জলাভূমি সংরক্ষণে চীনা প্রস্তাব
2022-11-18 14:21:49

সম্প্রতি জলাভূমি চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের ১৪তম সম্মেলন (কপ-১৪) চীনের উহান শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে জলাভূমিতে বিশেষ পরিবেশগত ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জলাভূমিকে বলা হয় মিঠা পানির উৎস, প্রাণের ভিত্তি এবং পৃথিবীর কিডনি। তাতে জলাভূমির গুরুত্ব প্রতিফলিত হয়। 

 

 গত ১০ বছরে চীনে ৮ লাখেরও বেশি হেক্টর জলাভূমি নতুন করে গঠিত বা পুনরুদ্ধার হয়েছে। বর্তমানে জলাভূমি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চলের সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে জলাভূমি চুক্তিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে চীন বরাবরই জলাভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার-কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর চীনে জলাভূমি আইন গৃহীত হয়েছে, যা চীনের জলাভূমি সংরক্ষণ-কাজকে আইনি ভিত্তি দিয়েছে। বর্তমানে চীনে রয়েছে ৬৪টি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি, ২৯টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি এবং ৯০১টি জাতীয় জলাভূমি এবং ১০২১টি প্রাদেশিক জলাভূমি। বিশ্বের ৪৩টি আন্তর্জাতিক জলাভূমি শহরে ১৩টি রয়েছে চীনে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ। চীনে রয়েছে সারা বিশ্বের মোট আয়তনের ৪ শতাংশ জলাভূমি। বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনসংখ্যার জলাভূমিতে উত্পাদন, জীবনযাপন ও সংস্কৃতিসহ নানা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে চীন। বিশ্ব জলাভূমি সংরক্ষণ ও উপযোগী ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বেইজিং।


 

জলাভূমি সংরক্ষণের ভবিষ্যৎ কী?চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গত ৫ নভেম্বর কোপ-১৪ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় জলাভূমির যত্ন নিতে বৈশ্বিক মতৈক্য একত্রিত করা, জলাভূমি সংরক্ষণের বিশ্ব প্রক্রিয়া বেগবান করা এবং জলাভূমির কল্যাণ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এটিই মানুষ ও প্রকৃতির সম্পর্ক মোকাবিলা, যৌথভাবে পৃথিবী নামক বাড়ি সংরক্ষণ এবং অভিন্নভাবে সবুজ উন্নয়নের সুযোগ ভোগ করার চীনা প্রস্তাব।

 


জলাভূমি সংরক্ষণ করা কেবল জলাভূমির বিষয় নয়, বরং আমাদের ভবিষ্যৎ সংরক্ষণের বিষয়। মানুষ ও প্রকৃতির সম্প্রীতিময় সহাবস্থান কেবল চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয় চাহিদা নয়, বরং এটি মানব জাতির সভ্যতার নতুন রূপের প্রাধান্য।

রুবি/এনাম