নভেম্বর ৬: বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি জটিল ও পরিবর্তনশীল। প্রভাবশালী দেশ হিসেবে চীন ও জার্মানির হাতে হাত রেখে সহযোগিতা করে বৈশ্বিক শান্তি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা উচিৎ বলে মন্তব্য করা হয়েছে সিএমজির এক সম্পাদকীয়তে।
গত ৪ নভেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে চীন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, জার্মানির সঙ্গে ভবিষ্যতমুখী সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং চীন ও জার্মানি এবং চীন ও ইউরোপের সম্পর্কের নতুন উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।
জবাবে জার্মান চ্যান্সেলর স্কোলজ বলেন, চীনের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা ও আস্থা বাড়াতে এবং জার্মানি ও চীনের সম্পর্ক স্থিতিশীল, সুসংহত, এবং উন্নত করার প্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক জার্মানি।
স্কোলজ হচ্ছেন সিপিসি’র ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের পর চীন সফরকারী প্রথম ইউরোপীয় শীর্ষনেতা। এটি দায়িত্ব নেয়ার পর জার্মান চ্যান্সেলরের প্রথম চীন সফর।
চলিত বছর হল চীন ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। গত ৫০ বছরের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা হল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘ব্যালাস্ট পাথর’।
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চীন টানা ৬ বছর ধরে জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে আসছে এবং জার্মানি টানা ৪৭ বছর ধরে ইউরোপে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
বিদেশি গণমাধ্যমে বলা হয়, জার্মানির ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা স্কোলজের সঙ্গে চীন সফর করেছেন। এ থেকে চীনের বাজার ও সুযোগের ওপর জার্মানির গুরুত্বারোপ প্রমাণিত হয়েছে।
চীন ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীকে কাজে লাগিয়ে জার্মানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে বাস্তব সহযোগিতা বেগবান করতে ইচ্ছুক চীন, যা দু’দেশের জনগণকে উপকৃত করা ছাড়াও ইউরোপ ও বিশ্বকে উপকৃত করবে বলে সিএমজির সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
লিলি/এনাম/রুবি