নভেম্বর ৭: বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যামস ক্লেভারলি সম্প্রতি বলেছেন, বৃটেন ও মরিশাস চাগোস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগামী বছর চুক্তিতে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। বৃটেনের এ মন্তব্যকে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্বরে বিতর্ক সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করে বহির জগত। বৃটেনের উচিত একই মনোভাব নিয়ে তার অবৈধভাবে দখলকৃত ফকল্যান্ড দ্বীপের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আনর্জেন্টিনার সঙ্গে বৈঠক করা। আজ (সোমবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এক সময় বৃটেন উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। বিভিন্ন সময় দেশটি বিশ্বের ৯০ শতাংশ দেশে আগ্রাসন চালিয়েছে। উপরুক্ত দুটি দ্বীপপঞ্জই সেই ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন। তাতে বৃটেনের ঔপনিবেশিকতার মূল পাপ এখনো দেখা যায়।
মরিশাসের সঙ্গে বৃটেনের বৈঠকের কথা জানার পর আর্জেন্টিনা বৃটেনের কাছে ফকল্যান্ড দ্বীপের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বৈঠকের দাবি জানিয়েছে। এখনো বিশ্বের ১৭টি ঔপনিবেশিক ভূমির ১০টিই বৃটেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বৃটেনের উচিত মরিশাসের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার বৈঠকের দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া। একবিংশ শতাব্দীতে উপনিবেশ ও আধিপত্যবাদের কোনো স্থান নেই।
(রুবি/এনাম)