কাতারে বিশ্বকাপ চলছে প্রাণবন্ত। সারা বিশ্বে যারা ফুটবল ভালোবাসেন, তারা উপভোগ করছেন ফুটবল। "বিশ্বের ছাদ" হিসাবে পরিচিত ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে জলবায়ু ঠান্ডা এবং বাতাস পাতলা, তবে এখানে বসবাসকারী মানুষও ফুটবলের প্রতি কম উত্সাহী নয়। উত্তরের তিব্বতীয় মালভূমির গড় উচ্চতা ৪৫০০ মিটার। এখানকার এবং প্রাক্তন "বিচ্ছিন্ন মালভূমি দ্বীপ" নামে পরিচিত লিনচি শহরের মোথুও জেলা বা মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশের শহরগুলিতে, বিভিন্ন উচ্চতায় বসবাসকারী লোকেরা ফুটবলের আনন্দ উপভোগ করছেন।
ছেলেটির নাম গেদান ত্রিসাং, তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দিংরি জেলার জাসিজুং গ্রামে বাস করে। এখাকার গড় উচ্চতা ৪৩০০ মিটার। এটি চীনের মাউন্ট এভারেস্টের সবচেয়ে কাছের প্রশাসনিক গ্রাম। এখানে ফুটবল খুব জনপ্রিয়। ভেড়া পালনকারী শিশু থেকে শুরু করে পাহাড়ের গাইড পর্যন্ত, প্রায় সবাই ফুটবল পছন্দ করে। জাশিজুং গ্রামের ওয়াছুয়ান প্রাইমারি স্কুল থেকে দক্ষিণে তাকালে দেখা যাবে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া পাহাড় থেকে উঠে আসছে। এ স্কুলের শিশুরা মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশে ফুটবল খেলে।
কিন্তু ছোট গেদান ত্রিসাং-এরও নিজের সমস্যা আছে। তার বাবা-মা কখনোই তার জন্য ফুটবলের জুতা কিনতে রাজি হননি। কারণ, তারা চিন্তিত ছিলেন যে, ফুটবল খেলা তার পড়াশোনার ক্ষতি করবে। গেদান ত্রিসাং -এর ভালো বন্ধু বাসাঙ্গাব বাম পায়ের এবং সে ডান পায়ের খেলোয়াড়। বাসাংগাবের কাছে এক জোড়া ফুটবল খেলার বুট আছে। ওরা ঠিক করলো, গেদান ত্রিসাং তার ডান পায়ে ফুটবলের জুতা ও বাম পায়ে সাধারণ স্পোর্টস জুতা পরবেন এবং বাসাঙ্গাব তার ডান পায়ে সাধারণ স্পোর্টস জুতা ও বাম পায়ে ফুটবলের জুতা পরবেন। স্কুল শেষ হওয়ার আগে, তারা দু’জন একজোড়া ফুটবল জুতা পরে বন্ধুদের সাথে স্কুল ফুটবল খেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
তুষারাবৃত মালভূমিতে, শিশুদের ছুটে চলার জন্য সবুজ মাঠ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত, তিব্বতের ৭৪টি জেলায় সকলের ফুটবল মাঠ রয়েছে। আকাশের সবচেয়ে কাছের এই জায়গাটিতে অক্সিজেনের অভাব থাকতে পারে, তবে সবসময় এমন একটি ভালো লাগা থাকে, যা সারা বছরকে উজ্জ্বল রাখে, রাখে প্রাণবন্ত।
(ইয়াং/আলমি/ছাই)