আকাশ ছুঁতে চাই ৯৯
2022-11-10 16:43:34

১. বাঁচার তাগিদে সফল হতে হয়েছে: ইরানী বিশ্বাস, , নাট্যকার ও পরিচালক

২. শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেরণা ছড়াচ্ছেন উইগুর শিক্ষক মেরিয়েমগুল

৩. নারীরাও সত্যিকারের সৈন্য হতে পারে

৪. এক অসামান্য ভালোবাসার গল্প

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।

বাঁচার তাগিদে সফল হতে হয়েছে: ইরানী বিশ্বাস, , নাট্যকার ও পরিচালক

সাক্ষাৎকার:

ইরানী বিশ্বাস একজন সফল নাট্য পরিচালক ও নাট্যকার। ৫০টিরও বেশি নাটক লিখেছেন। লিখেছেন উপন্যাস। পরিচালনা করেছেন তথ্যচিত্র।তিনি জানালেন কতটা সংগ্রাম করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন গুছিয়ে সংসার করতে। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেটা হয়নি। তার শিশুকন্যার বয়স যখন মাত্র চার বছর তখন আরেকটি বিয়ে করে তার স্বামী তাকে ও কন্যাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বেঁচে থাকার তাগিদে এবং মেয়েকেও  ভালোভাবে মানুষ করার জন্য তিনি শুরু করেন লেখালেখি। সাংবাদিকতার জীবন শুরু হয় তার। ২০০৯ সালে তার একটি বই প্রকাশিত হয়। সেখানে একজন নারীর জীবন সংগ্রাম তুলে ধরেন। সেই বইটি পড়েন একজন নাট্য নির্দেশক। তিনি যোগাযোগ করেন ইরানী বিশ্বাসের সঙ্গে, বরৈন একটি নাটক লিখে দিতে। ইরানী আগে জানতেন না কিভাবে নাটক লিখতে হয়। কিন্তু তার একটা বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কোন কিছুকে ভয় পান না। তিনি একজন পরিচিত নাট্যকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছ থেকে একটি চিত্রনাট্য চেয়ে এনে সেটা পড়ে শিক্ষা নেন।

 

   


                                         

তার প্রথম নাটকটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা দুই বছর তিনি চিত্র্যনাট্য লেখার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। লেখেন একের পর এক নাটক। এরপর আসেন নির্দেশনায়। তিনি নির্দেশক হিসেবেও সফল হন। প্রতিটি নাটকের মধ্যে ইরানী সমাজের কথা, সমাজের বিভিন্ন অসংগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি ধারাবাহিক কমেডি নাটকও লিখেছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সদস্য ইরানী। তিনি বাচসাস নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাচসাস এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। সম্প্রতি তিনি আবার নির্বাচনে জয় পেয়ে সংগঠনটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন।

ইরানী বিশ্বাস লেখক হিসেবেও সাফল্য পেয়েছেন। একজন সফল মা তিনি। তার মেয়ে বর্তমানে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে লেখাপড়া করছে। সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাঁচার তাগিদে আমাকে সফল হতে হয়েছে। আমি আজকে যা কিছু হয়েছি তা বেঁচে থাকার জন্য আমাকে হতেই হয়েছে।’

ইরানী বিশ্বাস মনে করেন  জীবনে সাহসের সঙ্গে সব বিপদকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে, তবেই সাফল্য ধরা দেবে। 

 

শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেরণা ছড়াচ্ছেন উইগুর শিক্ষক মেরিয়েমগুল

উইগুর জাতির একজন নারী মেরিয়েমগুল। সমাজতন্ত্রের আদর্শে কিভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মকে আলোকিত করছেন তিনি চলুন শোনা যাক সেই গল্প।

 

থিয়ানচিন প্রযুক্তি ও শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোকেশনাল এডুকেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন উইগুর জাতিগোষ্ঠীর সদস্য মেরিয়েমগুল ওবুলকাসিম। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র ওই স্কুল শাখার উপ-প্রধান মেরিয়েমগুলের প্রত্যয় জীবনে একজন রোল মডেল হওয়া। এ ব্যাপারে তিনি ভীষণ উৎসাহ পেয়েছেন সিপিসির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদন থেকে। মেরিয়েমগুল ওই কংগ্রেসের একজন প্রতিনিধি ছিলেন।

জাতিগোষ্ঠির সদস্যদের শিক্ষক মেরিয়েমগুল একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে ভূমিকা পালন করেন তা ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায় এবং এ কাজের জন্য তাকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়।

তিনি বলেন,কংগ্রেসের প্রতিবেদনটি এই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে যে "আজকে থেকে সিপিসির কেন্দ্রীয় কাজ হবে চীনকে একটি মহান আধুনিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সকল জাতিগোষ্ঠীর জনগণকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়া এবং আধুনিকীকরণের চীনা ধারার মাধ্যমে জাতির পুনর্জাগরণকে এগিয়ে নেওয়া”।

মেরিয়েমগুল বলেন, "আমার উচিত শিক্ষার্থীদের একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে কাজ করা, তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাদের বিকাশকে ত্বরান্বিত করা এবং নতুন যুগে আরও তরুণকে শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে দেশকে সাহায্য করা। আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে চীনে আরও অবদান রাখতে আমি তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।"

সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কাশগার জেলায় জন্মগ্রহণকারী মেরিয়েমগুল ২০১২ সালে দক্ষিণ কেন্দ্রীয় মিনজু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এর তিনি শিক্ষক হিসাবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালে সিনচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

জাতিগত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তাকে ন্যাশনাল এথনিক ইউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট মডেল এবং যুব মডেল হিসেবে সম্মানিত করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি থিয়ানচিনে কাজ শুরু করেন।

২০২০ সালে উহানে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য তিনি ৯ লাখ ৫ হাজার ইউয়ান এবং জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহে সাহায্য করেন। এ ভূমিকার জন্য তিনি দেশের সবচেয়ে সুন্দর স্বেচ্ছাসেবক এবং থিয়ানচিনে জাতিগত ঐক্যের রোল মডেলসহ একাধিক খেতাবে ভূষিত হন।

তার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি স্কুলে উইগুর ও তিব্বতীয় জাতিগত গোষ্ঠীর প্রায় ১৬০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান, তাদের পড়াশোনা এবং তাদের জন্য চাকরির সুযোগ সন্ধানে সহায়তা করার দায়িত্ব তার।

তার শিক্ষার্থীদের একজন উইগুর ছাত্র তাজিগুল ভালো ম্যান্ডারিন বলতে পারতেন না যে কারণে চাকরি খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। এটি জানার পর তার আত্মবিশ্বাসকে বাড়ানোর জন্য দুই মাস ধরে প্রতিদিন তাকে এক ঘন্টা করে ম্যান্ডারিন শেখান মেরিয়েমগুল এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে ও শিক্ষার্থী একটি ভালো চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত।

তিব্বতি ছাত্র সেরিং সোমো স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে মেশার ব্যাপারে খুব লাজুক ছিলেন। মেরিয়েমগুল তাকে জাতিগত গোষ্ঠীর ছাত্রদের নিয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলে যোগদানের ব্যবস্থা করেন এবং স্থানীয় ছাত্রদের কাছে জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস উপস্থাপনে তাকে উত্সাহ দেন। এভাবে তার জড়তা কাটে।

সেরিং সোমো জানান, "মেরিয়েমগুলের সাথে বন্ধুত্ব" হওয়ার পরে নিজের মধ্যে "বিশাল পরিবর্তন" অনুভব করেছিলেন তিনি। সেরিং যোগ করেন, "তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন, আমার সত্যিকারের বোন।"

তবে মেরিয়েমগুলের কাছে গৌরব অতীতের বিষয়।

তিনি বলেন, "দৃঢ় দায়িত্ববোধের সঙ্গে আমার দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনই হবে আমার ভবিষ্যত। জাতিগত ঐক্য রক্ষা করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। আমি পার্টির সদস্য হিসেবে সেই প্রচেষ্টা করব।"

তিনি আরও বলেন, তিনি আরও তরুণ শিক্ষার্থীদের সাথে থাকবেন, তাদেরকে গড়ে তুলবেন এবং আরও তরুণকে উচ্চ আদর্শ, দৃঢ় দায়িত্ব এবং নতুন যুগে কষ্ট সহ্য করার শক্তি দিয়ে শিক্ষিত করে তুলবেন।

নারীরাও সত্যিকারের সৈন্য হতে পারে

সুপ্রিয় শ্রোতা, সদ্য সমাপ্ত সিপিসি ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেসে একজন প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন নারী সেনা ইয়া লিং। চলুন শোনা যাক তার আত্মবিশ্বাস অর্জনের গল্প।

চীনের সেনাবাহিনীতে অনেক নারী আছেন যারা সাফল্যের সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষায় ভূমিকা রাখছেন।

এমনই এক সেনা সদস্য চীনা নৌবাহিনীর সৈনিক ইয়ান লিং। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে ডেলিগেট হিসেবে ছিলেন তিনি।

 ১১ বছরের সামরিক জীবনে তিনি অসীম সাহস ও শক্তিশালী চিন্তার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে যুদ্ধের জ্ঞান ও দক্ষতা এবং বিভিন্ন রকমের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারে তার পারদর্শীতা রয়েছে।

পুরুষ সেনাদের মতোই সাঁতার, সম্মুখ যুদ্ধ, গেরিলা যুদ্ধ এবং বোমা বিস্ফোরণের মতো কঠিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইয়ান। মেরিন কর্পসের কমান্ডার চি ছিং জানান, নারী সদস্য হিসেবে পুরুষদের চেয়ে কোন অংশে পিছিয়ে নেই ইয়ান লিং। চলতি বছর রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সিপিসি’র ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ২ হাজার ২৯৬ জন সদস্য।  এদেরই একজন ছিরেন ইয়ান।

নৌ-সেনা ইয়ান লিং বলেন, “যখন প্রথম বাহিনীতে যোগ দেই, অনেক পুরুষ সেনা আমার সম্পর্কে বলেছে, মেয়েদের কেবল সুন্দর মুখের সৌন্দর্য্যই আছে। তখন খুব বিব্রত বোধ করতাম আর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমিও দেখিয়ে দেবো যে নারীরাও সত্যিকারের সেনা হতে পারে।“>>

ইয়ান লিং প্রমাণ করেছেন যে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে গেলে নারী পুরুষ সকলের পক্ষেই যে কোন যুদ্ধ জয় করা সম্ভব।

এক অসামান্য ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার কথা নিয়ে অনেক গল্প, উপন্যাস, চলচ্চিত্র, নাটক রয়েছে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন ভালোবাসার গল্প খুব কমই শোনা যায়। বাস্তব জীবনের এক ভালোবাসার গল্প সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। চলুন শোনা যাক ভালোবাসার এই চমৎকার গল্প।

চীনের দুইজন প্রবীণ নারী পুরুষ ৭০ বছর বিচ্ছেদের পর তাদের ভালোবাসাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

সু কুইচেন এবং সাও চেনওয়েই ছিরেন কিশোরবেলার বন্ধু। দুজনেরই জন্ম ১৯২৬ সালে।কিশোরী সু এবং কিশোর সাওয়ের পরষ্পরের সঙ্গে দেখা হয় ষোল বছর বয়সে। দুজনের বাবা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজন ১৯৩৭ সালে শাংতুং প্রদেশের ওয়েইহাই শহরে একটি ফটো স্টুডিও খোলেন।

 

ক্যাপশন: যৌবনে সাও চেনওয়েই

ক্যাপশন: যৌবনে সু কুইচেন

 

কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনের উপর জাপানের আগ্রাসী আক্রমণে বিপর্যস্ত হয় তাদের জীবন। দুইবন্ধু তাদের ফটো স্টুডিও নিয়ে যান সাংহাইতে। সেখানেই সু এবং সাওয়ের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সু এর বাবা কিশোর সাওকে খুব পছন্দ করতেন। আশা করতেন হয়তো এই চমৎকার ছেলেটির সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হবে। কিন্তু যুদ্ধ ও যুদ্ধের পরবর্তি  কঠিন জীবন তাদের দুজনকে দুদিকে নিয়ে যায়।

সাও একজন ফটোগ্রাফার হন। সু টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি নেন।

তাদের দুজনের মধ্যে তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না গেল সত্তর বছরে।

২০১৯ সালে সুয়ের ছোটভাইয়ের সঙ্গে সাওয়ের দেখা হয়। তিনি তার কিশোরবেলার প্রিয় বান্ধবীর খবরাখবর নেন। এরপরে তারা দুজন দেখা দেখা করেন।

দুজনেরই জীবনসঙ্গী তখন মৃত। ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। এবং তারা নিজের নিজের জীবনে ব্যস্ত। দুজনেই খুব নিঃসঙ্গ। আবার তাদের পুরনো বন্ধুত্ব জেগে ওঠে। তারা একসঙ্গে বেড়ান, ডিনার করেন, ফোনে আলাপ করেন। ।

২০২০ সালে তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। তাদের কাছে মনে হয় জীবনের শেষদিনগুলো তারা একসঙ্গে কাটাতে পারেন।

বর্তমানে তারা প্রবীণ ব্যক্তিদের একটি নিবাসে দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন। পরিবারের সদস্যরা ও প্রবীণ নিবাসের কর্মীরাও তাদের এই বিয়েকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা অন্য সদস্যদের সঙ্গে টিভি দেখেন, থাইচি করেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে বাইরে বেড়াতে যান।

৭০ বছর বিচ্ছেদের পর  সু কুইচেন এবং সাও চেনওয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

 সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা,উপস্থাপনা : শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী ও শান্তা মারিয়া