আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৯৭
2022-10-27 18:39:05

১. চীনে লেখাপড়া করে জীবনকে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গী পেয়েছি: ফাহমিদা ওয়াদুদ চৈতী

২. সিপিসি ২০তম ন্যাশনাল কংগেসে নারী প্রতিনিধিরা যা বললেন

৩. তিনি ওদের বন্ধু

৪. সিনচিয়াংয়ে সকল জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে ও সুখে আছে: সিপিসি প্রতিনিধি

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সংকট, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে।

অনুষ্ঠানে আজ আমরা কথা বলবো এমন একজন নারীর সঙ্গে যিনি জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমানে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি চীনে লেখাপড়া করে এসেছেন। আমরা তার কাছ থেকে শুনবো চীনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার গল্প। আমাদের অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানাই।

 

চীনে লেখাপড়া করে জীবনকে দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গী পেয়েছি: ফাহমিদা ওয়াদুদ চৈতী

 

ফাহমিদা ওয়াদুদ চৈতী বছর দশেক আগে চীনে লেখাপড়া করেন। তিনি ছিলেন চিলিন শহরে প্রথম বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলি কমিউনিকেশন এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন সেখানে চীনা ভাষা শেখেন তিনি। এরপর তিনি চীন সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চায়নায় যান। সেখানকার অভিজ্ঞতা জানান চৈতী। বলেন, চীনে লেখাপড়া ছিল অন্য রকম এবং খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। এটি জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী পালটে দেয়। চীন নারীর জন্য অত্যন্ত নিরাপদ দেশ বলে জানান তিনি। চৈতী বলেন, ‘চীন অত্যন্ত নিরাপদ একটি দেশ। সকলের জন্যই নিরাপদ। চীনারা অত্যন্ত ডিসিপ্লিনড। তারা আইন মেনে চলে।’

চীনে তিনি অনেক দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে গেছেন। বিভিন্ন শহর দেখেছেন। মহাপ্রাচীরে উঠেছেন।

বর্তমানে চৈতী একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করছেন। তিনি মনে করেন, নারীদের প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে তিনি পারবেন। নিজেকে নিছক মেয়ে হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। নিজের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করলেই কেবল নিজেকে প্রমাণ করা সম্ভব হবে।

 

 

 

সিপিসি ২০তম ন্যাশনাল কংগেসে নারী প্রতিনিধিরা যা বললেন

 

গত একদশকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতি উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যহারে এগিয়েছে চীনের নারীরা। দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিদ্যুৎগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটির নারীরা। সম্প্রতি শেষ হওয়া চীনের সিপিসি২০তম জাতীয় কংগ্রেসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অসংখ্য নারী প্রতিনিধি অংশ নেন। বিস্তারিত প্রতিবেদনে গত এক দশকে, মহাকাশ অনুসন্ধানে চীনের সাফল্য বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মহাকাশ অনুসন্ধান একটি জাতীয় প্রকল্প এবং এই ক্ষেত্রে চীন কতোটা এগিয়েছে এটি তার প্রমাণ বহন করে। ২০ তম জাতীয় কংগ্রেসে অংশ নিয়ে চীনা প্রথম নারী মহাকাশচারী ওয়াং ইয়াপিং এসব কথা বলেন।  চীনের মহাকাশে অবদান রাখতে পারাটা তার জন্য একটা সর্বোচ্চ সম্মানের ব্যাপার এবং অনেক বড় দায়িত্বও বটে বলে জানান তিনি।

সদ্য সমাপ্ত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০ তম জাতীয় কংগ্রেসে সিনচিয়াং প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে বলেন, গত এক দশকে, উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে উচ্চ শিক্ষা, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং নানা ক্ষেত্রে অব্যাহত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আর এসব উন্নয়নের পেছনে নারীদের অনেক বড় ভূমিকা আছে।

জ্বালানি প্রসঙ্গে প্রতিনিধিরা বলেন, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চীন সর্বদা তার শক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।  জাতীয় শক্তি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সর্বক্ষেত্রে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলতে ব্যবহারিক পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার। আর তেল শ্রমিকরা চীনের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে। এক্ষেত্রেও নারীকর্মীরা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমানভাবে কাজ করছে।

 

এবারের কংগ্রেসে উত্থাপিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত একদশকে সারাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। শিক্ষায় নারীরা এগিয়ে যাওয়ায় কর্মক্ষেত্রের পরিধি বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীদের জীবনে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমানে উন্নত, সমৃদ্ধ চীন বিনির্মাণের প্রতিটি ধাপে তারা অবদান রাখছে।  

বিচার ব্যবস্থায় তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে সুবিধাজনক এবং দক্ষ বিচারিক পরিষেবা প্রদানে প্রতিনিধিরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ, প্রতিটি বিচারিক মামলায় জনগণ যাতে নিরপেক্ষভাবে ন্যায়বিচার পায় এবং দক্ষ সমাজতান্ত্রিক বিচার ব্যবস্থার বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে তারা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ চীন। ফসলের মাঠে নারীদের অবদান পুরুষদের তুলনায় কম বলা যাবে না।  নারীরা ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ কিংবা বিপণিবিতানেও রয়েছে তাদের সমান অংশগ্রহণ।

চীনা সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। দেশের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে রক্ষায় বিভিন্নভাবে অবদান রাখছে নারীরা। এবারের ২০ তম জাতীয় কংগ্রেসে সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করা এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় উঠে এসেছে।

 

গত কয়েক বছরে বিজ্ঞান ও গবেষণায় চীন রেকর্ডসংখ্যক সাফল্য অর্জন করেছে। প্রত্যেকটি সাফল্যের পেছনে পুরুষের পাশাপাশি রয়েছে নারীদের অবদান।    বিশ্লেষণে উঠে আসে, জেনেটিক প্রযুক্তির বিকাশে কাজ করা জিনোমিক্স নারী বিজ্ঞানীদের কথা।   

এবারের কংগ্রেসে অংশ নেয়া ২, ২৯৬ জন প্রতিনিধির মধ্যে ৬১৯ জন ছিলেন নারী প্রতিনিধি। যা মোট প্রতিনিধির ২৭ শতাংশ। ১৯ তম জাতীয় কংগ্রেসের তুলনায় চলতি বছর নারী প্রতিনিধির সংখ্যা ২.৮ শতাংশ বেড়েছে।  

 

 

তিনি ওদের বন্ধু

একজন শিক্ষক যিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ শিশুদের শিক্ষায় বড় ভূমিকা রাখছেন তিনি অবশ্যই অনেক শ্রদ্ধেয়। এমন একজন নারী ছাং ফং। তিনি সম্মাননাও পেয়েছেন জাতীয়ভাবে।

 

চোখে চারকোনা বড় চশমা, পিছনে চুল শক্ত করে বাঁধা, ছাং ফংকে দেখেলেই বোঝা যায় তিনি একজন শিক্ষক। কিন্তু সত্যিকারভাবে তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের কাছে শুধু শিক্ষকই নন, তিনি তাদের অকৃত্রিম বন্ধুও বটে।

ছাং ফং তার গ্র্যাজুয়েশনের পর ২০১১ সালে ফোইয়াংয়ের ইয়ুছাং টাউনশিপের থুথাং প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হন। এখানে চারবছরের মতো খুব সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষকতা করেন। পরে তার মনে হয় এখানে আরামের জীবন নয় বরং আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে দুর্গম এলাকায় গ্রামীণ শিশুদের পড়াবেন তিনি।

পূর্ব চীনের চিয়াংসি প্রদেশের ফোইয়াং কাউন্টি। এখানে দুর্গম পাহাড়েরর ভিতর অবস্থিত লিলিং প্রাইমারি স্কুল।

কাছাকাছি শহরের দূরত্ব এখান থেকে ১২০ কিলোমিটার। এখানে তিনি দেখেন অনেক ছেলেমেয়ে তাদের দাদাদাদী বা নানানানীর কাছে থাকে। বাবা মায়েরা চাকরি করেন অন্যত্র। তিনি এই ছেলেমেয়েদের কাছে হয়ে ওঠেন মায়ের মতো।

২০১৫ সালে তিনি তার বাড়ি থেকে বহুদূরে বাইথাংয়ে অবস্থিত পাহাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরি নিয়ে আসেন। তিনি দেখতে পান স্কুলটিতে কোন শিক্ষার্থী নেই। কারণ ভালো মানের শিক্ষার আশায় অনেকেই তাদের সন্তানদের অন্য দূরের স্কুলে পাঠিয়েছে। ছোট শিশুদের জন্য সেটা খুবই অসুবিধাজনক।

ছাং ফং তখন গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের এই স্কুলে পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করেন। ছোং ফংয়ের স্বামী জানান কিভাবে ছাং তার নিজের বেতানের টাকা দিয়ে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক আধুনিক প্রযুক্তির সামগ্রী কেনেন।

প্রথমে ১৭জন শিশু স্কুলে আসে। ছাং শুধু যে স্কুলেই পড়ান তা নয়, ছুটির পর শিশুদের বাড়িতে গিয়েও তাদের খোঁজ খবর নেন, হোম ওয়ার্ক করতে সাহায্য করেন।

ছাং সিওয়াংহু প্রাইমারি স্কুলের হেড মিস্ট্রেস হন। এটি ফোইয়াং লেকের মাঝখানে একটি ছোট দ্বীপে অবস্থিত।  তিনি দেখেন শিশুরা বেশিরভাগই এসেছে স্থানীয় মৎস্যজীবী পরিবার থেকে।

তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করেন তাদের সমস্যাগুলো শোনেন, সমাধানের চেষ্টা করেন।

ছাং তার স্কুলে অনেক নতুন ব্যবস্থা প্রচলন করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শিশুদের সম্পৃক্ত করেছেন। শিশুশিক্ষায় ছাং এর এই আন্তরিক পরিশ্রম তাকে এনে দিয়েছে বিশেষ সম্মান। অল চায়না উইমেন’স ফেডারেশন ২০২০ সালে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।

 

সিনচিয়াংয়ে সকল জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে ও সুখে আছে: সিপিসি প্রতিনিধি

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসির ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেস শেষ হলো সম্প্রতি।  এই কংগ্রেসে চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চল থেকে যোগ দিয়েছেন প্রতিনিধিরা। এমনি একজন প্রতিনিধি জুলিয়াতি সিমায়ি। যিনি এসেছিলেন সিনচিয়াং থেকে। তিনি শোনালেন কেমন আছেন সিনচিয়াংয়ের নারী। চলুন শোনা যাক।

 

উত্তরপশ্চিম চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে সকল এথনিক গ্রুপ বা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ নিরাপদ ও সুখী জীবন যাপন করে বলে জানালেন সিপিসি প্রতিনিধি জুলিয়াতি সিমায়ি। তিনি সিপিসির ২০তম  ন্যাশনাল কংগ্রেসে তার অঞ্চলের একজন প্রতিনিধি

জুলিয়াতি কাশগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি রোববার বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব পিপলে অনুষ্ঠিত ২০তম সিপিসি ন্যাশনাল কংগ্রেসের উদ্বোধনীর আগে ‘ডেলিগেটস কোরিডোর’ এ এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে সিনচিয়াংয়ে গড় মাথাপিছু আয় আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ডেলিগেটস কোরিডোর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন জুলিয়াতি। তিনি বলেন, সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের আয় গত কয়েক দশকে দ্বিগুণ হয়েছে। এই অঞ্চলের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তারা নিরাপদে ও সুখে আছে।

 

তিনি একজন উইগুর নারীর জীবনের কথা তুলে ধরেন। একজন উইগুর নারী রুকিয়ামা আবদুননুর। স্থানীয় জুনিয়র হাই স্কুল থেকে পাশ করার পর রুকিয়ামা স্থানীয় ভোকেশনাল স্কুলে এমব্রয়ডারির কাজ শেখেন। এরপর উরুমছির একটি পোশাক কারখানায় তিনি শিক্ষানবীশ হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি তার হোমটাউনে ফিরে এসে নিজের একটি পোশাকশিল্পের প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। সরকারি আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় তিনি এই প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পেরেছেন। তিনি স্থানীয় নারীদের তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। ফলে এমব্রয়ডারি করে এই নারীরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। সিনচিয়াংয়ে শিক্ষার হার বেড়েছে। এখন শিশুরা সবাই স্কুলে যাচ্ছে। শিক্ষার ফলে তাদের জীবনমান পাল্টে যাচ্ছে। এখন বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর তরুণ তরুণীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন।

‘যদি কাশগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই ধরেন, তাহলে সেখানে একটি ডর্মে দেখবেন বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা রয়েছে। এমনকি অন্য প্রদেশ থেকেও অনেক শিক্ষার্থী এসেছে।’>>

 

 শিক্ষার বিষয়ও অনেক রকম। ই কমার্সসহ নতুন নতুন বিষয়ে বিভাগ খোলা হয়েছে। জাতীয় উন্নয়ন নীতির ফলে সিনচিয়াং উন্নয়নের ধারায় সামনে এসেছে। এখন অবকাঠামোগত, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি অসংখ্য গ্র্যাজুয়েট তাদের জীবন সিনচিয়াংয়ে যাপন করছেন, উন্নতি করছেন। সিনচিয়াংয়ে আসুন, আমাদের সত্যিকারের গল্পগুলো জানুন।’জুলিয়াতি সিনচিয়াংয়ের সুখী জীবনের চিত্র তুলে ধরেন।

আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা,উপস্থাপনা : শান্তা মারিয়া

সিপিসি ২০তম ন্যাশনাল কংগেসে নারী প্রতিনিধিরা যা বললেন, প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী

তিনি ওদের বন্ধ,  সিনচিয়াংয়ে সকল জাতিগোষ্ঠী নিরাপদে ও সুখে আছে: সিপিসি প্রতিনিধি প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদানা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী ও শান্তা মারিয়া