স্যুই লিয়াং
2022-10-28 11:00:14

স্যুই লিয়াং ১৯৮৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চীনের শানতোং প্রদেশের ছিংদাও শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের একজন গায়ক ও সঙ্গীতজ্ঞ।

 

২০১০ সালে তিনি ইন্টারনেটে তাঁর সৃষ্টি প্রথম গান “বুকের সামনে” প্রকাশ করে নেটিজেনদের আকর্ষণ করেন। তারপর তিনি বেশ কয়েকটি গান সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মোট অডিওভিজ্যুয়াল ভলিউম প্রায় ১০ কোটিতে পৌঁছায়।

২০১১ সালে স্যুই লিয়াং ওয়ান্ডারফুল মিউজিক কোং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামে মোট দশটি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১২ সালের জুন মাসে তিনি একক গান “লবণ ছাড়া মেয়ে” প্রকাশ করেন। এটা ছিল তিনি এবং সিয়াও লিংয়ের সঙ্গে গাওয়া যৌথ গান। গানটির নাম ঐতিহাসিক ইঙ্গিত “লবণ ছাড়া মেয়ে” থেকে আসে। গানটি অনুরাগীদের মধ্যে খুব দ্রুত ছড়ায়। অনেক মেয়ে ইন্টারনেটে তাদের নাম পরিবর্তন করে স্যুই লিয়াংয়ের নতুন গানের নামে রাখেন। 

 

২০১৩ সারে স্যুই লিয়াং তাঁর দ্বিতীয় অ্যালবাম “ভালবাসার গল্প” প্রকাশ করেন। একই বছর তিনি তাঁর একক চীনা স্টাইলের গান “তখনকার বৃষ্টি” প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালে তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম “আমি” প্রকাশিত হয়। মানুষ তো সব সময় ভালোবাসার গল্প শুনতে চায়, তা ইনা? 

 

কেমন লেগেছে গান দু’টি? নিশ্চয়ই ভালো লাগার কথা, তাইনা? ২০১৩ সালে স্যুই লিয়াং সিসিটিভি’র বসন্ত উৎসব গালায় পরিবেশনা করেন। সে বছরের ৭ জানুয়ারি তিনি একক গান “৭ সেকেন্ডের স্মৃতি” প্রকাশ করেন। এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে গানটির অডিওভিজ্যুয়াল ভলিউম প্রায় এক কোটিতে পৌঁছায়। এছাড়া, তিনি এক দিনে অনলাইন অডিওভিজ্যুয়াল সংখ্যা ৮০ লাখের কিউকিউ মিউজিক তালিকার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেন। অনেক জনপ্রিয়, তাই না? 

 

২০১৪ সালে স্যুই লিয়াং সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সে বছরের ৭ জুলাই তিনি একক গান “সম্মুখীন হওয়া” প্রকাশ করেন। তিনি গানটি সৃষ্টি করেন এবং প্রথম বারের মতো গায়িকা ইয়াং ইয়াংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। একই বছরের ২৫ নভেম্বর তিনি এবং টিভি উপস্থাপিকা উ সিনের সঙ্গে যৌথ গাওয়া গান “নক্ষত্র প্রেমীরা” প্রকাশিত হয়। তিনি গানটির জন্য বিশেষ করে নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করেন এবং আর অ্যান্ড বি সুর ব্যবহার করেন। 

 

“নির্যাতন” স্যুই লিয়াং এবং গায়িকা সুন ইয়ুইয়ৌ’র সঙ্গে গাওয়া একটি যৌথ গান। গানটির সঙ্গীত ও লিরিক্স দু’টোই স্যুই লিয়াংয়ের হাত থেকে। গানটি তাঁর ২০১৩ সালে প্রকাশিত অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি রোমান্টিক কথাসাহিত্যের পদ্ধতিতে ভালোবাসা ও বিচ্ছিন্নতা প্রকাশ করেন। গভীর ভালোবাসা, বেদনাদায়ক বিচ্ছিন্নতা, ধীরে ধীরে পরিপক্ব ও বোধগম্য হৃদয় তরুণ স্বয়ংকে স্মরণ করবে। সেজন্য তিনি গানটি সৃষ্টি করেন। 

  

(প্রেমা/এনাম)