শীতের সবজি বাজারে এলেও চড়া দামে ক্রেতা কম
2022-11-10 19:19:02


আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সেভাবে শীত এখনো পড়েনি। তবে বাজারে আগাম দেখা মিলছে শীতকালীন সবজির । তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে যেসব শীতকালীন সবজি উঠছে। সবকিছুরই দাম অনেক বেশি।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনছেন। তাই খুচরা বাজারেও দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে। তবে শীত পুরোপুরি শুরু হলে সবজির সরবরাহ বাড়বে, দামও কমে আসবে।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই এখানে চলছে শীতকালীন সবজির বেচাকেনা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি শিম, শালগম ও নতুন আলু ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ও ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে বেগুন, মুলা ও বরবটি কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এ ছাড়াও কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

একই অবস্থা শীতের সবজি গাজরের। বাজারে এখনও দেশি গাজর আসেনি। আমদানি করা বড় আকারের গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

যা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতা  

মগবাজার এলাকার বাসিন্দা শিমুল পারভেজ বলেন, “ এখন সবজি কেনাই যাচ্ছে না। যাই কিনতে যাই তাই দাম বেশি। না পারলেই না এমন সবজি কিনে বাসায় ফিরতে হয়”।

ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা রোখসানা আক্তার বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলছে। এমন চলতে থাকলে কয়েক দিন পর না খেয়ে থাকতে হবে।

এদিকে টমেটো পাইকারি বিক্রেতা পাভেল বলেন, দেশি টমেটো এখনও বাজারে আসেনি। বাজারে যা দেখতাছেন সবই আমদানি করা। ভালো ও বড়গুলো পাইকারিতে কেজি ৮০ টাকা। একটু ছোট হলে ৭০ থেকে ৭২ টাকা। আমগো কাছ থেকে নিয়ে খুচরায় ১০০ টাকা বিক্রি করতেছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মোহাম্মদ জুয়েল জানান, বাজারে এখন দেশি শীতের সবজি মাত্র চারটি। শিম, ফুলকপি, পাতাকপি আর মুলা। সবজিগুলো মাত্র বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই এগুলোর দাম একটু বেশি।

সবজি বিক্রেতা আফসার আলী বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম কমে যাবে।

অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মাছের দাম। ছোট আকারের রুই কেজি ৩২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। পাবদা মাছ আকারভেদে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৭৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চিংড়ি ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা, তেলাপিয়া, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯৫ টাকায়, প্যাকেট চিনি ১০০ টাকায় এবং লাল চিনি ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা ও ভারতীয় মসুরের ডাল ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা। বাজারে ৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস।

সম্পাদনা – সাজিদ রাজু