২০তম জাতীয় কংগ্রেস চীনা জনগণকে আধুনিক ও উন্নত সমাজ ব্যবস্থার লক্ষ্যে তাত্ত্বিক ভিত্তিকে মজবুত করবে
2022-10-20 10:02:51

দিলীপ বড়ুয়া (সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল(এম.এল)

          

বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং আঁকাবাকা পথে গণ চীনের সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণের কাজ অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলছে। অনুশীলনের মধ্যদিয়ে সফলতাকে ধারণ করে ব্যর্থতাকে পরিহার করে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে সমাজতান্ত্রিক সমাজ পুষ্ঠ হচ্ছে ৪র্থ জেনারেশনের নেতা কমরেড শি জিনপিং পার্টির নেতৃত্বে অধিষ্ঠীত হবার পর থেকে গণচীনের আন্তর্জাতিক ভাবমুর্ত্তি এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য অব্যাহত বিকাশ লাভ করছে। ২০১২ সালে ক্ষমতা করেন। কমরেড শি জিনপিং নেতৃত্ব গণ চীন ২০২০ সালের দারিদ্র মুক্ত হয়েছে এবং দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি পরায়ণ উচ্চ পর্যায়ের বাঘ এবং নিম্ন পর্যায়ের মাছি মধ্যে কোন পার্থক্য রেখা টানেন নি, সকল প্রকার দুর্নীতি গ্রস্তদের বিরুদ্ধে উনার অব্যাহত সংগ্রাম তার ভাবমূর্তিকে বৃদ্ধি করেছে।


কমরেড শি জিনপিং দায়িত্ব নেবার প্রথম থেকেই পার্টির আদর্শকে কঠোরভাবে অনুশীলন, সদস্যদের প্রশিক্ষণের নতুন ও কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে দিয়ে দলীয় সসদ্যদের অবনমন এবং শৃঙ্খলায়ন নিয়ে আসা যায়। এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সর্বত্র পার্টির নেতৃত্বকে প্রতিষ্টিত করা হয়। কমরেড শি জিনপিং এর মূল লক্ষ্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তার উপর ভিত্তি করে অগ্রসর চিন্তাশীল একটি শক্তিশালী ক্ষমতাসীন দল হিসেবে গড়ে তোলা এবং সর্বাত্মক ভাবে এ লক্ষ্যে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। ১৯তম কংগ্রেসে উত্থাপিত রাজনৈতিক রিপোর্ট বলেছে, চীনা সমাজতন্ত্রের বর্তমান অবস্থান এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষন। চীনা সমাজতন্ত্রের অগ্রগতি এই নতুন যুগে মধ্য মঞ্চের কাছাকাছি চলে যাবে এবং মানবজাতির জন্য হবে এই যুগ আরো কল্যাণকর। কমরেড শি জিন পিং তার প্রতিবেদনে বলেন, “চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকার মহান আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলার লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে সব ক্ষেত্রে মাঝারি শ্রেণীর সমৃদ্ধ সমাজ হিসেবে আর্বিভূত হবে। ২০২০ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে সমাজতন্ত্রের আধুনিকায়ন সম্পন্ন করা হবে এবং ২০৩৫ সাল থেকে একুশ শতকের মাঝামাঝি নাগাদ চীন একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ মডেল স্যোসালিস্ট কান্ট্রি হয়ে উঠবে। সেই আধুনিক সমাজতান্ত্রিক চীন হবে সমৃদ্ধ শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক, সাংস্কৃতিকভাবে অগ্রসর, সম্প্রীতিপূর্ণ ও সুন্দর।”


চীনা সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রায় বিকাশ লাভ করেছে। সেই দ্বন্দ্ব হল ভারসাম্যহীন ও অপর্যাপ্ত উন্নয়নের সহিত জনগণের চাহিদার দ্বন্দ্ব। চীনা সমাজের দ্বন্দ্ব বৈরীমূলক দ্বন্দ্ব না থাকলেও ভারসাম্যহীন ও অপর্যাপ্ত উন্নয়নের সহিত জনগণের চাহিদার দ্বন্দ্ব বিরাজ মান অর্থাত্ শ্রেণীদ্বন্দ্বের স্থলে উন্নয়ন ও জনগণের দ্বন্দ্ব বিরাজ লাভ করেছে। ভারসাম্যহীন ও অপর্যাপ্ত উন্নয়ন বলতে কমরেড শি জিনপিং বুঝিয়েছেন উন্নয়নের জন্য পরিবেশ যেমন পানি ও বাতাস বিষাক্ত করে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট করে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সে উন্নয়ন অপর্যাপ্ত ও ভারসাম্যহীন। তার মতে মানুষ ভালো জীবনযাপন করতে চান কিন্তু যে মানুষের দৈনিক ভোগের পরিমাণ ১ মার্কিন ডলারের ও কম তার কাছে ভাল জীবনযাপনের স্বপ্ন হাজার যোজন দূরে অবস্থান করে। যারা অক্সফোর্ড কিংবা কেমব্রিজ পড়ালেখা করতে চান কিংবা ছুটি কাটাতে ক্যালিফোর্নিয়া অথবা সিডনীতে বাড়ি কিনেন তাদের মত করে ভোগ বিলাস করতে পারবেন না। বর্তমানে ধনী চীনারা আমেরিকা, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট পাবার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। কমরেড শি বলেছেন, এ ধরনের ভারসাম্যহীন এবং অর্পযাপ্ত উন্নয়নের সহিত জনগণের দ্বন্দ্বই এখন চীনের প্রধান দ্বন্দ্ব।


উন্নয়নের মাত্রাগত তারতম্য যাই থাকুক মানুষ চায় ভালো জীবনযাপানের গ্রারান্টি। বর্তমান চীনা জনগণ চান আরও বৈষয়িক স্বচ্ছন্দ। চীনের প্রাথমিক ধাপের সমাজতন্ত্রের দ্বন্দ্বের কথা বলতে গিয়ে কমরেড শি উল্লেখ করেন যে, জনগণের ভালো জীবনযাপনের ক্রমবর্ধমান চাহিদাই চীনা জনগণের প্রধান দ্বন্দ্ব। জনগণের চাহিদা কী সেটা বুঝা দরকার। কমরেড শি জিনপিং এর ভাষায়, “এখন জনগণের চাহিদা হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও কল কারখানা, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, পক্ষপাত বিহীন বিচার ব্যবস্থা, ন্যায় বিচার ও উন্নত পরিবেশ।” শি জিনপিং চীনা জনগণের চাহিদাগুলো সনাক্ত করে সেগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে দুই ধাপ সময় নিয়েছেন ২০২০-২০৩৫ এবং ২০৩৫-২০৫০ অর্থাত্ ৩০ বছর এ সময়ের চীন সমাজতন্ত্রের প্রবণতা সাধনে বদ্ধ পরিকর। জিন পিং এর দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব, ক্ষমতা ও আত্মপ্রত্যয়ের দিকে তাকালে মনে হয়, তাঁর নেতৃত্বে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবেন।


শি জিন পিং তার দশ বছর শাসনকালের শুরুতে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এজন্য চীনা জনগণ তাকে ক্ষমতায় রাখতে চায় এমন নয় বরং কমরেড শি চীনা জনগণের সামনে একটি নতুন চিন্তাধারা উপস্থাপন করেছেন আর সে নতুন চিন্তাধারাটি হল একুশ শতকের সমস্যা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক চীনকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে যুথসই বলে চীনা জনগণ মনে করে।


চীনের সামগ্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখে ২০৫০ সালের মধ্যে চীনকে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনৈতিক প্রযুক্তি ও সামরিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আসীন করতে চাইলে আত্মপ্রত্যয়ী, দক্ষ, জনন্দিত গতিশীল নেতৃত্বের জন্য কমরেড শি একমাত্র যোগ্য নেতা হিসেবে দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এই বাস্তবতায় কমরেড এর পক্ষে সম্ভব। তাঁর যোগ্যতা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভাবমূর্তি গণচীনকে বিশ্বের একক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। তা ছাড়া ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড স্প্রিং অব পার্লের মতো বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক  উদ্দ্যোগকে আরও বিস্তৃত করবে।


কমরেড শি জিনপিং এর সময় চীন নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। মাও সেতুং এর আমলটি ছিলো যুদ্ধোত্তর দেশকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানোর সময়। কমরেড শি জিনপিং এর সময়টি হল অভ্যন্তরীন ক্ষেত্রে ঐক্য সমৃদ্ধ ও জনগণের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে জনগণের জন্য আরও উন্নত জীবন মানের ব্যবস্থা চালুকরণ, সুচিকিত্সা, যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুকরণ, বৈষম্য নিরসন, দারিদ্র দূরিকরণ, পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ, গ্রাম শহরের ব্যবধান কমানো ও নগরায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, জনবান্ধব ও কার্যকর উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা বাস্তবায়ন। সর্বোপূরি ২০৫০ সালের মধ্যে চীনকে মহান আধুনিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলীয় ও জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা, বিচক্ষণ দলীয় নেতৃত্ব ছাড়া এসব সম্ভব নয়। গণচীনের জনগণ কমরেড শি জিনপিংকে এসব কাজে যোগ্য মনে করেন বিধায় তাকে আজীন রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে দেখতে চান। বিগত দশ বছরে প্রমাণিত হয়েছে, কমরেড শি বর্তমানে ও অদূর ভবিষ্যত এসব ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন।


১৯তম জাতীয় কংগ্রেসে চীনা বৈশিষ্ট মোতাবেক মার্কসবাদের সৃষ্টিশীলতাকে শি জিনপিং চিন্তাধারা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার প্রেক্ষিতে গণচীনের সময়ের চাহিদা মোতাবেক মার্কসবাদকে আরো সমময়ের উপযোগী এবং চীনা জনগণের চাহিদা মোতাবেক আরও বিকশিত করা হয়েছে। সুশাসন, গণতান্ত্রিক মূলবোধ, আইনের শাসন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করা, নিরাপত্তা এবং সামগ্রিকভাবে গণচীনের পুনরোত্থানের বিষয়টি কমরেড শি সুনির্দিষ্টকরণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বস্তুত পক্ষে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক তথা সামগ্রিকভাবে উন্নত সভ্যতার একটি আধুনিক সমাজ বিনির্মাণে অভিষ্ট লক্ষ্যে তিনি অগ্রসর হতে চান। ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের আলোকে গণচীন বিশ্বে দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আবির্ভূত হয়েছে। গণচীনকে সরকারীভাবে দারিদ্র মুক্ত করে কোভিড ১৯কে চীনা নেতৃত্ব যেভাবে মোকাবিলা করেছেন তার জন্য গণচীনের ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৩০০ বছরের বিকশিত সভ্যতার পশ্চিমা দুনিয়া কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যে দেউলিয়াপনার পরিচয় দিয়েছে তাতে করে পশ্চিমা সভ্যতার ভবিষ্যত উত্সাহব্যঞ্জক নয়।  অন্য দিকে চীনা শাসন ব্যবস্থার মডেল ক্রমশঃ  জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।


কমরেড শি এর নেতৃত্বে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো মূল্যায়ন করে ২০তম জাতীয় কংগ্রেস কমরেড শি জিন পিং এর চিন্তাধারাকে আরো বিকশিত রূপে গ্রহন করবে। ২০তম কংগ্রেস থেকে আরো আধুনিক, ডিজিটাল, সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মানে নতুন যাত্রা শুরু হবে। এ ছাড়াও সমাজতন্ত্রের গণতান্ত্রিক অর্ন্তবস্তুকে মূল্যায়ন করে চীনা বৈশিষ্ট্য মোতাবেক সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে আরও উন্নতর অবস্থাতে নিয়ে যাবে। যাতে করে বিশ্বের জনগণ উপলব্ধি করে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র পশ্চিমা গণতন্ত্র থেকে উত্কৃষ্ট। পশ্চিমা গণতন্ত্রে বুর্জোয়া শাসন ব্যবস্থাকে অলংকার স্বরূপ সাজানো হয়। এই ব্যবস্থা দ্বারা বৃহত্তর  জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়, জনগণের সার্বিক চিন্তা চেতনায় অংশগ্রহণমূলক কর্মকান্ড, নৈতিকতা ও সুশাসনকে নিশ্চিত করে। এই নৈতিকতা ও সুশাসন দেশ, জাতির ও রাষ্ট্রকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আসন্ন ২০তম কংগ্রেসে চীনা মডেল মোতাবেক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা একটি উত্কৃষ্ট মডেল হিসেবে চীনা নেতৃত্ব বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবেন বলে আমার বিশ্বাস। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে প্রজ্ঞা এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাধারার চীনা জনগণকে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি অংশগ্রহণ মূলক কর্মকান্ডের ফলে গণ ভিত্তি সম্পন্ন একটি কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে উঠবে। যাতে জনগণের সুখ দুঃখ ও বেদনার প্রতিফলন ঘটবে। অতঃপর সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিনিয়ত পুষ্ট হয়ে বংশ পরম্পরায় সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা সামনের দিকে অগ্রসর হবে এবং যেকোন বিপত্তি ও অর্ন্তঃঘাতে মুলক কাজ থেকে সুরক্ষা পাবে। শি জিন পিং এর চিন্তা যত বেশী বিকশিত হবে ততই তাহা চীনসহ বিশ্ব মানবতার কাজে আসবে আর এর মধ্যে দিয়ে বৈরী মুক্ত বিশ্ব, যার মূল্য লক্ষ্য হিসাবে মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন একটি সম্প্রদায় ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে।


আমি বিশ্বাস করি শি জিন পিং এর চিন্তা ধারা যত দিন যাবে ততই এর আলোক বর্তিকা হিসেবে শুধু চীন নয় সারা বিশ্বে আলো বিচ্ছুরিত করে যাবে। সমাজ তন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহতভাবে অগ্রসর করে নিয়ে যাবে এবং কালের প্রবাহ্নে চীনা মডেলের সমাজ ব্যবস্থা বিশ্বে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করবে। শি জিন পিং চিন্তাধারার অনুশীলনের মধ্য দিয়ে চীন কেন শক্তিশালী হয়েছে শুধু তার ব্যাখ্যা দিবে না উপরন্তু গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চীনা সমাধানকে সবাই গ্রহণ করবে।


চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীনা জনগণের অফুরন্ত সৃজনশীল বিকাশের মাধ্যমে এবং মার্কসবাদকে যুগোপযোগী বিকশিত করে বিভিন্ন জটিল বাঁক ও মোড় নিয়ে কোন অবস্থার প্রেক্ষাপটে চীনকে অগ্রসর হতে হয়েছে তাকে প্রথমে না জেনে চীনের কৃতিত্ত্বকে জানা কুবই কঠিন ‘প্যারিস ম্যাচ’ এর ২৪শে জুন ১৯৯৪ সাল সংখ্যার ক্রমিক দ্যা লাঁ ২০০০ শীর্ষক কলামে প্রাক্তন ফরাসী ভ্যালেরি গিসকার্ড ডি ইস্টিং তাঁকে লিখতে আমন্ত্রণ করা হলে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই হল চীন, প্রকান্ড ও বিস্তৃত, কোলাহলময় এবং রহস্যে ঘেরা। এই যেখানে এক বিংশ শতাব্দীর এক বড় অংশ উন্মোচিত হবে।” অবশ্য চীনের অভাবনীয় উন্নতি ও সমৃদ্ধি কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে যেভাবে বিকশিত হয়েছে দিসতার মতো দূরদর্শী ও চিন্তাশীল ব্যক্তিদের বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। বাস্তবিক পক্ষে সারা বিশ্ব চীনের দিকে চোখ মেলে আছে। বাংলাদেশের  নিপীড়িত জনগণের অংশ হিসেবে আমরাও চোখ মেলে আছি। এখানেই হচ্ছে অক্টোবর বিপ্লবের সফলতা। আর তার এই সফলতার মূলে রয়েছেন কমরেড মাও সেতুং এবং কমরেড চেং শিয়াও পিং এর প্রজ্ঞাশীল নেতৃত্ব, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও চীনা জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, যা অব্যাহত আছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও মাননীয় রাষ্ট্রপতি কমরেড শি জিন পিং এর নেতৃত্বে। আসন্ন ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে কমরেড শি জিনপিং এর চিন্তাধারাকে বিকশিত করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আধুনিক সমাজতন্ত্রের আলোক বর্তিকা চীনসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবেন এই প্রত্যাশা আমরা দৃঢ়ভাবে লালন করছি। ২০তম জাতীয় কংগ্রেস সফল হোক।

জয় সমাজতন্ত্র।