সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্রে চীনা জনগণই দেশের প্রকৃত মালিক
2022-10-19 11:27:16

অক্টোবর ১৯: ‘সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্র হলো সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটি হলো সবচেয়ে বিস্তৃত, সত্য ও সবচেয়ে কার্যকরী গণতন্ত্র।’ গত ১৬ অক্টোবর বেইজিংয়ের গণমহাভবনে অনুষ্ঠিত চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কর্ম-প্রতিবেদন পেশকালে এসব কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

তিনি প্রতিবেদনে সার্বিকভাবে সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা বর্ণনা করেন। প্রতিবেদনে নতুন যুগে চীনের সমাজতান্ত্রিক রাজনীতি উন্নয়নের দিক নির্দেশ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সমাজকে চীনা গণতন্ত্রের মানদন্ড পর্যবেক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা খুলেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে: সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্র কী? এটি হলো সিপিসি-র জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ও নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র অনুসরণ, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র উপলব্ধি করার একটি মহান প্রক্রিয়া। সিপিসি-র পরিশ্রমের ইতিহাস হলো জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্র অনুসরণ, প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের প্রক্রিয়া। বিশেষ করে, সিপিসি’র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি সম্মেলনের পর গণতন্ত্রের ধারণা ও অনুশীলন অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে, চীনা গণতন্ত্র উন্নয়নের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।

সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্র আসলে সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র। এর মূল অংশ হলো চীনা জনগণ। এই গণতান্ত্রিক কাঠামো গণতান্ত্রিক নির্বাচন, গণতান্ত্রিক পরামর্শ, গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা এবং গণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধানকে একীভূত করে, যাতে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের সকল ক্ষেত্রে জনগণের কণ্ঠস্বর শোনা ও জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো যায়। এ ধরণের একটি পূর্ণ-শৃঙ্খল, সর্বাঙ্গীণ ও পূর্ণ-কাভারেজ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চীনা জনগণ দেশের সত্যিকারের মালিক হতে পারেন।

জনগণের গণতন্ত্র হলো সমাজতন্ত্রের জীবন এবং সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে চীনা জনগণ সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ নির্মাণ এবং দ্বিতীয় শতের লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সিপিসি’র দায়িত্ব হচ্ছে এটা নিশ্চিত করা যে, চীনা জনগণই মূলত আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করে, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজ পরিচালনা করে, এবং সামাজিক বিষয়গুলো পরিচালনা করে।

পরামর্শভিত্তিক গণতন্ত্র হলো চীনা বৈশিষ্ট্যময় গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিশেষ দিক। সিপিসি’র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের খসড়া রচনার আগে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় সংস্থা গভীর তদন্ত ও গবেষণার মাধ্যমে ৮০টি জরিপ প্রতিবেদন লিখেছে। এছাড়াও ওয়েবসাইটে জনগণের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। নেটিজেনদের কাছ থেকে ৮.৫৪২ মিলিয়নেরও বেশি মতামত পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দলের ভিতরে ও বাইরের ব্যক্তিদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এতে পরামর্শভিত্তিক গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা ফুটে ওঠে।

মৌলিক গণতন্ত্র হলো সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বেইজিংয়ের ছাওছাং আবাসিক এলাকায় প্রায় ২৫০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আবাসিক এলাকায় ছোট আদালত চেম্বার গড়ে তোলা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে এক বার আলোচনা হয় এখানে।

গণতন্ত্র দিয়ে জনগণের চাহিদা পূরণ ও সমস্যা সমাধান করতে হবে। গত দশ বছরে চীন দারিদ্র্যবিমোচন বাস্তবায়ন এবং মধ্যম মানের স্বচ্ছল সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে। চীন সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশে পরিণত হবার পথে নতুন যাত্রা শুরু করেছে। অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের গণতন্ত্র অবশ্যই মূল প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করে যাবে। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)