নভেম্বর ১: গতকাল (সোমবার) বেইজিং সময় বেলা ৩টা ৩৭ মিনিটে চীনের মহাকাশ স্টেশনের ‘তৃতীয় কেবিন’--মেংথিয়ান পরীক্ষা মডিউল--উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রায় আট মিনিট পর মেংথিয়ান পরীক্ষা মডিউল তার পরিবাহী রকেট থেকে সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করে। এটি মহাকাশ স্টেশনে যুক্ত হলে চীনের মহাকাশ স্টেশনে কেবিনের সংখ্যা দুই থেকে তিনে উন্নীত হবে। সেসঙ্গে ল্যাটিন অক্ষর ‘টি’ আকারের মহাকাশ স্টেশন কমপ্লেক্স তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।
মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ করা চীনের মহাকাশ কাজের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। গত ৩০ বছরের মধ্যে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা যথাক্রমে মহাকাশ-ভূ-স্থল যাতায়াত, মহাকাশে স্পেসওয়াল্কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছেন, যা মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তিগত ভিত্তি স্থাপন করেছে।
মহাকাশ খাতের অগ্রগতি চীনের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের প্রতিফলন। চীন মানববাহী মহাকাশ কাজ উন্নয়নে সবসময় শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, সমান ও পারস্পরিক উপকারিতা, যৌথ উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করে চলে। চীন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া ও পাকিস্তান এবং জাতিসংঘের মহাকাশ বিভাগ, ইউরোপের মহাকাশ ব্যুরোসহ বেশ কিছু মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে নানাভাবে সহযোগিতা প্রকল্প চালু করেছে এবং এসব সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে।
চীনের মহাকাশ স্টেশন হল ইতিহাসে এ প্রথমবারের মত জাতিসংঘের সব সদস্য দেশের জন্য উন্মুক্ত প্রকল্প। বর্তমানে ১৭টি দেশ, ২৩টি গোষ্ঠীর ৯টি প্রকল্প চীনা মহাকাশ স্টেশনের প্রথম দফা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তা মহাকাশ খাতে মানবজাতির অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তোলায় চীনের নিরলস চেষ্টার সাক্ষী।
মহাকাশ সকল মানবজাতির, তা মানবজাতির কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত। চলতি বছরের শেষ নাগাদ চীন থিয়ানচৌ-৫ মালবাহী মহাকাশযান এবং শেনচৌ-১৫ মানববাহী মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে। এর ফলে ৬ জন নভোচারী একসাথে মহাকাশে কাজ করবে। আমি বিশ্বাস করি, অদূর ভবিষ্যতে চীনা মহাকাশ স্টেশন গোটা মানবজাতির মহাকাশ অনুসন্ধানের ‘নতুন বাড়ি’ হবে।
(শুয়েই/এনাম/আকাশ)