মানবাধিকার সমুন্নত রাখা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ: চীন
2022-10-21 17:31:48

অক্টোবর ২১: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে।  জনসাধারণের সুখী জীবন হচ্ছে বৃহত্তম মানবাধিকার। তাদের কল্যাণ সৃষ্টি করা সিপিসি’র সদস্যদের অবিরাম প্রচেষ্টার উৎস। 

 

আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন এসব কথা বলেছেন।

 

ওয়াং ওয়েন বিন বলেছেন, সিপিসি’র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-কেন্দ্রিক কেন্দ্রীয় কমিটি মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষাকে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ  হিসেবে অনুসরণ করে চীনের মানবাধিকারের ঐতিহাসিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। 

 

তিনি বলেন, চীন সার্বিক সচ্ছল সমাজ গঠন করেছে এবং ঐতিহাসিক চরম দারিদ্র্য বিমোচন করেছে। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে চীন মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিত্তিতে সর্বাধিকভাবে জনসাধারণের নিরাপত্তা ও সুস্থতা রক্ষা করেছে। চীনাদের গড় আয়ু গত দশ বছর আগের ৭৪.৮ থেকে বেড়ে ৭৮.২ বছরে উন্নীত হয়েছে। চীনে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা ব্যবস্থা, সামাজিক নিশ্চয়তা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা।

 

তিনি বলেন, নয় বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের হার উচ্চ পর্যায়ের উপার্জনকারী দেশের গড় মানের তুলনায় বেশি। উচ্চ শিক্ষা থেকেও উপকৃত হয়েছে জনসাধারণ। চীন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে চতুর্থ জাতীয় মানবাধিকার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটি মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে আইন প্রণয়ন, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগসহ নানা খাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আইনানুগভাবে মানুষের বিভিন্ন অধিকার রক্ষা এবং তাদের কল্যাণ, সুখবোধ এবং নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত হয়েছে।

 

ওয়াং ওয়েন বিন আরও বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার প্রশাসনে চীনের ইতিবাচক অংশগ্রহণ রয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পরপর তিনবার চীনের উত্থাপিত ‘সব মানবাধিকার ভোগের জন্য উন্নয়নের অবদান ও মানবাধিকারের খাতে সহযোগিতা ও অভিন্ন অর্জন বেগবান’ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব গৃহীত হয়। উন্নয়নের মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষার ভাবনা আন্তর্জাতিক সমাজের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

(রুবি/এনাম/লাবণ্য)