রেল ট্র্যাকটি সময়কে যেন ধারণ করে আছে, এটি এক শতাব্দীর অস্থিরতার প্রতিফলন করছে। গত প্রায় দশ বছরে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংকে কেন্দ্র করে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনের উচ্চ-গতির রেলপথ প্রতি বছর গড়ে ৩৬০০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পশ্চিমাঞ্চলে রেলের মাইলেজ ৬০ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করেছে। চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং রেলপথের উন্নয়ন ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে।
গত ১০ বছরে, উচ্চ-গতির রেলের মানচিত্র প্রসারিত হয়ে আসছে। ফুসিং ট্রেন ঐতিহাসিকভাবে ৩১টি প্রদেশ, অঞ্চল এবং শহরের সম্পূর্ণ কভারেজ লাভ করেছে। এই বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত, সারা দেশে হাই-স্পিড রেলের অপারেটিং মাইলেজ ছিল প্রায় ৪১ হাজার কিলোমিটার, যা ২০১২ সালের শেষ থেকে ৩৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১০ বছরে, উচ্চ-গতির রেল প্রযুক্তি নেতৃত্ব দিয়েছে। উচ্চ-গতির রেল পরিষেবার মাধ্যমে হাজার হাজার পরিবার উপকৃত হয়েছে।
রেলপথগুলি গ্রামাঞ্চলে পুনরুজ্জীবন করেছিল এবং মালভূমির দ্রুত বিকাশ ঘটিয়েছিল। ২০২১ সালের ২৫ জুন, লাসা-লিংচি রেলওয়ে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রথম বিদ্যুতায়িত রেলপথ খোলা হয়। এই রেলপথটি দক্ষিণ-পূর্ব তিব্বতে রেলপথের সংকট দূর করে। পাশাপাশি, সমৃদ্ধ পর্যটন, মসৃণ লজিস্টিকস, জনগণকে সমৃদ্ধ করা এবং তিব্বতের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী গ্যারান্টি যুক্ত করেছে।
যদি অর্থনৈতিক সুবিধার কথা বিবেচনা করা হয়, তাহলে পশ্চিমে সড়ক নেটওয়ার্কের যাত্রী প্রবাহ কম এবং ধীরগতির ট্রেনগুলি অর্থ উপার্জন করে না। তবে কেন সেখানে নির্মাণের গতি বাড়ানো হবে? ২০২১ সালের ২২ জুলাই সকালে, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং তিব্বতে পরিদর্শন করছিলেন।
তিনি বলেন, "পুরো দেশের ট্র্যাফিক মানচিত্রটি একটি পেইন্টিংয়ের মতো। চীনের মধ্য, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলি যেন তুলি দিয়ে আঁকা হয়েছে। পশ্চিম অংশটি খুব ফাঁকা। ভবিষ্যতে, পশ্চিমাঞ্চলে আমাদের আরও আঁকা যুক্ত করতে হবে এবং সুন্দর চীনের পরিবহনকে আরও সুন্দর করে তুলতে হবে।"
চলুন বিদেশ তাকাই। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সময় ১৬ নভেম্বর, চীন ও ইন্দোনেশিয়ার যৌথভাবে নির্মিত জাকার্তা-বান্দুং হাই-স্পিড রেলওয়ের ট্রায়াল অপারেশন সম্পূর্ণ সফল হয়। জাকার্তা-বান্দুং হাই-স্পিড রেলপথ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা এবং পশ্চিম জাভার একটি বিখ্যাত শহর বান্দুংকে সংযুক্ত করে। এটি 'এক অঞ্চল, এক পথ' উদ্যোগের একটি যুগান্তকারী প্রকল্প এবং চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাস্তব সহযোগিতা। গত দশ বছরে, চীন রেলওয়ে 'এক অঞ্চল, এক পথ' নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক উৎপাদন ক্ষমতা সহযোগিতার জন্য একটি উজ্জ্বল ব্যবসায়িক কার্ড হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়া চীন-ইউরোপ মাহলবাহী ট্রেন দ্রুত উন্নত হচ্ছে। ২০১৩ সালের ৮০টি ট্রেন থেকে ২০২১ সালের ১৫হাজার ১৮৩টি ট্রেনে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ৮২টি অপারেটিং লাইন চীনের ৯১টি শহরকে সংযুক্ত করেছে, যা ২৪টি ইউরোপীয় দেশের ২’শটি শহর পর্যন্ত পৌঁছেছে।
"চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের চেতনা ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, চীন রেলওয়ে উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণকে সমর্থন করবে এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলার জন্য এবং চীনা প্রজ্ঞা, চীনা সমাধান ও চীনা শক্তি দিয়ে অবদান রাখবে।” চায়না স্টেট রেলওয়ে গ্রুপ কোং লিমিটেডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি এ কথা বলেছেন।
জিনিয়া/তৌহিদ