নভেম্বর ৬: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভিডিও লিংকের মাধ্যমে উহানে ‘জলাভূমি চুক্তি’ স্বাক্ষরকারীদের ১৪তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চেতনা গভীরতর করে সহযোগিতার মাধ্যমে জলাভূমি রক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী তৎপরতা বেগবান করব’। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র এ ভাষণ মানব জাতির উচ্চ পর্যায়ে জলাভূমি রক্ষার তিনটি উদ্যোগ উত্থাপন করেছে। তাতে ভবিষ্যতে চীনের ব্যবস্থা তুলে ধরা হয় এবং বিশ্বব্যাপী জলাভূমি রক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, গত ৭০-এর দশক থেকে বিশ্বব্যাপী জলাভূমির আয়তন ৩৫ শতাংশ কমেছে। দূষণ, সংক্রামক প্রজাতি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বর্তমান জলাভূমির পরিমাণ অনেক কমেছে। এমন প্রেক্ষাপটে সি চিন পিং জলাভূমি রক্ষায় বিশ্ব মতৈক্য অর্জন, জলাভূমি রক্ষায় বিশ্ব প্রক্রিয়া বেগবান এবং জলাভূমি থেকে বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণ জোরদারসহ নানা কারণে বিশ্বের জলাভূমি রক্ষার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র তিনটি প্রস্তাব খুব বাস্তব এবং বাস্তবায়নযোগ্য। এটি চীনের মানব জাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠনের আরেকটি প্রচেষ্টা।
‘জলাভূমি চুক্তি’ সংস্থার মহাসচিব মুসন্দা মুম্বা বলেছেন, চীনের ভূমিকা দেখে অনেক স্বাক্ষরকারী বুঝতে পারেন যে, জলাভূমি রক্ষা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্যও অনুকূল।
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর চীনের জলাভূমি চুক্তি স্বাক্ষরের ৩০তম বার্ষিকী। বর্তমানে বিশ্বের ৪৩টি আন্তর্জাতিক জলাভূমি সিটির মধ্যে চীনে আছে ১৩টি, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। এটি টানা কয়েক বছরে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলাভূমি রক্ষায় চীনের অব্যাহত প্রচেষ্টার পর্যাপ্ত স্বীকৃতি।
(রুবি/এনাম/শিশির)