আকাশ ছুঁতে চাই ১০১
2022-11-24 16:27:32

১. একজন দেশপ্রেমিক নারী বিজ্ঞানী

২. ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসায় ফেং লি ইউয়ান

৩. নারী উন্নয়ন নীতিতে সর্বচীন নারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠান

৪. গান: শিল্পী হান হোং

৫. চলে গেলেন কিংবদন্তির পিয়ানো শিল্পী

৬. গ্র্যামি মনোনয়নে বাংলাদেশের গান নাশিদ কামাল-আরমিন মুসার রেকর্ড

৭. কৃতী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা হান লে

৮. বাংলাদেশের দশ কৃতী নারীর অনন্যা শীর্ষদশ লাভ

 

ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসায় ফেং লি ইউয়ান

 

চীনের ফার্স্টলেডি ফেং লি উইয়ান সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন তানজিদ বসুনিয়া

ইন্দোনেশিয়ার নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ সুরক্ষার সাথে নৈপুণ্যের দক্ষতা একীভূত করার প্রশংসা করেছেন চীনের ফার্স্টলেডি  ফেং লি ইউয়ান। পাশপাশি চীন ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য আশা প্রকাশও করেন তিনি। 

সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-টোয়েন্টির সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী নেতাদের স্ত্রীদের একটি ইভেন্টে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

ফেং লি বলেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া প্রাসঙ্গিক শিল্প বিকাশের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষার আঞ্চলিক প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে এই ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে পারে” ।

ইভেন্টে যোগদানের পর ফার্স্ট লেডি ইরিয়ানা জোকো উইদোদো তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।এরপর  ইরিয়ানা জোকো উইদোদোর সাথে ফেং লি স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, বেতের কাজ এবং খাবারের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন । এছাড়া  বুননেও অংশ নেন তিনি। সেখানে ফেং একটি বোনা ব্যাগে জি-টোয়েন্টি বালি সম্মেলনের লোগো এবং ইভেন্টের ফুলের ছবি আঁকেন ।

ইভেন্টে অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতাদের স্ত্রীদের সাথে স্থানীয় নাচের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন ফেং লি ইউয়ান।

 

নারী উন্নয়ন নীতিতে সর্বচীন নারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠান

সর্বচীন নারী ফেডারেশন সম্প্রতি বেইজিংয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে চীনের নারী উন্নয়নের জন্য কংগ্রেসে গৃহীত নীতিমালা তুলে ধরা হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রওজায়ে জাবিদা ঐশী

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদ্য অনুষ্ঠিত ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে যে দিকনির্দেশনামূলক নীতিগুলো গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো বেইজিংয়ে কর্মরত কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূতদের সহধর্মীনিদের সামনে তুলে ধরেছে সর্বচীন নারী ফেডারেশন। গেল শুক্রবার বেইজিংয়ে এক প্রদর্শনীতে বিষয়ভিত্তিক ব্রিফিংয়ে নীতিগুলো তুলে ধরা হয়।

বিশতম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সর্বচীন নারী ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হুয়াং সিয়াওয়েই অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।

চীনে উরুগুয়ের রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো লুগ্রিস অনুষ্ঠানে বলেন, লিঙ্গ সমতা এবং নারী ও শিশুদের উন্নয়নে চীনের নীতি ও পদক্ষেপ অন্যান্য দেশে নতুন জ্ঞানের আলো ছড়িছে।

তিনি বলেন, উরুগুয়ে নারীদের মধ্যে বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায়।চীনে মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত মারিয়া গুস্তাভা বলেন, চীনের নীতি জনগণকেন্দ্রিক এবং সত্যিকার অর্থে জনমুখী।

তিনি বলেন, তিনি চীনের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং দেখেছেন যে দেশটিতে নারী ও শিশুদের অধিকার ও স্বার্থ, বিশেষ করে শিক্ষার অধিকার, রক্ষার জন্য একটি উন্নত আইনি ব্যবস্থা রয়েছে।

হান হোংয়ের গান

সুপ্রিয় শ্রোতা আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই। অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা শুনবো একটি চীনা গান। চীনের বিখ্যাত শিল্পী হান হোং। তার তিব্বতি নাম ইয়াংছেন দ্রোলমা। তবে তিনি হান হোং নামেই বেশি পরিচিত। তিনি তিব্বতি লোকসংগীত নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। তবে তার আধুনিক গানগুলো সারা চীনেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া এই শিল্পী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন খ্যাতি। তিনি সংগীত লেখক ও সুরকার হিসেবেও অনেক প্রতিভাবান। চলুন শোনা যাক তার একটি গান।

 

চলে গেলেন কিংবদন্তি পিয়ানো শিল্পী চু ইয়াফেন

চীনের একজন প্রতিভাবান নারী, পিয়ানো শিল্পী ও শিক্ষক চু ইয়াফেন সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন। এই গুণী শিল্পীর জীবন ও কর্ম সম্পকে বলছেন হোসনে মোবারক সৌরভ ।

চলে গেলেন চীনের কিংবদন্তি পিয়ানো শিল্পী চু ইয়াফেন। দীর্ঘ সমৃদ্ধ জীবন ছিল তার। তার জন্ম সাংহাই শহরে ১৯২৮ সালে এক সংগীতপ্রিয় শিক্ষিত পরিবারে। শৈশবে তিন বোন একসঙ্গে পিয়ানো ক্লাসে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েশন করলেও পিয়ানো চর্চা চালিয়ে যান তিনি। পরে সাংহাই কনজারভেটরি অব মিউজিক থেকেও গ্র্যাজুয়েশন করেন।

শানইয়াং কনজারভেটরি অব মিউজিক প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘদিন পিয়ানো শিক্ষক ছিলেন। তার ছাত্রছাত্রীরা দেশে বিদেশে পিয়ানো শিল্পী হিসেবে নাম করেছে। তিনি নিজেও বিভিন্ন দেশে পিয়ানো সংগীত পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই পিয়ানো শিল্পী চীনের বিভিন্ন টিভি শোর বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।  ৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন মহান পিয়ানো শিল্পী ও শিক্ষক চু ইয়াফেন। এই গুণী নারীর মৃত্যুতে বেইজিংয়ে  আয়োজিত স্মরণসভায় তার ছাত্রছাত্রী ও বিখ্যাত শিল্পীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

গ্র্যামি মনোনয়নে বাংলাদেশের গান নাশিদ কামাল-আরমিন মুসার রেকর্ড

বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার গ্র্যামিতে প্রথমবার মনোনয়ন পেল বাংলাদেশের কোনো শিল্পীর অ্যালবাম। ‘শুরুয়াত’ অ্যালবামটির দশম গান ‘জাগো পিয়া’ গেয়েছেন আরমিন মুসা, গানটি লিখেছেন তাঁর মা নজরুলসংগীত শিল্পী নাশিদ কামাল। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আফরিন মিম।

বাংলাদেশি গায়িকা-গীতিকার আরমিন মুসা এবং তার মা বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ডক্টর নাশিদ কামাল ৬৫তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছে। অফিসিয়াল গ্র্যামি ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে ।

বার্কলে ইন্ডিয়ান অ্যাসেম্বলের  ‘শুরুআত’ অ্যালবামের ‘জাগো পিয়া’ গানটির জন্য প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সঙ্গীত পুরস্কারের জন্য এ মা-মেয়ের জুটি মনোনীত হয়।

আরমিনের গাওয়া ‘জাগো পিয়া’ শিরোনামের গানের কথা লিখেছেন তার মা ড. নাশিদ কামাল।

বার্কলে ইন্ডিয়ান অ্যাসেম্বলের  প্রথম  অ্যালবাম ‘শুরুআত’এ  আরমিন মুসার পাশাপাশি কিংবদন্তি ওস্তাদ জাকির হোসেন, শ্রেয়া ঘোষাল, শঙ্কর মহাদেবন, বিজয় প্রকাশসহ  এশিয়ান সঙ্গীতজ্ঞদের গান রয়েছে।

বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং বার্কলে কলেজ অব মিউজিকের বাংলাদেশি ছাত্রী এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বিশ্বভারতীর প্রশিক্ষণার্থী আরমিন মুসা  ‘ভ্রমর কোইয়ো গিয়া’ ‘লোনা  দেয়াল’সহ বেশ কয়েকটি গানের জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। আরমিন ‘ঘাসফড়িং কয়্যার’নামে একটি গানের দল গড়ে তোলেন।

তার মা নাশিদ কামাল বাংলা লোকগীতির বিখ্যাত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের বড় নাতনি। তিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দক্ষতার সঙ্গে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া নজরুল সংগীত শিল্পী ড. নাশিদ কামাল বাংলা লোকগানের অন্যতম বিশিষ্ট গবেষক এবং অভিনেত্রী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত।

কৃতী নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা হান লে

চলচ্চিত্র নির্মাণে নারীরা অনেক বছর ধরেই সাফল্যের পরিচয় রাখছেন। এমনি একজন কৃতী নারী হলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা হান লে।

প্রতিভাবান নারী তিনি। অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে যিনি এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছেন চীনজুড়ে।  দেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে তুলে ধরা তার সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।  ভালো মানের সিনেমা তৈরির প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই নারী নির্মাতা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন হাবিবুর রহমান অভি

চীনের নতুন প্রজন্মের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র নির্মাতা হান লে।

২০১৯ সালে তার নির্মিত অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘নেজা : বার্থ অব দ্যা ডেমন চাইল্ড’ চীনজুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে আয় করে নেয় ৪৪ কোটি ইউয়ান আরএমবি। এই সিনেমাটি নির্মিত হয় চীনের প্রাচীন কল্পকাহিনীকে ভিত্তি করে।

২৬ বছর বয়সী সিপিসি’র সদস্য হান লে বলেন, চলচ্চিত্রটি প্রকাশিত হওয়ার প্রথম সপ্তাহে একদমই হিট করেনি বক্স অফিস। এতে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তারা। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আয় বাড়তে থাকে তাদের, যা আশার সঞ্চার করে সবার মাঝে।

চলচ্চিত্র তৈরীতে ভীষণ আগ্রহী হান লে। তাইতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার পরপরই যোগ দেন এই চলচ্চিত্র কোম্পানিতে।

হান লে’র টিমে রয়েছেন কয়েকজন দক্ষ সহকর্মী যাদের হাতের স্পর্শে অনন্য মাত্রা পায় একেকটি অ্যানিমেটেড সিনেমা।

চলচ্চিত্র নির্মাণ খুব একটা সহজ কাজ নয়। একটি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র তৈরী করতে সময় লেগে যায় প্রায় চার বছর। আর ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার।  তিনি বলেন,

‘সিনেমা নির্মাণ করতে ভীষণ পছন্দ করি আমি। কারণ একেকটি সিনেমায় তুলে ধরা হয় বহু বছরের প্রাচীন ইতিহাস। আমরা আরও কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তৈরীর চেষ্টা করছি’

 

বাংলাদেশের দশ কৃতী নারীর অনন্যা শীর্ষদশ লাভ

সমাজে বিভিন্ন অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের ১০ কৃতি নারীকে 'অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা ২০২১' দিয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন পাক্ষিক অনন্যা।

এবার ১০ অর্থনীতিবিদ, করপোরেট ব্যক্তিত্ব, মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক, অদম্য সাহসী, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, আলোকচিত্রশিল্পী, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক, নারী উদ্যোক্তা ও ফিফা রেফারি পেয়েছেন এ সম্মাননা। এ বছর ‘অনন্যা শীর্ষদশ ২০২১’ সম্মাননা পেয়ে এই তালিকায় যুক্ত হলেন নাজনীন আহমেদ (অর্থনীতিবিদ), বিটপী দাশ চৌধুরী (করপোরেট ব্যক্তিত্ব), ত্রপা মজুমদার (মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক), শাহিনুর আক্তার (অদম্য সাহসী), সালমা সুলতানা (বিজ্ঞানী), রুদমীলা নওশীন (প্রযুক্তিবিদ), শাহরিয়ার ফারজানা (আলোকচিত্রশিল্পী), সান্ত্বনা রানী রায় (মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক), মোছা. ইছমত আরা (নারী উদ্যোক্তা) ও জয়া চাকমা (প্রথম ফিফা রেফারি)।এই কৃতী নারীরা বহুদিন ধরে বাংলাদেশের সমাজে তাদের বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আফরিন মিম।

এক মা একাই লিবিয়া থেকে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে বের করে এনেছেন। আরেক সংগ্রামী নারী ‘পরচুলা’ বানিয়ে হাজারও নারীর জনপ্রতিনিধি হয়েছেন; কেউ বা অর্থনীতি-বিজ্ঞানে অবদান রাখছেন।

সমাজের নানা ক্ষেত্রে এমন অনন্য সব অবদান ও দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বীকৃতি দিতে ১০ কৃতি নারীকে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০২১’ দিয়েছে নারীবিষয়ক ম্যাগাজিন পাক্ষিক অনন্যা।

গেল শনিবার বিকালে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে কৃতিমান এসব নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, “বিভিন্ন বাধা, চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা সেটা তাদের এই সফলতার মূলে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।

“বাংলাদেশে নারী শক্তি অনেক দূর এগিয়ে যাবে সেটাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। কেননা আমরা তার অনেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের চারপাশে দেখতে পাচ্ছি।"

তাসমিমা হোসেন বলেন, নারীরা নিজের ঘরে নিজের কাজ করে আয় করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা কতটা এগিয়ে এসেছে সেটাই প্রমাণ করে এবং তার জন্য তারা প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে।

“এই পর্যন্ত অনন্যা শীর্ষ দশে ২৮০ জন নারীকে সম্মাননা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে আজ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রয়েছেন।”

১৯৯৩ সাল থেকে ‘অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা’ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বছর দেশের ১০ জন আলোকিত নারীকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য মনোনীত করা হয়।

অনুষ্ঠানে ‘অনন্যা শীর্ষ ১০ সম্মাননা’ পাওয়া নারীদের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য, কাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান এবং তাদের এ অবস্থানে আসার পেছনের সংগ্রাম তুলে ধরা হয়; পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে আয়োজন শেষ হয়।

 

সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী