চীনে প্রবীণদের জন্য ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ ও প্রসঙ্গকথা
2022-11-14 16:04:32

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিভিন্ন শহর ও প্রদেশে ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু হয়েছে। যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন; তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। তাঁরা অবসরগ্রহণের পর এসব বিশ্ববদ্যালয়ে নতুন নতুন জ্ঞান শেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সিনিয়রদের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’-এ শিক্ষাদান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবো।

চীন সরকারের নেতৃত্বে বয়স্কদের জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ও উঠছে। সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় এগুলোর মধ্যে একটি। আসলে এ উদ্যোগের সাথে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রবীণদের যত্ন নিতে ও তাদের জীবনের চাহিদা মেটাতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও হচ্ছে। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কর্মপ্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনের প্রতিটি শহরে কমপক্ষে একটি ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হবে।

আমরা সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, গত কয়েক বছরে চীনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনেক বেড়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে, নানান সীমাবদ্ধতার কারণে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সবাইকে ভর্তি করা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।

এ সম্পর্কে চীনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপমহাসচিব লি চুন হুয়া বলেন, সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রবীণদের উপযোগী শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন দরকার। বিভিন্ন ধরনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয়। যেমন শিক্ষা, সংস্কৃতি বা সিভিল বিষয়ক বিভাগ, ইত্যাদি। বিভিন্ন বিভাগের অধীনে থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে উত্সও আলাদা।

সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বয়স ৫০ থেকে ৮০ বছর হলে, তাদেরকে ভর্তিপরীক্ষা দিতে হয় না। তবে, ভর্তির সময় তাদেরকে নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিতে হয়। যেমন, সংগীত, শিল্পকলা, ভাষা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি কোর্স রয়েছে। সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক খরচেও পার্থক্য আছে। মানে, একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ একেকরকম। তবে, সাধারণভাবে একটি কোর্সের ব্যয় কয়েক শ ইউয়ান হয়ে থাকে।

চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরের চিনলিং সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ে নান খ্য বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবীণদের পড়াশোনা ও বিনোদনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ছাংচৌ শহরের অবসরপ্রাপ্ত ওয়াং রং ছিং সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছবি আঁকা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির আবেদন করেন। তিনি বলেন, বৃদ্ধ হলেও নতুন জ্ঞান অর্জন করতে চান। তা ছাড়া, আরও অনেক বয়স্ক শিক্ষার্থী মনে করেন, এখানে নতুন বন্ধু পাওয়া যায় এবং সমবয়সী প্রবীণদের সাথে মজার সময় কাটে। তাদের জীবন ভালো কাটে, একাকী লাগে না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের প্রবীণদের শিক্ষার জন্য সুবিধাজনক নীতি ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে। প্রবীণদের শিক্ষার জন্য সরকার যথেষ্ট বিনিয়োগও করছে। বিভিন্ন সরকারি বিভাগ, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।  

চীনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের প্রকাশিত ‘চীনে প্রবীণ শিক্ষা উন্নয়ন প্রতিবেদন’ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের শেষ দিক পর্যন্ত চীনে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৭৬ হাজারে উন্নীত হয়, যা ২০১৭ সালের চেয়ে ১৪ হাজার বেশি।

গত কয়েক বছরে চীনের চিয়াংসু, হুপেই, শানতুংসহ কয়েকটি প্রদেশের জেলা ও গ্রামে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্কুলও গঠিত হয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর চীনের নানচিং শহরের ইয়ুহুয়া ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রবীণ শিক্ষার্থী চাং আনন্দের সাথে বলেন, ‘আমার বাসার কাছে স্কুল। আমার জন্য বেশ সুবিধাজনক।’

চীনের হুপেই প্রদেশের ইংশান জেলার একটি সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, অতীতে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইলে দূরের রাস্তা হাঁটতে হতো, যা প্রবীণদের জন্য ছিল অসুবিধাজনক। বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় শাখা স্কুলও চালু হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা বিবেচনা করে বিভিন্ন কোর্স চালু হয়েছে। ফলে, গ্রামাঞ্চলের অনেক প্রবীণ নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাচ্ছে।

চীনের ছেংতু শহরের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রোন ফটোগ্রাফি কোর্স চালু হয়েছে, শাংহাই মহানগরের হংখৌ এলাকার সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স চালু হয়েছে, এবং কুয়াংচৌ শহরের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোর্স যুক্ত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোর্সের আওতায় প্রবীণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার সুযোগ পান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের নতুন জ্ঞান ও তথ্য জানতে পারেন। স্মার্টফোনের ব্যবহার এবং ইন্টারনেটে আর্থিক জালিয়াতি সর্তকতা কোর্সও চালু আছে।

ছাংচৌ শহরের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মনে করেন, স্কুলের নতুন কোর্স সামাজিক উন্নয়নের চাহিদা মেটাচ্ছে। তাই এ কোর্স ব্যাপক জনপ্রিয়। কখনও আসন খালি থাকে না।

একসময় সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় মানে ছিল কেবল শিল্পকলার সাথে জড়িত কোর্স। তবে, বর্তমানে আরও অনেক নতুন বিষয় ও প্রশিক্ষণ কোর্স যুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও এডিটিং, ছবি সংশোধন, কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন এবং ইন্টারনেটে সেলিব্রিটির মতো ভিডিও পোস্ট করা—অনেককিছুই এখন করতে পারেন প্রবীণরা।

২০২০ সাল থেকে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অনেক সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স অনলাইনে চালু রাখা হয়। ভিডিওতে কোর্স করা এখন নতুন শিক্ষা-পদ্ধতি। অফলাইন ক্লাস তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো। কিন্তু স্বাস্থ্য রক্ষার খাতিরে অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে।

২০২১ সালের শেষ দিকে চীনে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি  বয়সের লোকদের সংখ্যা ২৬ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে।  আগামী কয়েক বছরে এ সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই, বয়স্কদের জন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি ব্যাপার। কারণ, বর্তমানে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাত্র কয়েক কোটি প্রবীণ শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে পারে। বাকিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন নতুন সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

উন্নত শহরের তুলনায় দূরবর্তী এলাকা বা তুলনামূলকভাবে কম উন্নত এলাকায় সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক কম। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলোর মানও তুলনামূলকভাবে কম। তাই, শহর ও জেলার বিভিন্ন আবাসিক কমিউনিটিতে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অতি জরুরি ব্যাপার। তা ছাড়া, আরও বেশি অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলাও জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রবীণরা ঘরে বসেই সংশ্লিষ্ট ক্লাসে অংশ নিতে পারেন।

চীনা হস্তকর্মশিল্পীদের চেতনা

সম্প্রতি ‘বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতা, ২০২২’ আয়োজিত হয়। সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চীনা পুরুষ লি ত্য সিন আসবাবপত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করেন। তাঁর মাধ্যমে চীনের ‘যুব লুবান’ বিশ্বের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। লুবান প্রাচীনকালে চীনের অতি বিখ্যাত একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি অনেক কঠিন ডিজাইনের আসবাবপত্র ও কাঠের জিনিস তৈরি করতেন। তাই চীনারা দক্ষ কাঠমিস্ত্রিকে ‘লুবান’ বলে ডাকে।

 

লি ত্য সিনের স্বর্ণপদক ছিল চীনা প্রতিনিধিদলের অর্জিত প্রথম স্বর্ণপদক। প্রতিযোগিতার পর দেওয়া সাক্ষাত্কারে ২২ বছর বয়সের ছেলে লি ত্য সিন বলেন, দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণ ও চর্চার পর তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।

 

তাঁর শিক্ষক লিউ সিয়াও হং বলেন, ছেলে লি ত্য সিনের শিল্পকর্ম অতি চমত্কার। তাঁর দক্ষতা ভালো। বহুমুখী দক্ষতার কারণে সে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে দাঁড়াতে পেরেছে।

 

এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ১৮ জন হস্তকর্মশিল্পী অংশ নিয়েছেন। তাঁরা একই ডিজাইনের আলমারি তৈরি করেন। এতে মূল কাঠামো, দরজা ও ড্রয়ারসহ বিভিন্ন অংশ রয়েছে। তা ছাড়া, আলমারি মসৃণ করতে হবে, হার্ডওয়্যার স্থাপন করতে হবে। ছেলে লি ত্য সিন অতি চমত্কার ও নির্ভুলভাবে কাজ শেষ করে চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

এবার প্রতিযোগিতায় নিয়ম ছিল যে, আলমারির বিভিন্ন অংশের ত্রুটি ০.৫ মিলিমিটারের চেয়ে কম হবে। তার মানে বিভিন্ন সরঞ্জাম সংযুক্ত করার পর ত্রুটি ০.৫ মিলিমিটারের চেয়ে  বেশি হবে না। বিষয়টা খুবই কঠিন ছিল।

 

বিশ্বের দক্ষতা প্রতিযোগিতা অলিম্পিক গেমসের মতো, যা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের প্রতীক। ২০২২ সালের এ প্রতিযোগিতা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ দিক পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে আয়োজিত হয় এবং প্রতিযোগিতার ইভেন্ট ৬২টি। চীনা প্রতিনিধিদল অক্টোবর মাসের শুরুতে থেকে নভেম্বর মাসের শেষ দিক পর্যন্ত জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানে মোট ৩৪টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। 

 

লি ত্য সিন বলেন, এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেরা দক্ষ হস্তকর্মশিল্পীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন। এভাবে নিজের দক্ষতাও উন্নত করতে পারেন। আবার বিশ্বের সামনে চীনা হস্তকর্মশিল্পীদের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করতে পারেন। প্রতিযোগিতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনের আসবাবপত্রের মান অনেক উন্নত।

 

এ সম্পর্কে তিনি বলেন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় কাঠমিস্ত্রি সংস্কৃতি বিশ্বের সভ্যতায় বেশ উজ্জ্বল। প্রতিযোগিতা কাজে লাগিয়ে চীনা হস্তকর্মশিল্পীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে এবং চীনের ঐতিহ্যিক কাঠমিস্ত্রি শিল্পকেও তুলে ধরতে পারে।

 

২০২১ সালে চীনের চিয়াংসি পরিবেশ প্রকল্প একাডেমির আসবাবপত্র ডিজাইন বিভাগ থেকে স্নাতক হন লি ত্য সিন। স্নাতক হওয়ার পর একাডেমির যুব শিক্ষক হিসেবে চাকরিও পান। তাঁর দৃষ্টিতে চীনের ঐতিহ্যিক কাঠমিস্ত্রি শিল্প চীনের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি চান এই ঐতিহ্যিক হস্তকর্মশিল্পকে সাধারণ মানুষের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করতে। তিনি আরও বেশি চীনা যুবককে এই শিল্পের দিকে আকৃষ্ট করতে চান।

 

চীন সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তাই বর্তমান যুগ কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য বেশ ভালো। ধারাবাহিক সুবিধাজনক ব্যবস্থার মাধ্যমে চীনা হস্তকর্মশিল্পের চেতনাও সম্প্রসারিত হয়েছে ও হচ্ছে।

 

লি ত্য সিনের শিক্ষক লিউ বলেন, চীন বিশ্বের বৃহত্তম আসবাবপত্র তৈরির দেশ ও রফতানিকারক দেশও। চীনের আসবাবপত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের বাড়িতে শোভা পায়। তাই চীনা আসবাবপত্রের শিল্পায়নে আরো চমত্কার উত্পাদন প্রযুক্তি প্রয়োজন। বর্তমানে চীনা আসবাবপত্র বিশ্বমানে পৌঁছেছে।

 (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)