মালভূমিতে কিউঈ চাষ করে সচ্ছল জীবন
2022-11-02 12:00:06

শরত্কালে মালভূমি তিব্বতে শীত বেড়ে যাচ্ছে। তবে, এ অঞ্চলের ছা ইয়ু জেলার ছা ইয়ু উপজেলার কিউঈ ফল ক্ষেতে বিরাজ করছে ফল কাটার ব্যস্ততা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এ ফল কেটে মালবাহী গাড়িতে তুলেন। এ ক্ষেতের দায়িত্বশীল ব্যক্তি জেং থিয়ান ছেং’র মুখে হাসি লেগে আছে।

কিউঈ বাগান


ছা ইয়ু হিমালয় পার্বত্যাঞ্চলের গিরিখাতের গভীরে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে বিরল প্রাকৃতিক পরিবেশ। রয়েছে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক ব্যবধান। উর্বর মাটি, পর্যাপ্ত আর্দ্রতা এবং আলো রয়েছে এখানে। ষাট বছর বয়সী জেং থিয়ান জেং চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ইয়া আন থেকে এসেছেন। এ স্থানের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জলবায়ু কিউঈ ফল চাষের জন্য উপযোগী বলে তিনি উপলব্ধি করেছেন। তাই তিনি এখানে এ ফল চাষ শুরু করেন।  সে সময় গ্রামটির অধিকাংশ অধিবাসী কিউঈ ফল কি, তা জানতো না। ২০১১ সালে জেং থিয়ান ছেং সিয়া ছা ইয়ু উপজেলার সিয়া নি গ্রামে কিছু ভূমি ভাড়া করে এ ফল চাষ শুরু করেন।

মালভূমিতে কোনো কিছু চাষ করা কিন্তু সহজ কাজ নয়। জেং থিয়ান ছেং ও প্রযুক্তিবিদরা প্রায় সর্বক্ষণ ফল বাগানে থাকেন এবং প্রতিটি গাছের যত্ন নেন। ২০১৫ সালে এ ক্ষেতে ৫০০০ হাজার কিউঈ ফল ধরে। সে ফলগুলো বাজারে গেলে দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। তা জেং থিয়ান ছেংকে খুব উত্সাহিত করে। সেখানে কিউঈ ফল শিল্প গঠনের লক্ষ্যে জেং থিয়ান ছেং অব্যাহতভাবে চাষের আকার বাড়ান এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের চাষের প্রযুক্তি শিখান।

কিউঈ বাগানে কাজ করছেন স্থানীয় গ্রামবাসী

প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হতো এ ফল। তার পর জেং থিয়ান ছেং ছা ইয়ু জেলার সিং সোং কিওই ফল কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে তার কোম্পানির কিউঈ ফল চাষের জমির আয়তন ৭০ হেক্টর। সিয়া নি, চিং  তু, ও সোং কু-সহ বেশ কিছু গ্রামে এ ফল চাষ হচ্ছে।

আগেকার মরুভূমি বর্তমানে সবুজ হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা ধনী হয়েছেন। সিয়া নি গ্রাম প্রশাসনের উপপরিচালক হু হু লুং বলেছেন, আগে গ্রামবাসীরা কেবল চাষ করে উপার্জন করতো। কিউঈ ফল শিল্পের উন্নয়নের ফলে সবার সমৃদ্ধির জন্য নতুন পদ্ধতি প্রসারিত হয়েছে। জমি ভাড়া থেকে ২০২১ সালে উপার্জন হয়েছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ইউয়ান। তাছাড়া, কিউঈ ক্ষেতে সারা বছরে ৭৫০০ কর্মসংস্থান হয়েছে। তাতে গ্রামবাসীরা ৩ লাখেরও বেশি ইউয়ান উপার্জন করেছেন।

জেং থিয়ান ছেং বলেন, চলতি বছর কিউঈ ফলের উত্পাদন হবে ২.৫ লাখ কেজি। প্রতিকেজি ৭.৫ ইউয়ান দিয়ে হিসাব করলে তার মূল্য ৭৫ লাখ ইউয়ানেরও বেশি দাঁড়ায়। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি পিচ, কমলাসহ নানা ফল চাষ শুরু করবে, যাতে আরও বেশি গ্রামবাসী উপকৃত হয়।

(রুবি/এনাম)