নভেম্বর ১৭: আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এপেক নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন। এতে তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, চীন দৃঢ়ভাবে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলবে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আরো বেশি অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকতে হবে। স্নায়ুযুদ্ধ থেকে বের হওয়ায় এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চল আধুনিকায়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যেতে পেরেছে। নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ঘটার কোনো অপপ্রচেষ্টা এই যুগ মেনে নেবে না।
সহনশীল পথে অবিচল থাকতে হবে। উন্মুক্ততার নীতিতে এপেক সহনশীল আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো স্থাপন করেছে। এর ফলে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল আঞ্চলিক অর্থনীতির একীকরণের যুগে প্রবেশ করতে পেরেছে।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে সমর্থন করার পথে এগিয়ে যেতে হবে। অঞ্চলের সব দেশের উচিত সহযোগিতা জোরদার করা, পরস্পরকে সমর্থন ও সাহায্য করা।
সি চিন পিং নতুন পরিস্থিতিতে উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কয়েক দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন:
এক. উন্নয়নের ভিত্তি সুসংবদ্ধ করতে হবে। যৌথভাবে স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারার বিরোধিতা করতে হবে, এশিয়া ও প্যাসিফিকের নিরাপত্তা কাঠামো স্থাপন করতে হবে।
দুই. জনগণকেন্দ্রিক চিন্তাধারা মেনে চলতে হবে। অর্থনীতি উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। সহনশীল উন্নয়নের পরিবেশ লালন করতে হবে।
তিন. আরো উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণের কাঠামো স্থাপন করতে হবে। উন্মুক্ত ধরনের এশিয়া ও প্যাসিফিক অর্থনীতি গঠন করতে হবে।
চার. উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। চীন সক্রিয়ভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন-কৌশলের সঙ্গে এর সংযোগকে ত্বরান্বিত করবে।
পাঁচ. স্থিতিশীল শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইন স্থাপন করতে হবে। যৌথভাবে একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদের বিরোধিতা করতে হবে।
ছয়. অর্থনীতির রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে হবে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সবুজ সহযোগিতার কাঠামো গঠনকে দ্রুততর করতে হবে।
(শুয়েই/আলিম)