল্প তৈরি করেন। তার হাতে তৈরি পোর্সেলিন শিল্পের চাহিদা অনেক বেশি। তিনি পোর্সেলিন শিল্পের বিকাশে চেষ্টা করেছেন, এবং সফলও হয়েছেন।

তিনি ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ১৩তম অধিবেশনে একজন ডেপুটি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

হুয়াং সিয়াওলিং তার পরিশ্রম ও দক্ষতায় পোর্সেলিনের অন্যতম সেরা শিল্পী হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন অনেক বার।

 

 

সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী